ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি :
ফরিদগঞ্জে সরকারি সম্পতি দখল করে মসজিদ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে মুসল্লিদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রীয়া দেখা দিয়েছে। মসজিদকে বলা হল আল্লাহর ঘর, সেই ঘর (জুমা মসজিদ) যদি হয় অবৈধ ভাবে জমি দখল করে; তা হলে কতটুকু পরিশুদ্ধ হবে নামাজ? সে এক বিরাট প্রশ্ন। জুমা মসজিদে নির্মাণের জন্য ভূমি হতে হবে ওয়াকফ। অথচ ইউপি চেয়ারম্যান এবং বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক জোর করে সরকারি খাস ভূমি দখল করে মসজিদ বর্ধিত করছেন। ঘটনাটি উপজেলার ১৬নং রুপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের গৃদকালিন্দিয়া বাজারে।
ঘটনার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৫০/৬০ বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত হয় গৃদকালিন্দিয়া বাজার জামে মসজিদ। মুসল্লি বৃদ্ধির কারনে একতলা থেকে দ্বিতল করা হয় মসজিদটি। মসজিদের দক্ষিণ পাশে রয়েছে কাঁচা বাজার। কাগজে কলমে এই কাঁচা বাজার তোয়া বাজার নামে পরিচিত। বাজারের এই জমিটি ‘ক’ তফসিল খতিয়ান তালিকাভুক্ত জমী। মসজিদের মুসল্লি বেশি হওয়ায় কাঁচা বাজারের জমির উপরে নির্মিত হচ্ছে মসজিদ বৃদ্ধির কাজ। মুসল্লি বেশি হলে সেখানে হবে জুমার নামাজ থেকে শুরু করে সকল নামাজ। এমটি যানিয়েছে মসজিদ কমিটির লোকজন।
মসজিদ কমিটির সভাপতি আবুল খায়ের বলেন, আমাদের এই মসজিদে জোহর, মাগরিব ও এশার নামাজের সময় প্রচুর লোকজন হওয়ায় আমরা কাঁচা বাজারের জমির উপরে বহুতল ভবন নির্মান করতেছি। নিচে কাঁচা বাজার থাকবে উপরে মসজিদ। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা কারো কাছ থেকে কোন অনুমতি নেই না। চেয়ারম্যান আমাদের বলেছে কাজ করার জন্য। ওয়াকফ করা ছাড়া জুমার নামাজ আদায় করা হলে নামাজ হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- হবেনা।
ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মনির হোসেন বলেন, আমার অফিসের কাছে তারা আমাদের জমি দখল করে মসজিদ নির্মাণ করতেছে। আমাদের কাছ থেকে কোন প্রকার অনুমোদন নেয়নি।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফ খাঁন বলেন, ‘আমি অনুমোদন দিয়েছি এই খানে মসজিদ করার জন্য।’ সরকারি জমিতে কিভাবে মসজিদ করার অনুমতি দিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘সারাদেশে অনেক মানুষ সরকারি জমি দখল করে আছে, সেই গুলো দেখেন না? এই বিষয়ে কথা বলতে আসছেন। মসজিদ করার জন্য সকল জমি ওয়াকফ করা লাগেনা একটু হলেই হয়।
এ বিষয় উপজেলা সার্ভেয়ার আবু বকর সিদ্দিক এ প্রতিনিধিকে বলেন : মসজিদের দক্ষিণ পাশে আমাদের একটি তোহা বাজার রয়েছে। এটা খাস ভূমি। কিন্তু মসজিদ কমিটি অন্যায়ভাবে খাস ভূমিটি দখল করে মসজিদ নির্মাণ করছে। আমি খবর পেয়ে সেখানে গিয়েছি এবং কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।
এ বিষয়ে সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুন্নাহার বলেন, ‘সরকারি খাস ভূমিতে কোনো নির্মাণ বৈধ নয়। চেয়ারম্যানের সাথে কথা হয়েছে। তাকে বলেছি কাজ বন্ধ রাখতে।’