ঢাকা ০৯:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শহীদুল্যাহ দীর্ঘদিন প্রভাব বিস্তার করে বড় ভাইয়ের উপর নির্যাতন করে আসছে

ফরিদগঞ্জের ঘনিয়ায় বড় ভাইয়ের চলাচলের পথ ও ঘরের দরজা বন্ধ করে ছোই ভাইয়ের পাক ঘর নির্মাণ

ফরিদগঞ্জের ফকির বাজার এলাকায় ঘনিয়া বেপারী বাড়িতে ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে বড় ভাইয়ের পরিত্যক্ত বসতঘরের একাংশ দখল করে রান্নাঘর নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বড় ভাই মো. আব্দুল লতিফ সংবাদকর্মীদের কাছে তার আপন ছোট ভাই শহিদুল্লাহ মাস্টারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন।

তিনি জানান, ঘনিয়া বেপারী বাড়ির মৃত আব্দুল হালিমের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। তিন ছেলে মধ্যে বড় ছেলে আব্দুল লতিফ ফকির বাজার এলাকায়, মেঝো ছেলে আমিন উল্যাহ্ ঢাকায় ও ছোট ছেলে শহিদুল্লাহ মাস্টার নিজ বাড়িতে এবং দুই মেয়ে ফরিদা বেগম ও ফাতেমা বেগম তাদের স্বামীর বাড়িতে থাকেন।

আব্দুল লফিত জানান, তার দুই ছেলে শরিফ ও আরিফ ফকির বাজার এলাকায় সম্পত্তি করে বাড়ি-ঘর নির্মাণ করেন। ছেলেরা প্রবাসে থাকায় এবং তিনি ও তার স্ত্রী পুত্রবধূ ও নাতি-নাতনিদের নিয়ে বাজারস্থ বাড়িতেই থাকেন। এই সুযোগে ছোট ভাই শহিদুল্লাহ মাস্টার জোরপূর্বক বাড়ির তার বসতঘরের একাংশ দখল করে নেন। যার কারণে ওই ঘরের সামনের দরজা দিয়ে প্রবেশ ও বের হওয়ার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, আমি বয়স্ক মানুষ। ছেলেরা বিদেশে থাকে। আমার ছোট ভাই শহিদুল্লাহ মাস্টার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। সে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে গত ১৭ বছর সে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করেছে। আমার ছেলেকে জেল খাটিয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর গত ১ বছর ভালোই ছিলাম। কিন্তু এখন আবার সে আমার জায়গা-সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল’সহ আমাদেরকে হয়রানি ও নির্যাতন শুরু করেছে।

তিনি জানান, শহিদুল্লাহ মাস্টার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। অথচ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে আমাদেরকে হয়রানি ও নির্যাতন করেছিলো। যার প্রমাণ হিসেবে শহিদুল্লাহ মাস্টার সরকারি চাকরির আচরণ বিধি লঙ্গন করায় গত ৬ এপ্রিল তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন। যার স্মারক নং- ৩৮.০১.১৩০০.০০০.৩৬.০০৮.২৫-৭৭০।

অভিযোগ অস্বীকার করে শহিদুল্লাহ মাস্টার বলেন, আমার মেঝো ভাই ঢাকায় থাকেন। তিনি বাড়ি-ঘরে আসেন না। তাই তিনি বলেছেন, তার সম্পত্তি যেন আমরা দুই ভাই ভোগ-দখল করি। তাছাড়া আমি আমার বোনদের কাছ থেকে ২ শতাংশ সম্পত্তি ক্রয় করেছি। যেখানে রান্নাঘর নির্মাণ করেছি, ওই সম্পত্তি আমার ভাগে পড়েছে। তারপরও আমি বড় ভাইকে (আব্দুল লতিফ) বলেছি আপনি বসেন (সালিশি বৈঠক), আমি সমাধানের পক্ষে আছি।

এদিকে সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে দেখা গেছে, আব্দুল লতিফের পরিত্যক্ত বসতঘরের বসতঘরের কয়েক ফুট দখল করে ওই বসতঘরের সামনেই রান্নাঘর নির্মাণ করেছেন। এতে বসতঘরের সামনে চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এসময় সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে বাড়ির একাধিক লোকজন সংবাদকর্মীদের সাথে কথা বলেন। তারা অনুরোধ করে জানান, সংবাদকর্মীদের উদ্যোগে যেন সম্পত্তিগত বিরোধ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

