কচুয়া প্রতিনিধি ॥
চাঁদপুরের কচুয়া থানার ওসির নাম ভাঙ্গিয়ে ট্রাক্টর,সিএনজি ও নসিমনসহ মালামাল বহনকারি বিভিন্ন পরিবহনের মালিকের নিকট থেকে চাঁদা দাবির ঘটনায় শফি উল্লাহ (৫৫) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় কচুয়া থানা পুলিশ চাঁদাবাজির ঘটনায় থানা সংলগ্ন একটি চায়ের দোকান থেকে তাকে গ্রেফতার করে। সে কড়ইয়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের সুলতানের ছেলে।
ভুক্তভোগী ট্রাক্টর মালিকরা জানান,সফি উল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে থানার ক্যাশিয়ার দাবি করে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে হলুদ টোকেনের মাধ্যমে ট্রাক্টর মালিকদের কাছ থেকে মাসিক চাঁদা আদায় করে আসছে। ৯ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের ইটেরপোল সংলগ্ন চায়ের দোকানে ওই গ্রামের শাহ আলমের নিকট কথিত সফিউল্লাহ কচুয়া থানার ওসির নাম করে চাঁদা দাবি করে। শাহ আলম চাঁদা না দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে দু’জনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এসময় পাশে থাকা জনৈক ব্যক্তি এই ঘটনা মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও ধারন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করে। মুহুর্তের মধ্যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। ১৩ মার্চ সোমবার সন্ধ্যায় শাহ আলম তার নিকট চাঁদা দাবির ঘটনায় সফি উল্লাহকে বিবাদী করে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তারই প্রেক্ষিতে পুলিশ চাঁদাবাজির মামলা সফিউল্লাহকে গ্রেফতার করে। যাহার মামলা নং-১৭,তারিখ:-১৪/০৩/২০২৩খ্রি.।
কাদলা গ্রামের মাটি ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল সাংবাদিকদের জানান,থানার লোক দাবি করে সফিউল্লাহ হলুদ টোকেনের মাধ্যমে প্রতি মাসে আমার নিকট থেকে মাসিক হারে চাঁদা আদায় করতো।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক কয়েকজন জানায়,সফিউল্লাহ কচুয়া থানা পুলিশের ব্যক্তিগত বাজার ও ড্রাইনিংএ কাজ করে।
এ ব্যাপারে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.ইব্রাহিম খলিল জানান,সফি উল্লাহর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি অভিযোগে মামলা হয়েছে। সে মামলা তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পেরন করা হয়।