মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ :
হাজীগঞ্জে ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম’ সেবা প্রদান সহজীকরণের লক্ষ্যে পেনশন স্কিম সেবা রেজিস্ট্রেশন বুথের উদ্বোধন করা হয়েছে। ‘সুখে ভরবে আগামীর দিন, পেনশন হবে সর্বজনীন’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে রোববার (২১ এপ্রিল) ৫৯টি রেজিস্ট্রেশন বুথের উদ্বোধন করেন, জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।
এদিন তিনি জেলার মোট ২২৭টি বুথের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) থেকে পেনশন স্কিম সেবা রেজিস্ট্রেশন বুথের কার্যক্রম শুরু করা হয়। এদিকে জেলা প্রশাসকের উদ্বোধনের পর হাজীগঞ্জের বুথগুলোর কার্যক্রম তদারকি করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল।
জানা গেছে, হাজীগঞ্জে ৫৯টি স্থানে সর্বজনীন পেনশন স্কিম রেজিস্ট্রেশন বুথ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। তার মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয় (ভূমি অফিস), পৌরসভা কার্যালয়, ১২টি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, ৯টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও ৩৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী উদ্যোগ। এতে করে সবধরনের শ্রেণি পেশার মানুষ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় চলে আসবে। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে কোনো ধরনের ঝুঁকি নেই। তাই সবাইকে দ্রুত রেজিষ্ট্রেশন করার অনুরোধ জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম’ সেবা প্রদান সহজীকরণের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক মহোদয় চাঁদপুরে ২২৭টি রেজিস্ট্রেশন বুথের উদ্বোধন করেছেন। এর মধ্যে হাজীগঞ্জে ৫৯টি বুথ রয়েছে। আমি আশাকরি আমরা নিজে সর্বজনীন পেনশন স্কিম গ্রহণ করবো এবং অন্যকে উৎসাহিত করবো।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি এমনভাবে করা হচ্ছে যাতে দেশের ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সব নাগরিকই এ ব্যবস্থার আওতায় আসতে পারবেন এবং ৬০ বছর বয়স থেকে তারা আজীবন পেনশন পাবেন।
শুরুর দিকে চিন্তা না থাকলেও পরে ৫০ বছরের বেশি বয়সীদেরও পেনশন কর্মসূচির আওতায় রাখার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। তারা টানা ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার পরই পেনশন সুবিধা পাবেন। আপাতত চার শ্রেণির জনগোষ্ঠীর জন্য চার ধরনের পেনশন কর্মসূচি চালু করা হচ্ছে।
এগুলো হচ্ছে, প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রবাসী। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য ‘প্রগতি’, স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য ‘সুরক্ষা’, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ‘প্রবাসী’ এবং দেশের নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য ‘সমতা’ শীর্ষক কর্মসূচি চালু করা হবে।
‘প্রগতি’ ও ‘সুরক্ষা’ কর্মসূচির আওতায় মাসিক চাঁদার হার নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। ‘প্রবাসী’ কর্মসূচিতে মাসিক চাঁদার হার ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা। ‘সমতা’ কর্মসূচিতে মাসিক চাঁদা ৫০০ টাকা। এ কর্মসূচিতে সমপরিমাণ অর্থাৎ ৫০০ টাকা করে চাঁদা দেবে সরকার।