মহিউদ্দিন আল আজাদ॥
ডিসেম্বর মাস বিজয়ের মাস, কোন রাজাকার আলবদরদের মাস নয়। ১০ ডিসেম্বর বিএনপি সমাবেশের নামে কোন ষড়যন্ত্র করলে পাল্টা জবাব দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ।
শনিবার দুপুরে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিকী সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যারা সমাবেশের নামে বিভিন্ন স্থানে উস্কানীমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন, তাদের ধারণা ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের পর এই সরকারই থাকবে না। ডিসেম্বর মাসে রাজাকারদের বেংচি কিংবা হুমকী এগুলোকে বাংলাদেশের মানুষ কখনও পরোয়া করে না। আমরা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই, সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি যদি কোন ষড়যন্ত্রের পথ খোঁজেন তার উচিত জবাব আপনারা পাবেন।
তিনি বলেন, বিএনপি হলো চোরের দল। সেই হাওয়া ভবনের কথা মানুষ এখনো ভুলেনি। দেশে কোন অরাজকতা বরদাশত করা হবেনা।
তিনি দেশের উন্নয়ন নিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে উন্নয়ণ আজ প্রশংসিত। পদ্মা সেতু চালু হয়েছে। শিঘ্রই চালু হবে মেট্রোরেল। পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশে^ বাংলাদেশ মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে।
হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ হেলাল উদ্দিন মিয়াজীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী মাঈনুদ্দিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম ফারুক মুরাদের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের সংসদ সদস্য মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের চট্রগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য অধ্যাপক এ কে এম ফজলুল হক, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. নূরজাহান বেগম মুক্তা, পাওয়ার সেলের ডিজি প্রকৌ. মোহাম্মদ হোসাইন, হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আ স ম মাহবুব-উল আলম লিপন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আহসান উলাহ আখন্দ প্রমূখ।
সম্মেলনের উদ্বোধনের করেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নাঈম পাটোয়ারী দুলাল।
এর পূর্বে সকল থেকে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সম্মেলনস্থলে আসতে থাকে নেতা-কর্মীরা। ১০টার মধ্যেই মূল সভাস্থল কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে পড়ে। ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ২০/৩০ হাজার লোকের সমাগম ঘটে।