ঢাকা 7:39 am, Monday, 4 August 2025

আমাদের সমাজ-সংসার এবং ব্যক্তিজীবনেও সংস্কৃতির পূর্নজাগরত প্রয়োজন-সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি

  • Reporter Name
  • Update Time : 09:53:42 pm, Thursday, 18 April 2024
  • 11 Time View

ছবি-ত্রিনদী

চাঁদপুরে শুদ্ধ সাংস্কৃতি চর্চা ও বিকাশের অনন্য প্রতিষ্ঠান আনন্দধ্বনি সঙ্গীত শিক্ষায়তনের আয়োজনে মনোমুগ্ধকর বর্ষবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে উৎসবমুখর এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।

বাঙালির শাশ্বত সংস্কৃতিকে ধারণ করে আনন্দধ্বনীর বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন আনন্দধ্বনির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে আমাদের অনেক স্নপ্ন। এই স্বপ্নটি আমাদের দেখিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি সুধু স্বপ্ন দেখাননি, আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়োছেন। আর এখন বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে। বাংলাদেষ সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা ক্ষুধা, দারিদ্র মুক্ত দেশ গড়ে তুলেছি। শিক্ষা-সাংস্কৃতি, ক্রীড়া, উন্নয়নসহ সকল দিকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, এককিছুর পরেও কিছুটা ভয় আমাদের আছে। স্বাধীনতা সংগ্রামে যে পক্ষটি বিরোধীতা করেছে। যারা চেয়েছে, আমরা কখনো স্বাধীন না হই, যারা রবীন্দ্রনাথকে নিষিদ্ধ করে ছিলোো নজরুলকে খন্ডিত করেছিলো, আমাদের সংস্কৃতি চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করেছিলোো তারা এখনো বসে নেই। তারা তাদের চক্রান্ত করে যাচ্ছে। তারা আমাদের ধর্মের অপব্যখ্যা দিয়ে আমাদের সংস্কৃতির চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করছে।

দীপু মনি বলেন, এর থেকে উত্তরণে সংস্কৃতির পূর্নজাগরত প্রয়োজন। সমাজ-সংসার, ব্যক্তিজীবনে এই জাগরণ প্রয়োজন। ধর্মের খন্ডিত অপব্যখ্যা দিয়ে একটি জাতিকে সাংস্কৃতি চর্চা থেকে দূরে সরিয়ে রাখলে সে জাতি কখনোই এগিয়ে যেতে পারবে না। আমরা বাঙালী এটিই আমাদের পরিচয়। আমাদের এই পরিচয়কে খন্ডিত করার অপেচেষ্টাকে প্রতিরোধ করতে হবে। সংস্কৃতি আর রাজনীতি যখনই হাতে হাত মিলিয়ে রাজপথে হেঁটেছে তখনই আমাদের অধিকার আদায় হয়েছে।

আনন্দধ্বনি সঙ্গীত শিক্ষায়তনের সভাপতি মো. মোশারেফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও অধ্যক্ষ রফিক আহমেদ মিন্টুর পরিচালনায় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রজত শুভ, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. রনজিত রায় চৌধুরী, যুব লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাড. জাফর ইকবাল মুন্না, চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির পরিচালক গোপাল চন্দ্র সাহা, লেখক ও চিত্রশিল্পী মাইনুদ্দিন লিটন ভুইয়া, রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ চাঁদপুর শাখার সভাপতি লায়ন মাহমুদ হাসান খান, জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ খান বাদল, জেলা যুবলীগ নেতা গাজী আব্দুল গনি, মুকবুল মিয়াজী, ভাষ্কর্যশিল্পী মো. আজাদ হোসেন, শিশু থিয়েটারের সভাপতি পিএম বিল্লাল, কবি ইকবাল পারভেজ প্রমুখ।

দুই পর্বের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সান্ধ্যকালীন পর্বে গীতিনৃত্যালেখ্য অনুষ্ঠিত হয়। এর বৈকালিন পর্বে গান, আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করবে আনন্দধ্বনী সঙ্গীত শিক্ষায়তনের শিক্ষার্থীরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

