শাহরাস্তির চিতোষী সুলতানিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। রবিবার (১৪ ডিসেম্বর ২০২৫) বিকেলে মাদ্রাসা মিলনায়তনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে এলাকাবাসী পক্ষে নানান অভিযোগ ও অনিয়ম তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন মো. কামাল হোসেন।
তার লিখিত বক্তব্য তুলে ধরা হলো – আমি চিতোষী পূর্ব ইউনিয়নের একজন স্থায়ী বাসিন্দা।
আমরা স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবক, ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সমাবেশের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাচ্ছি যে, গত ০৪/১২/২০২৫ইং তারিখে চিতোষী সুলতানিয়া ফজিল মাদ্রাসা শিক্ষক কর্তৃক ৭ম শ্রেণীর দুইজন ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ উঠে।
ভূক্তভুগি ছাত্রীরা অত্র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ একরামুল হককে বিষয়টি জানায়, তিনি বিষয়টি আমলে না নিয়ে ছাত্রীদেরকে পাঠিয়ে দেন। ভূক্তভোগী ছাত্রীরা বিষয়টি উঘারিয়া তদন্তকেন্দ্রে গিয়ে দায়িত্বরত এসআই সফিকুল ইসলামকে অবহিত করেন।
তিনি পরিবারের অভিভাবকদের নিয়ে শাহরাস্তি মডেল থানায় গিয়ে অভিযোগ করতে বলেন। ছাত্রীরা ঘটনাটি তাদের অভিভাবকদের জানায়। তারা অত্র মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে বিষয়টি জানালে অধ্যক্ষ উল্টো ছাত্রীদের সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।
ভোক্তভুগির অভিভাবকরা স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করে ও অধ্যক্ষের গাফিলতির বিষয়টি জানায়। স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি স্পর্শকাতর ও ফৌজদারি অপরাধ সংগঠতি হওয়ায় আইনাগত ব্যবস্থা গ্রহনের পরামর্শ দেন। ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিভাবকরা নিরুপায় হয়ে শাহরাস্তি মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।
অধ্যক্ষের উদাসীনতা ও গাফিলতির কারনে মাদ্রাসার সুনাম ক্ষুন্য শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, কিন্তু বর্তমানে অধ্যক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দিতে উল্টো ছাত্রীদের চরিত্র হনন ও এলাকার সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের নামে প্রপাগান্ডা তৈরি করে ঘটনাটি ভিন্নখাতে নিয়ে তদন্তকে ব্যহত করার চেষ্টায় লিপ্ত আছেন।
অধ্যক্ষের প্রত্যক্ষ মদদে একটি গোষ্ঠী ও মাদ্রাসার নীরিহ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে দিয়ে অত্র মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা জনাব জহিরুল ইসলাম ও সামাজিক কর্মী হিসেবে পরিচিত ইব্রাহিম খলিল মঞ্জুর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষোদগার করে মামলাটি ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
অধ্যক্ষ একরামুল হক তার প্রাতিষ্ঠানিক অনিয়ম দূর্নীতি ও বিভিন্ন সময় নিয়োগে তার আর্থিক অপকর্মকে ঢাকতে সৃষ্ট ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে নানা অপকৌশলের চেষ্টা করছেন।
জনাব জহিরুল ইসলাম অত্র ইউনিয়নের একজন কৃতিসন্তান। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার গরিব অসহায়দের নানা ধরনের সহযোগীতা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তার দান অনুদান অবিশ্বরণীয় ও প্রসংশনীয়।
তিনি চিতোষী সুলতানিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও তার পরিবারের মধ্যে তার হাজি নেছার আহম্মেদ, মাতা আলেয়া বেগম, স্ত্রী ফাতেমা ইসলাম ও ভাই নুর মোহাম্মদ সুমন স্থায়ী দাতা সদস্য হিসাবে নিয়োজিত আছেন।
অত্র প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের বিভিন্ন অনিয়ম, নিয়োগ বানিজ্যে, আর্থিক লেনদেন, ইচ্ছে মতো মাসিক বেতন, কোচিং ফি, পরিক্ষার ফি সহ যাবতীয় প্রতিষ্ঠানিক আর্থিক অনিয়মের এবং ম্যানেজিং কমিটি গঠনে অবৈধ অনিয়মের বিষয়য়ে জবাব চাওয়ার কারনে সৃষ্ঠ ঘটনায় অত্র মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জহিরুল ইসলাম জহিরকে জড়িয়ে নানা ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আমরা অধ্যক্ষের এই সকল কর্মকান্ডের তিব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অধ্যক্ষের বিভিন্ন অনিয়ম, ও দুর্নীতির বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাই ও তার পদত্যাগের দাবি করছি। সৃষ্ঠ ঘটনাটি সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে বিচারের দাবি জানাই।
শাহরাস্তি প্রতিনিধি: 





















