দুই মাস জাটকাসহ সবধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার অভয়াশ্রম এলাকায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাস ইলিশের পোনা জাটকাসহ সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ।
এ সময়ে জেলার ৪৪ হাজারের অধিক জেলে বেকার হয়ে পড়বে। তবে জাটকা ধরা থেকে বিরত থাকা নিবন্ধিত জেলেদেরকে জানুয়ারি থেকে এপ্রিল ৪ মাস খাদ্য সহায়তা হিসেবে ৪০ কেজি করে চাল দিবে। জাতীয় সম্পদ ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স সচেতনামূলক প্রচারনা অব্যাহত রেখেছে।
মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকা রক্ষায় চাঁদপুর, শরীয়তপুর, লক্ষীপুর, বরিশাল ভোলার পদ্মা-মেঘনাসহ দেশের ৬টি নদী অঞ্চলে মার্চ-এপ্রিল অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় সকল প্রকার জাল দিয়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে। বুধবার (১ মার্চ) থেকে অভয়াশ্রম কার্যক্রম শুরু হবে।
চাঁদপুর জেলার সদর, হাইমচরে, মতলব ও দক্ষিন উপজেলার মেঘনার ৭০ কিলোমিটার অভয়াশ্রমের অন্তর্ভুক্ত। অভয়াশ্রমের কার্যক্রম শুরুর সাথে এ চার উপজেলার অর্ধ লক্ষাধিক জেলে বেকার হয়ে পড়বে। সরকার জেলার নিবন্ধিত ৪৪ হাজার জেলের মধ্যে ৪০ হাজার জেলের জন্য প্রতিনাসে ৪০ কেজি করে চার মাসের জন্য চাল বরাদ্দ প্রদান করেছে।
চলতি বছর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি ছোট প্রজাতির মাছের পোনা রক্ষায় কম্বিং অপারেশনের সমন্বয় করে জানুয়ারী থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চার মাসের জন্য বরাদ্দ প্রদান করা হয়। জানুয়ারী মাসের চাল বিতরন করা হয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসের চাল বিতরন চলছে। ৪ হাজার জেলের চাল বরাদ্দ না আসায় তাদের পরিবার পরিজনের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে।
খোজ নিয়ে জানাগেছে, অধিকাংশ জেলে ব্রাক, আশাসহ বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন নিয়ে জাল নৌকা মেরামত করে। মাছ ধরা বন্ধ হয়ে পড়লে তারা কিভাবে লোনের কিস্তি প্রদান করবে। এনিয়ে তাদের মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে।
বিগত কয়েক বছর জেলা টাস্কফোর্সের সভায় নদীর তীরবর্তী এলাকায় জেলের কাছ থেকে অভয়াশ্রমের দুমাস জেলে পরিবারের কাছ থেকে কিস্তি না নেয়ার সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট এনজিও প্রতিষ্ঠানকে পত্র দেয়া হয়। যা কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ ছিল। বিগত বছর দেখা যায় জেলা টাস্কফোর্সের নিষধ করার পরও কিস্তি আদায় বন্ধ হয়নি। এই বিষয়টি জেলে পরিবারের মাঝে মরার উপর খড়ার ঘা। এর ফলে জেলে পরিবারের মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয়।
সরেজমিন চাঁদপুর সদরের বিষ্ণুপুর, কল্যাণপুর, তরপুরচন্ডী আনন্দ বাজার, শহরের বড় স্টেশন টিলাবাড়ী, পুরাণ বাজার রনাগোয়াল ও দোকানঘর এলাকায় গিয়ে দেখাগেছে জেলেরা তাদের নৌকায় ডাঙ্গায় উঠাচ্ছে। আবার অনেকে তাদের নৌকা এবং নৌকার ইঞ্জিন মেরামত করছে।