চাঁদপুরের কচুয়ার সম্রাট ও তার ছেলে ফ্লাইট এক্সপার্ট এমডি সালমান গ্রাহকের কয়েক শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা

আমাদের সমাজ-সংসার এবং ব্যক্তিজীবনেও সংস্কৃতির পূর্নজাগরত প্রয়োজন-সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি

Update Time : 09:53:42 pm, Thursday, 18 April 2024

চাঁদপুরে শুদ্ধ সাংস্কৃতি চর্চা ও বিকাশের অনন্য প্রতিষ্ঠান আনন্দধ্বনি সঙ্গীত শিক্ষায়তনের আয়োজনে মনোমুগ্ধকর বর্ষবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে উৎসবমুখর এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।

বাঙালির শাশ্বত সংস্কৃতিকে ধারণ করে আনন্দধ্বনীর বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন আনন্দধ্বনির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে আমাদের অনেক স্নপ্ন। এই স্বপ্নটি আমাদের দেখিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি সুধু স্বপ্ন দেখাননি, আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়োছেন। আর এখন বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে। বাংলাদেষ সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা ক্ষুধা, দারিদ্র মুক্ত দেশ গড়ে তুলেছি। শিক্ষা-সাংস্কৃতি, ক্রীড়া, উন্নয়নসহ সকল দিকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, এককিছুর পরেও কিছুটা ভয় আমাদের আছে। স্বাধীনতা সংগ্রামে যে পক্ষটি বিরোধীতা করেছে। যারা চেয়েছে, আমরা কখনো স্বাধীন না হই, যারা রবীন্দ্রনাথকে নিষিদ্ধ করে ছিলোো নজরুলকে খন্ডিত করেছিলো, আমাদের সংস্কৃতি চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করেছিলোো তারা এখনো বসে নেই। তারা তাদের চক্রান্ত করে যাচ্ছে। তারা আমাদের ধর্মের অপব্যখ্যা দিয়ে আমাদের সংস্কৃতির চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করছে।

দীপু মনি বলেন, এর থেকে উত্তরণে সংস্কৃতির পূর্নজাগরত প্রয়োজন। সমাজ-সংসার, ব্যক্তিজীবনে এই জাগরণ প্রয়োজন। ধর্মের খন্ডিত অপব্যখ্যা দিয়ে একটি জাতিকে সাংস্কৃতি চর্চা থেকে দূরে সরিয়ে রাখলে সে জাতি কখনোই এগিয়ে যেতে পারবে না। আমরা বাঙালী এটিই আমাদের পরিচয়। আমাদের এই পরিচয়কে খন্ডিত করার অপেচেষ্টাকে প্রতিরোধ করতে হবে। সংস্কৃতি আর রাজনীতি যখনই হাতে হাত মিলিয়ে রাজপথে হেঁটেছে তখনই আমাদের অধিকার আদায় হয়েছে।

আনন্দধ্বনি সঙ্গীত শিক্ষায়তনের সভাপতি মো. মোশারেফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও অধ্যক্ষ রফিক আহমেদ মিন্টুর পরিচালনায় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রজত শুভ, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. রনজিত রায় চৌধুরী, যুব লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাড. জাফর ইকবাল মুন্না, চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির পরিচালক গোপাল চন্দ্র সাহা, লেখক ও চিত্রশিল্পী মাইনুদ্দিন লিটন ভুইয়া, রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ চাঁদপুর শাখার সভাপতি লায়ন মাহমুদ হাসান খান, জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ খান বাদল, জেলা যুবলীগ নেতা গাজী আব্দুল গনি, মুকবুল মিয়াজী, ভাষ্কর্যশিল্পী মো. আজাদ হোসেন, শিশু থিয়েটারের সভাপতি পিএম বিল্লাল, কবি ইকবাল পারভেজ প্রমুখ।

দুই পর্বের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সান্ধ্যকালীন পর্বে গীতিনৃত্যালেখ্য অনুষ্ঠিত হয়। এর বৈকালিন পর্বে গান, আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করবে আনন্দধ্বনী সঙ্গীত শিক্ষায়তনের শিক্ষার্থীরা।