ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্র তাদের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পেট্রিয়ট দিলে তা সহ্য করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট পুতিন এক প্রকার হুমকি দিয়ে রেখেছে এ ব্যাপারে। যদি এ ব্যবস্থা দেয়, এতে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হবে বলে তিনি হুশিয়ারি দেন।
বর্তমানে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন। সেখানকার পার্লামেন্টে দেশকে বাঁচাতে আবেগঘন ভাষণও দিয়েছেন তিনি। খবর রয়টার্সের।
এ সময় জেলেনস্কিকে প্রেট্রিয়টসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করার আশ্বাস দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইউক্রেনকে প্রেট্রিয়ট দেওয়ার খবরে বেজায় চটেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
তিনি বলেন, রুশ অস্ত্রের কাছে প্রেট্রিয়ট খুবই পুরনো একটি প্রতিরোধ ব্যবস্থা। এসব দিয়ে ইউক্রেনের যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত করবে যুক্তরাষ্ট্র।
পুতিন বলেন, রাশিয়া চায় যুদ্ধ বাদ দিয়ে কূটনৈতিক পথে আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন সমস্যার সমাধান করতে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই দেশটিকে অর্থসহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।
এই সাহায্য পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশে কিঞ্চিত দ্বিধান্বিত হলেন না প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। মার্কিন কংগ্রেসে দেওয়া ভাষণে মার্কিনিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জেলেনস্কি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি ডলার দান নয়, বরং এগুলো বৈশ্বিক নিরাপত্তায় বিনিয়োগ।’ এ সময় জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘মার্কিনিদের সঙ্গে কথা বলা আমার জন্য অনেক সম্মানের। ইউক্রেন ভেঙে পড়েনি, এখনো টিকে আছে।’
এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধে সহায়তা পাঠানো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক পার্টির সমর্থন থাকলেও এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রিপাবলিকানরা। এর আগে হোয়াইট হাউসে বৈঠকে জেলেনস্কিকে ইউক্রেন যুদ্ধে সাহায্য অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ওই সময় ইউক্রেনে নতুন করে ২০০ কোটি ডলারের সহায়তা প্যাকেজে অনুমোদন দেন বাইডেন। একই সঙ্গে আরও সাড়ে চার হাজার কোটি ডলার সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। প্রসঙ্গত, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর ৩০০ দিনের মাথায় প্রথম বিদেশ সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন জেলেনস্কি।