শুক্রবার থেকে বিপিএলের চট্টগ্রামপর্ব শুরু হবে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। সাত দলের ক্রিকেটার, কোচ ও ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তাদের গন্তব্য ও অবস্থান এখন বন্দরনগরীর রেডিসন ব্লু আর পেনিনসুলা হোটেল।
ঠিক এই সময় ঢাকায় ওয়েস্টিন হোটেলে বসেছে বিসিবির শীর্ষ কর্তাদের মেলা। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন, পরিচালক জালাল ইউনুস, খালেদ মাহমুদ সুজন, ইসমাইল হায়দার মল্লিকসহ শীর্ষ কর্তারা রাজধানীর ওই পাঁচতারকা হোটেলে বৈঠক করেন।
চট্টগ্রামে বিপিএল রেখে সবাই হঠাৎ রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে সমবেত কেন? এনিয়ে চলছে গুঞ্জন, প্রাণচাঞ্চল্য।
বৈঠক শেষে মাঠের বাইরের বিতর্ক-বিশৃঙ্খলা একপাশে সরিয়ে রেখে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকে (বিপিএল) সফল আয়োজন বলে দাবি বিসিবি গভর্নিং কাউন্সিলের। তাদের দৃষ্টিতে তেমন কোনো সমস্যাই হয়নি।
ঢাকার একটি হোটেলে বৃহস্পতিবার বিপিএল গভর্নিং বডির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানও।
সভা শেষে এক প্রশ্নের উত্তরে বিসিবির প্রধান নির্বাহী ও বিপিএল গভর্নিং বডির সদস্য নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বিপিএল নিয়ে আজ আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় কোনো সুনির্দিষ্ট বিষয় ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মিরপুরে প্রথম পর্বের আয়োজন নিয়ে সন্তুষ্ট। পরের পর্বগুলোও ভালোভাবে শেষ করার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।’
ফিক্সিং নিয়ে ওঠা অভিযোগ দেখার জন্য একটি নিরপেক্ষ কমিটি রয়েছে বলে জানান সিইও। তিনি জানান, জাতীয় দলের জন্য প্রধান কোচ নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। প্রধান কোচ নিয়োগ দেওয়ার পর সাপোর্টিং স্টাফদের নেওয়া হবে।
শেখ সোহেল বলেন, ‘মাঠে যা হচ্ছে সেটা সবাই দেখছে। এরজন্য ম্যাচ রেফারি আছেন। আমরাও দেখছি। এসব বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য বিসিবি পরিচালক ও বিপিএল গভর্নিং কমিটি মিলে সভা হয়েছে। যেন সব কিছু ঠিকঠাক মতো এগোতে পারে। সব টুর্নামেন্টেই কিছু ভুল-ত্রুটি হয়। সেসব ঠিক করে কিভাবে সামনে এগিয়ে নেওয়া যায় সেজন্যই সবার সঙ্গে আলোচনা করেছি।’