দরজায় কড়া নাড়ছে বললেও ভুল হবে। ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হতে আর তিন দিনও বাকি নেই। চলছে ক্ষণগণনা। এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সেরে রেখেছে আয়োজক দেশ কাতার। এমন প্রস্তুতিতে ভূয়সী প্রশংসাও কুড়াচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের এ খুদে দেশটি।
বিশেষ করে যেসব স্টেডিয়ামে হবে ৩২ দলের খেলা। প্রশংসা পাওয়ারই কথা। যে দেশে ফুটবলের সে রকম কোনো পরিকাঠামোই ছিল না, তারাই হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে একের পর এক চোখধাঁধানো স্টেডিয়াম বানিয়ে দিয়েছে।
মোট আটটি স্টেডিয়ামে হবে খেলা। তার মধ্যে নজর কেড়েছে আল থুমামা স্টেডিয়াম। টুপির আদলে তৈরি এ স্টেডিয়াম। দূর থেকে বা বার্ডস আইতে এ স্টেডিয়ামকে দৈত্যাকার এক টুপি মনে হবে।
এই টুপি কাতারে বিশেষ ঐতিহ্য বহন করে। এর নাম গাহফিয়া। শুধ কাতারই নয়; আরব দেশের পুরুষরা নিজেদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে এই গাহফিয়া টুপি পরে থাকেন। অনেক জায়গায় একে তাকিয়া হ্যাটও বলা হয়।
গাহফিয়া স্টেডিয়ামটির ধারণক্ষমতা ৪০ হাজার দর্শক। কাতারের রাজধানী দোহা থেকে ১২ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত এটি। গ্রুপ পর্বের ছয়টি ম্যাচসহ একটি কোয়ার্টার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। ধারণক্ষমতা ৪০ হাজার হলেও করোনা ইস্যু ও ব্যয় সংকোচনের জন্য ২০ হাজারের বেশি দর্শক প্রবেশ করতে দেবে না কর্তৃপক্ষ।
টুপির ডিজাইনে আল থুমামা স্টেডিয়াম বিশ্ববাসীর নজর কাড়লেও দর্শনার্থীরা বেশি খুশি হবেন এর বাইরের পরিবেশে।
স্টেডিয়ামের আশপাশের এলাকায় বিশেষ ধরনের চিত্তাকর্ষক অভিনব নকশা করা হয়েছে। অন্যান্য স্টেডিয়ামের তুলনায় ৪০ ভাগ বেশি বিশুদ্ধ পানি সংরক্ষণও নিশ্চিত করা হয়েছে সেখানে