শাহরাস্তিতে পৈর্তৃক সম্পত্তি জবরদখল ও একের পর এক হয়রানিমূলক মামলা দায়েরের অভিযোগ তুলেছে একটি ভুক্তভোগী পরিবার। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে শাহরাস্তি প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন মীর মো. নেওয়াজ মোরশেদ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শাহরাস্তি উপজেলার সূচীপাড়া উত্তর ইউনিয়নের দৈকামতা গ্রামে অবস্থিত তাদের সাড়ে ৫২ শতাংশ পৈর্তৃক জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছেন। ২০২৩ সালে বৈধ যৌথ দলিলের মাধ্যমে এর পাশে ৪০ শতাংশ জমি ক্রয় করা হয়। পার্শ্ববর্তী পাথৈর গ্রামের কাজী ওবায়েদ উল্লাহ ও তাঁর সহযোগীরা অন্য অংশীদার থেকে ২০২১ সালে দুটি দলিলের মাধ্যমে সাড়ে ৫২ শতাংশ ভূমি ক্রয় করেন। যার প্রেক্ষিতে মীর মো. নেওয়াজ মোরশেদ গং আদালতে প্রিয়ামশন মামলা রুজু করেন।
উক্ত মামলা চলমান অবস্থায় কাজী ওবায়েদ উল্লাহ গং অন্য মালিকের কাছে তর্কিত জমি বিক্রয়ের বায়না সংক্রান্ত সাইনবোর্ড লাগান। যাতে তাদের পৈত্রিক ভুমিও রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২০২২ সাল থেকে ভুক্তভোগী পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলার কারণে পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক ক্ষতি, সামাজিক হয়রানি ও মানসিক চাপে রয়েছে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, বৈধ দলিল ও সরকারি রেকর্ড থাকা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষ প্রভাব খাটিয়ে নতুন করে জমি বিক্রয় ও দখলের চেষ্টা করছে। এতে করে পরিবারের নারী সদস্য ও বৃদ্ধ অভিভাবকদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, জমি সংক্রান্ত দেওয়ানি মামলা আদালতে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় প্রতিপক্ষ বেআইনিভাবে নতুন মামলা দায়ের করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে। এ অবস্থায় বিষয়টি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে নিষ্পত্তির দাবি জানানো হয়।
ভুক্তভোগী পরিবার প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, জাল দলিল বাতিল এবং পৈতৃক সম্পত্তি রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।
শাহরাস্তি প্রতিনিধি: 






















