রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে হামলা, ইউক্রেনকে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র

ত্রিনদী অনলাইন
ত্রিনদী অনলাইন
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২
রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে হামলা, ইউক্রেনকে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র
ছবি-সংগৃহিত।

রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে যেন কোনোভাবেই হামলা না করা হয়, সেজন্য শুরু থেকেই ইউক্রেনকে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদ ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের হোয়াইট হাউস প্রতিনিধি জন কিরবি।

রোববার মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘নিশ্চিতভাবেই আমরা ইউক্রেন বাহিনীকে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে আঘাত করতে উৎসাহ দেব না, বাধ্যও করব না। আমরা এই শর্তেই ইউক্রেনকে সহযোগিতা করছি— তারা যেন বাইরের আক্রমণ থেকে নিজ ভূখণ্ডকে রক্ষা করতে পারে।

সম্প্রতি ইউক্রেনের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সংস্থা জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা পরিষদের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্সেই দানিলভ বলেন, প্রয়োজনে ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে হামলা চালাবে। তার এই কথার প্রতিক্রিয়ায় রোববার এ বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদের এই কর্মকর্তা।

জন কিরবি আরও বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই এই যুদ্ধ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং বলে আসছি— এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া আমাদের কারোরই উচিত হবে না, যা ইউক্রেন-রাশিয়া বা বৃহৎ অর্থে এই বৈশ্বিক মানব সভ্যতার জন্য হুমকির কারণ হয়ে ওঠে।’

চলতি মাসে রাশিয়ার দুটি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। যে ঘাঁটিগুলোতে হামলা করা হয়েছে, সেগুলো রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্ত থেকে শত শত মাইল দূরে, রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে।

ওই আঘাতের পরই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে হামলা যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করবে না। ২০১৪ সালে রাশিয়ার কাছে ক্রিমিয়া খোয়ানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য পদের জন্য তদবির শুরু করেছিল ইউক্রেন। এই নিয়ে দীর্ঘদিন প্রতিবেশী এই দেশটির সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলার পর চলতি বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনীকে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন ভ্লাদিমির পুতিন। এদিকে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে যেসব দেশ ইউক্রেনকে অর্থ ও সামরিক সহায়তা দিয়েছে, তাদের মধ্যে শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত ইউক্রেনে প্রায় এক হাজার কোটি ডলারের আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দিয়েছে দেশটি।

ইউক্রেনকে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে হামলা করতে নিষেধ করার মূল কারণ— পারমাণবিক অস্ত্রের ঝুঁকি। গত সপ্তাহে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়ার সার্বভৌমত্বে আঘাত এলে ‘যে কোনো উপায়ে’ তার জবাব দেবে মস্কো। বিশ্বের একক দেশ হিসেবে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত আছে রাশিয়ার। দেশটির অস্ত্রাগারে প্রায় ছয় হাজার বিভিন্ন পাল্লার পরমাণু বোমা আছে।

সূত্র: এবিসি রেডিও


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুক

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