• মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ১১:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
চাঁদপুরে এমএস মোল্লা এন্ড এসোসিয়েটসের নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধন নির্বাচন ডিসেম্বরের পর যাওয়ার কোনো কারণ নেই: সালাহউদ্দিন আহমদ নির্বাচন ডিসেম্বরের পর যাওয়ার কোনো কারণ নেই: সালাহউদ্দিন আহমদ মব পার্টিকে বার্তা দিচ্ছি, এগুলোর সুযোগ নেই এখন—সারজিসকে সেনা কর্মকর্তা ৪০ বছরের ইতিহাসে চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমীর প্রথমবারের মতো কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন হাজীগঞ্জে তারুণ্যের দক্ষতা উন্নয়নে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ভূমিকা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনা যাকে ঢাকায় ‘হত্যা করলো’, সেই সেলিম ময়মনসিংহে জীবিত! শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন গণমানুষের নেতা-লায়ন ইঞ্জি. মমিনুল হক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন গণমানুষের নেতা-লায়ন ইঞ্জি. মমিনুল হক ফরিদগঞ্জে কুকুরের কামড়ে আহত ৪০

জেনে নিন, রোজা রেখে কি রক্ত দিতে পারবেন ?

ত্রিনদী অনলাইন
ত্রিনদী অনলাইন
আপডেটঃ : বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০২৪

এক ব্যাগ রক্ত দিয়ে দুই বা তারও বেশি মরণাপন্ন রোগীকে বাঁচিয়ে তোলা যায়। রোজায়ও রোগীর জরুরি রক্ত দরকার হয়। কিন্তু অনেকেই এ সময়ে রক্ত দেওয়া নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তবে রোজা থাকা অবস্থায় শরীর থেকে রক্ত দিলে রোজা ভাঙে না। কারণ, এখানে রক্ত বের করে নেওয়া হচ্ছে, দেওয়া নয়।

একজন সুস্থ–সবল ব্যক্তির শরীরে প্রায় ১ থেকে দেড় লিটার বাড়তি রক্ত থাকে, তাই যেকোনো জরুরি অবস্থায় রক্তদান করলেও শরীরে ক্ষতিকর কোনো প্রভাব পড়ে না। অবশ্য এই পরিমাণের চেয়ে বেশি রক্তক্ষরণ হলে অন্য কথা। রক্তদান–পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় তিন-চার লিটার পানি বেশি খেলে, রক্তদানজনিত ভলিউম–স্বল্পতা কেটে যায়। তবে কেউ যদি শারীরিকভাবে দুর্বল থাকে, মনে করেন যে তিনি রক্ত দিলে রোজা রাখার শক্তি হারিয়ে ফেলবেন, তাহলে তাঁর জন্য ইফতারের পর রক্ত দেওয়া বাঞ্ছনীয়।

আমরা জানি, স্বাভাবিক প্রবেশপথ দিয়ে পেটে বা মস্তিষ্কে কোনো কিছু গেলে রোজা ভেঙে যায়। কিন্তু শরীর থেকে কোনো কিছু বের হলে রোজা ভাঙে না। তাই দুর্ঘটনায় পড়ে, হাত-পা ভেঙে বা কেটে রক্ত বের হলে রোজা ভাঙবে না। রক্ত গড়িয়ে পড়লে অজু ভঙ্গ হয়, রোজা নয়। রক্তদানের পর রক্তদান কেন্দ্রে কমপক্ষে আধা ঘণ্টা বিশ্রাম নিতে হবে। এ সময়ের মধ্যে রক্তের ভলিউম ঠিক হয়ে যায়। এই বিশ্রামে শরীর ঝিমঝিম করা, মাথা হালকা হয়ে যাওয়া ইত্যাদি উপসর্গ থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

রোজার দিনগুলোয় রক্তদানের পর ২-৪ ঘণ্টা ভারী কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। যেমন শারীরিক পরিশ্রম, সাইকেল চালানো, অধিক উচ্চতায় কাজ করা ইত্যাদি। রক্তদান–পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা তরলজাতীয় উপাদান যেমন ডাবের পানি, ফলের রস, খাওয়ার স্যালাইন, নরমাল পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৩ লিটার বেশি খেতে হবে।

মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ একজন ব্যক্তি রক্তদানের জন্য উপযুক্ত। রক্তদানের আগের রাতে ৬-৮ ঘণ্টার ঘুম নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ঘুম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারপরও কোনো রকম অসুবিধা হলে রক্তদান কেন্দ্রে যোগাযোগ করুন এবং সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

অধ্যাপক ডা. সৈয়দা মাসুমা রহমান, কনসালট্যান্ট, নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন কর্মসূচি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুক

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০