হাজীগঞ্জে ১০ বছরের এক শিশুর সাথে ৪০ বছরের যুবকের বিয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে।
গত ২৪ জুলাই সোমবার উপজেলার ৭নং বড়কূল পশ্চিম ইউনিয়নের সাদ্রা মিজি বাড়ীতে এ বিয়ের ঘটনা ঘটে। বিয়ের পিঁড়িতে বসা শিশু শিক্ষার্থী সাদ্রা গ্রামের মিজি বাড়ীর প্রবাসী শাহজালালের মেয়ে। সে প্রতাপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শেণির শিক্ষার্থী, রোল নং ৪।
জানা যায়, শাহরাস্তি উপজেলার ইছাপুরা মুড়াগা হাজী বাড়ীর মহিবুল ইসলামের সাথে এ মেধাবী ৫ম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ে হয়।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে প্রতাপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদুজ্জামান ও সহকারী শিক্ষিকা হাসিনা আক্তার ছাত্রীর বাড়ীতে গিয়ে বিয়ের খবর নিশ্চিত করেন।
প্রতাপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদুজ্জামান বলেন, আমাদের ৫ম শ্রেণির এই মেধাবী ছাত্রী গত কয়েকদিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। বাড়িতে এসে জানতে পারি মেয়েটির সাথে তার মৃত বড় বোনের জামাইযের সাথে বিয়ে হয়। আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি অবহিত করেছি।
এ বিষয়ে মেধাবী ছাত্রীর মা শিল্পী বেগম বলেন, আমার বড় মেয়ে কিছুদিন আগে হাজীগঞ্জ একটি প্রাইভেট হাসপাতালে সিজারের সময় মৃত্যু হয়। সেই ঘরের রেখে যাওয়া শিশু কন্যার লালনপালনের জন্য আমার ২য় মেয়েকে প্রথম মেয়ের জামাই মহিবুল ইসলামের সাথে বিয়ের পাকাপাকি করে রেখেছি।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রশিদ বলেন, প্রতাপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণিরর যে ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে তা যদি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিশ্চিত করে অবহিত করেন, তাহলে আমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জেনে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।