বিশ্বকাপের মঞ্চে কখনো সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে জিততে পারেনি ব্রাজিল, তবে হারেওনি। দুই বারের দেখায় দু’টো ম্যাচই ড্র হয়েছে। আর ১৯৫০ বিশ্বকাপ থেকে এ পর্যন্ত ৯ বার মুখোমুখি হয়েছে সেলেসাও ও সুইসরা। ৩ বার জিতেছে ব্রাজিল, ২ জয় সুইজারল্যান্ডের, ৪ ম্যাচ ড্র হয়েছে।
দোহায় আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় সুইজারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। ‘জি’ গ্রুপের পয়েন্ট টেবিল বলছে, সার্বিয়ার বিপক্ষে জিতে ১ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ব্রাজিল। প্রথম ম্যাচে কোনো গোল হজম না করায় এবং প্রতিপক্ষের জালে ২ গোল দেওয়ায় গোল ব্যবধানেও (২) বাকিদের চেয়ে গ্রুপে এগিয়ে সেলেসাওরা।
সুইজারল্যান্ড ক্যামেরুনের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচর ১-০ গোলে জিতেছিল। ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে সুইজারল্যান্ড। গোল ব্যবধানেও (১) ব্রাজিলের পরেই তাদের অবস্থান। ২ ম্যাচে ১ পয়েন্ট পেয়ে তৃতীয় ক্যামেরুন গোল ব্যবধানেও তৃতীয় (-১)। আফ্রিকার দেশটির সমান পয়েন্ট নিয়েও চারে সার্বিয়া। গোল ব্যবধানে (-২) পিছিয়ে পূর্ব ইউরোপের দেশটি।
ফলে ব্রাজিল আজ জিতলেই দ্বিতীয় রাউন্ড চলে যাবে। আজ জিতলেই ব্রাজিলের হবে ৬ পয়েন্ট। তখন ক্যামেরুনের বিপক্ষে ম্যাচটি শুধু হাতে থাকবে তিতের দলের।
আর সুইসরা শেষ ম্যাচটি খেলবে সার্বিয়ার বিপক্ষে। এ ম্যাচ সুইসরা জিতলেই ব্রাজিল ও সুইজারল্যান্ড শেষ ষোলোয় উঠে যাবে। তখন ক্যামেরুনের বিপক্ষে ব্রাজিল হারলেও তা দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। কেননা, ৬ পয়েন্ট পাওয়া ব্রাজিল তখন গ্রুপের দুটি শীর্ষ দলের মধ্যেই থাকবে আর প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুটি দল জায়গা করে নেবে দ্বিতীয় রাউন্ডে।
অন্য হিসাবে ব্রাজিল যদি সুইসদের বিপক্ষে হারে! তখন শেষ ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে ব্রাজিলকে। সেই ম্যাচে ক্যামেরুনের সঙ্গে ড্র করেও ৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে যেতে পারে ব্রাজিল।
বিষয়টি আরও জটিল হতে পারে যদি আজ ব্রাজিল-সুইজারল্যান্ড ম্যাচটি ড্র হয়। তখন দুই দলেরই পয়েন্ট হবে ৪। আর শেষ ম্যাচে সুইসরা ও ব্রাজিল হারলে জমে উঠবে পয়েন্ট টেবিল। সবার সংগ্রহই হবে সমান ৪ পয়েন্ট। তখন গোল ব্যবধান হিসেবে আসবে। তবে আজকের ম্যাচ ড্র করে ব্রাজিল ও সুইজারল্যান্ড নিজেদের শেষ ম্যাচ জিতলে কোনো সমীকরণই এই দুটি দলকে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার পথে বাধা হতে পারবে না।