শাহরাস্তিতে পরকীয়ায় আসক্ত স্ত্রীকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে স্বামী। শুক্রবার শাহরাস্তি উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নের সুরসই কাজী বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসি জানায়, ওই বাড়ীর হাবিবুর রহমান ( ৪৮) দুই মাস পূর্বে পার্শ্ববর্তী টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নের কাজী বাড়ীর বিল্লাল হোসেনের কন্যা রিনা আক্তারকে (২৫) বিয়ে করেন।
কিছুদিন যেতেই স্ত্রী রিনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুকের টিক টকে আসক্ত হয়ে পড়ে। ওই কাণ্ডে স্ত্রীর রিনার সঙ্গে হাবিবুর রহমান বিবাদে জড়িয়ে পারিবারিক কলহ বিকট আকার ধারণ করে। এরই মধ্যে প্রথম স্ত্রীর দেওয়া মামলায় হাবিবুর রহমান গ্রেপ্তার হয়ে জেলে যায়। ওই সুযোগে দ্বিতীয় স্ত্রী রিনা আক্তার গত ১৭ই অক্টোবর কাউকে কিছু না জানিয়ে ঢাকায় চলে যান। সেখানে এক মাস থেকে গত ১৭ই নভেম্বর শুক্রবার পুনরায় স্বামীর বাড়ি সুরসই কাজী বাড়ীতে ফিরে আসেন।
ওই সময়ের মধ্যে জেল থেকে ফিরে এসে স্বামী হাবিবুর রহমান স্ত্রী রিনা আক্তারের অনুপস্থিতির বিষয় নিয়ে চরম বাক্ বিতান্ডায় জড়িয়ে পড়েন। স্বামী হাবিবুর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রী রিনাকে ছুরি নিয়ে তেড়ে এলে সে প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে পালাবার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে পার্শ্ববর্তী প্রবাসী দেবর রেদোয়ানের ঘরে তিনি আশ্রয় নেন।
সেখানে গিয়ে হাবিবুর রহমান আবারো বিবাদে জড়িয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে হাতে থাকা ছুরি দিয়ে রিনাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে ।
এ প্রসঙ্গে প্রবাসি রেদোয়ানের স্ত্রী নাজমা আক্তার (৩০) জানায়, বিয়ের পর থেকেই পরকিয়ার বিষয়টি নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায় বিবাদ লেগে থাকতো। ১ মাস পর রিনার বাড়ি ফেরার বিষয়টি নিয়ে বিবাদে হাবিবুর রহমানের হাতের চুরির এলোপাতাড়ি কোপানিতে ঘটনাস্থলেই রিনা মারা যায়।
এ বিষয়ে এ. এস. পি.( কচুয়া) সার্কেল রিজওয়ান সাঈদ জিকু জানান, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে তার বাবা বিল্লাল হোসেন মামলা করেছেন। আসামিকে ধরার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে ।
শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট নিহতের মরদেহ হস্তান্তর করে।
পরবর্তীতে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।