ঢাকা ১০:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অলিখিত ফাইনালে ১৬৬ রানে পাকিস্তানকে আটকে দিলো বাংলাদেশ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:৫৩:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০২৩
  • ৪৪ Time View

ছবি-ত্রিনদী

অলিখিত ফাইনালে ১৬৬ রানে পাকিস্তানকে আটকে দিলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৬৭ রান।

পাকিস্তানের প্রথম উইকেট নিতে ২০তম ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে। ততক্ষণে স্কোর ৫০ পেরিয়ে গেছে পাকিস্তানের মেয়েদের।

তিন ম্যাচের সিরিজে ইতিমধ্যে একটি করে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। ফলে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ শেষ ম্যাচ হয়ে গেছে অলিখিত ফাইনালে। মিরপুরের ধীর গতির উইকেটে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্তই নিয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক নিদা দার।

পাকিস্তানের দারুণ শুরু আর সিদরা আমিনের ফিফটিতে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৬৭ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে পাকিস্তান।

দারুণ শুরুর পরও শেষ দিকে দ্রুত উইকেট হারিয়েছে সফরকারীরা। তবে শুরুতে নেমে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলকে ভালো সংগ্রহ এনে দিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন সিদরা। প্রশংসিত বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ যেন ম্যাচের শুরু থেকে অনেকটা সময় ছিল অচেনা। তবে পরে দুর্দান্ত কামব্যাক করেন নাহিদা আক্তার-ফাহিমা খাতুনেরা। ১৬৬ রানে আটকে রাখেন পাকিস্তানের ইনিংস।

বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে একাই লড়ে গেছেন পাকিস্তানের ওপেনার সিদরা। ৮৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। সাদাফ শামাসকে নিয়ে ওপেনিং জুটিতে ৬৫ রান যোগ করেন সিদরা। ২০তম ওভারে সাদাফকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন স্পিনার নাহিদা। ৬১ বলে ৩১ রানে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন পাকিস্তানের এই ওপেনার।

দ্বিতীয় উইকেটে মুনিবা আলির সঙ্গে ২৮ রানের আরেকটি জুটি গড়েন সিদরা। ৩১তম ওভারে এই জুটি ভাঙেন স্বর্ণা আক্তার। ১৪ রানে মুনিবাকে ফেরান এই লেগ স্পিনার। এরপরই খেই হারায় পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডার। মুনিবার পরের পাঁচ ব্যাটারের কেউই আর দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।

একপ্রান্ত আগলে ধরে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সপ্তম ফিফটি তুলে নিয়েছেন সিদরা। ১৪৩ বলে ৮৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ইনিংসে ছিল ৩টি চার। শেষ দিকে দিয়ানা বেগের ব্যাট থেকে আসে ১১ রান। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে নাহিদা ৩টি ও রাবেয়া খান নিয়েছেন ২ উইকেট।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

১০ম গ্রেডসহ ৫ দফা দাবী বাস্তবায়নে ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের স্মারকলিপি প্রদান

অলিখিত ফাইনালে ১৬৬ রানে পাকিস্তানকে আটকে দিলো বাংলাদেশ

Update Time : ০২:৫৩:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০২৩

অলিখিত ফাইনালে ১৬৬ রানে পাকিস্তানকে আটকে দিলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৬৭ রান।

পাকিস্তানের প্রথম উইকেট নিতে ২০তম ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে। ততক্ষণে স্কোর ৫০ পেরিয়ে গেছে পাকিস্তানের মেয়েদের।

তিন ম্যাচের সিরিজে ইতিমধ্যে একটি করে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। ফলে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ শেষ ম্যাচ হয়ে গেছে অলিখিত ফাইনালে। মিরপুরের ধীর গতির উইকেটে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্তই নিয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক নিদা দার।

পাকিস্তানের দারুণ শুরু আর সিদরা আমিনের ফিফটিতে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৬৭ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে পাকিস্তান।

দারুণ শুরুর পরও শেষ দিকে দ্রুত উইকেট হারিয়েছে সফরকারীরা। তবে শুরুতে নেমে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলকে ভালো সংগ্রহ এনে দিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন সিদরা। প্রশংসিত বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ যেন ম্যাচের শুরু থেকে অনেকটা সময় ছিল অচেনা। তবে পরে দুর্দান্ত কামব্যাক করেন নাহিদা আক্তার-ফাহিমা খাতুনেরা। ১৬৬ রানে আটকে রাখেন পাকিস্তানের ইনিংস।

বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে একাই লড়ে গেছেন পাকিস্তানের ওপেনার সিদরা। ৮৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। সাদাফ শামাসকে নিয়ে ওপেনিং জুটিতে ৬৫ রান যোগ করেন সিদরা। ২০তম ওভারে সাদাফকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন স্পিনার নাহিদা। ৬১ বলে ৩১ রানে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন পাকিস্তানের এই ওপেনার।

দ্বিতীয় উইকেটে মুনিবা আলির সঙ্গে ২৮ রানের আরেকটি জুটি গড়েন সিদরা। ৩১তম ওভারে এই জুটি ভাঙেন স্বর্ণা আক্তার। ১৪ রানে মুনিবাকে ফেরান এই লেগ স্পিনার। এরপরই খেই হারায় পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডার। মুনিবার পরের পাঁচ ব্যাটারের কেউই আর দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।

একপ্রান্ত আগলে ধরে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সপ্তম ফিফটি তুলে নিয়েছেন সিদরা। ১৪৩ বলে ৮৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ইনিংসে ছিল ৩টি চার। শেষ দিকে দিয়ানা বেগের ব্যাট থেকে আসে ১১ রান। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে নাহিদা ৩টি ও রাবেয়া খান নিয়েছেন ২ উইকেট।