কচুয়ায় পরিবারকল্যাণ কর্মীদের কর্মবিরতি অব্যাহত

শহীদুল্যাহ দীর্ঘদিন প্রভাব বিস্তার করে বড় ভাইয়ের উপর নির্যাতন করে আসছে

ফরিদগঞ্জের ঘনিয়ায় বড় ভাইয়ের চলাচলের পথ ও ঘরের দরজা বন্ধ করে ছোই ভাইয়ের পাক ঘর নির্মাণ

Update Time : ১২:০৪:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫

ফরিদগঞ্জের ফকির বাজার এলাকায় ঘনিয়া বেপারী বাড়িতে ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে বড় ভাইয়ের পরিত্যক্ত বসতঘরের একাংশ দখল করে রান্নাঘর নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বড় ভাই মো. আব্দুল লতিফ সংবাদকর্মীদের কাছে তার আপন ছোট ভাই শহিদুল্লাহ মাস্টারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন।

তিনি জানান, ঘনিয়া বেপারী বাড়ির মৃত আব্দুল হালিমের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। তিন ছেলে মধ্যে বড় ছেলে আব্দুল লতিফ ফকির বাজার এলাকায়, মেঝো ছেলে আমিন উল্যাহ্ ঢাকায় ও ছোট ছেলে শহিদুল্লাহ মাস্টার নিজ বাড়িতে এবং দুই মেয়ে ফরিদা বেগম ও ফাতেমা বেগম তাদের স্বামীর বাড়িতে থাকেন।

আব্দুল লফিত জানান, তার দুই ছেলে শরিফ ও আরিফ ফকির বাজার এলাকায় সম্পত্তি করে বাড়ি-ঘর নির্মাণ করেন। ছেলেরা প্রবাসে থাকায় এবং তিনি ও তার স্ত্রী পুত্রবধূ ও নাতি-নাতনিদের নিয়ে বাজারস্থ বাড়িতেই থাকেন। এই সুযোগে ছোট ভাই শহিদুল্লাহ মাস্টার জোরপূর্বক বাড়ির তার বসতঘরের একাংশ দখল করে নেন। যার কারণে ওই ঘরের সামনের দরজা দিয়ে প্রবেশ ও বের হওয়ার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, আমি বয়স্ক মানুষ। ছেলেরা বিদেশে থাকে। আমার ছোট ভাই শহিদুল্লাহ মাস্টার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। সে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে গত ১৭ বছর সে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করেছে। আমার ছেলেকে জেল খাটিয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর গত ১ বছর ভালোই ছিলাম। কিন্তু এখন আবার সে আমার জায়গা-সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল’সহ আমাদেরকে হয়রানি ও নির্যাতন শুরু করেছে।

তিনি জানান, শহিদুল্লাহ মাস্টার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। অথচ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে আমাদেরকে হয়রানি ও নির্যাতন করেছিলো। যার প্রমাণ হিসেবে শহিদুল্লাহ মাস্টার সরকারি চাকরির আচরণ বিধি লঙ্গন করায় গত ৬ এপ্রিল তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন। যার স্মারক নং- ৩৮.০১.১৩০০.০০০.৩৬.০০৮.২৫-৭৭০।

অভিযোগ অস্বীকার করে শহিদুল্লাহ মাস্টার বলেন, আমার মেঝো ভাই ঢাকায় থাকেন। তিনি বাড়ি-ঘরে আসেন না। তাই তিনি বলেছেন, তার সম্পত্তি যেন আমরা দুই ভাই ভোগ-দখল করি। তাছাড়া আমি আমার বোনদের কাছ থেকে ২ শতাংশ সম্পত্তি ক্রয় করেছি। যেখানে রান্নাঘর নির্মাণ করেছি, ওই সম্পত্তি আমার ভাগে পড়েছে। তারপরও আমি বড় ভাইকে (আব্দুল লতিফ) বলেছি আপনি বসেন (সালিশি বৈঠক), আমি সমাধানের পক্ষে আছি।

এদিকে সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে দেখা গেছে, আব্দুল লতিফের পরিত্যক্ত বসতঘরের বসতঘরের কয়েক ফুট দখল করে ওই বসতঘরের সামনেই রান্নাঘর নির্মাণ করেছেন। এতে বসতঘরের সামনে চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এসময় সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে বাড়ির একাধিক লোকজন সংবাদকর্মীদের সাথে কথা বলেন। তারা অনুরোধ করে জানান, সংবাদকর্মীদের উদ্যোগে যেন সম্পত্তিগত বিরোধ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করা হয়।