ঢাকা 4:38 pm, Wednesday, 29 October 2025

হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সুষ্ঠ, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত, ভোট পড়েছে ১৮.৪২%

  • Reporter Name
  • Update Time : 11:39:51 pm, Tuesday, 21 May 2024
  • 35 Time View

ছবি-ত্রিনদীি

হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে ১ হাজার ৫১৮ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মো. হেলাল উদ্দিন মিয়াজী। তিনি আনারস প্রতীকে ২৬ হাজার ৫৮৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী জসিম উদ্দিন পেয়েছেন ২৫ হাজার ৭০ ভোট।

এছাড়াও অপর প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আবু সুফিয়ান মজুমদার রানা পেয়েছেন ১ হাজার ৩০ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে ৩ হাজার ৮৮৫ ভোট বেশি পেয়ে রাবেয়া আক্তার নির্বাচিত হন। তিনি প্রজাপতি প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৮৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী রুবি আক্তার পেয়েছেন ২৪ হাজার ১৯৯ ভোট।

এ আগে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন কামরুজ্জামান সুমন। তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক মুরাদ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় তিনি বিনাপ্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচন হন। মঙ্গলবার (২১ মে) রাত সাড় আটটার দিকে ফলাফলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল।

এ দিন বিকাল সাড়ে চারটার পর থেকে উপজেলা কন্ট্রোল রুমে কেন্দ্র থেকে ফলাফল আসতে থাকে। আর একে একে প্রতিটি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফারুক হোছাইন। এসময় প্রশাসনিক ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা, সংবাদকর্মী, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচনী ফলাফল সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ২ লাখ ৮৬ হাজার ৪৮৭ জন ভোটারের মধ্যে ৫২ হাজার ৭৮০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৯২ ভোট অবৈধ ও ৫২ হাজার ৬৮৮ ভোট বৈধ হয় এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৯৭ ভোট অবৈধ ও ৫২ হাজার ২৮৩ ভোট বৈধ হয়। শতকরা হিসেবে উপজেলায় ১৮.৪২ ভাগ ভোট কাস্ট হয়েছে।

এর আগে নির্বাচনে ১২টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার মোট ৮৮টি কেন্দ্রে ৭২০টি বুথে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ইভিএম এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয় এবং নির্বাচনে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ হয়েছে। একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার সদস্যদের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরা টহলরত অবস্থায় ছিলেন।

এ দিকে দিনব্যাপী এই নির্বাচনে উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেও কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি ছিলো কম। দুই/চারটি কেন্দ্র ছাড়া কোথাও দীর্ঘ লাইন দেখা যায়নি। কিছুক্ষণ পরপর দু-একজন করে ভোটার এসেছেন কেন্দ্রে। এজন্য কোথাও ভোটারের লাইন লক্ষ করা যায়নি। ফলে নিরিবিলি পরিবেশে ভোট চলছে কেন্দ্রগুলোতে। অনেক কেন্দ্রে অলস সময় পার করছেন নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্তরা।

এ দিকে কেন্দ্রের ভিতরে ভোটারের উপস্থিতি কম থাকলেও বাহিরে দলীয় নেতাকর্মী ও প্রার্থীর সমর্থকদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এর আগে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থাসহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। যার ফলে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রে পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার বশির আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) পঙ্কজ কুমার দে, হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদসহ অন্যান্য প্রশাসনিক ও আইন-শৃঙ্খল বাহিনীর কর্মকর্তা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

মতলবে সহপাঠীদের সাথে গোসল করতে গিয়ে ১৪ বছর বয়সি মাদ্রাসা ছাত্রের পানিতে ডু’বে মৃ’ত্যু

হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সুষ্ঠ, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত, ভোট পড়েছে ১৮.৪২%

Update Time : 11:39:51 pm, Tuesday, 21 May 2024

হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে ১ হাজার ৫১৮ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মো. হেলাল উদ্দিন মিয়াজী। তিনি আনারস প্রতীকে ২৬ হাজার ৫৮৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী জসিম উদ্দিন পেয়েছেন ২৫ হাজার ৭০ ভোট।

এছাড়াও অপর প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আবু সুফিয়ান মজুমদার রানা পেয়েছেন ১ হাজার ৩০ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে ৩ হাজার ৮৮৫ ভোট বেশি পেয়ে রাবেয়া আক্তার নির্বাচিত হন। তিনি প্রজাপতি প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৮৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী রুবি আক্তার পেয়েছেন ২৪ হাজার ১৯৯ ভোট।

এ আগে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন কামরুজ্জামান সুমন। তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক মুরাদ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় তিনি বিনাপ্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচন হন। মঙ্গলবার (২১ মে) রাত সাড় আটটার দিকে ফলাফলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল।

এ দিন বিকাল সাড়ে চারটার পর থেকে উপজেলা কন্ট্রোল রুমে কেন্দ্র থেকে ফলাফল আসতে থাকে। আর একে একে প্রতিটি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফারুক হোছাইন। এসময় প্রশাসনিক ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা, সংবাদকর্মী, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচনী ফলাফল সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ২ লাখ ৮৬ হাজার ৪৮৭ জন ভোটারের মধ্যে ৫২ হাজার ৭৮০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৯২ ভোট অবৈধ ও ৫২ হাজার ৬৮৮ ভোট বৈধ হয় এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৯৭ ভোট অবৈধ ও ৫২ হাজার ২৮৩ ভোট বৈধ হয়। শতকরা হিসেবে উপজেলায় ১৮.৪২ ভাগ ভোট কাস্ট হয়েছে।

এর আগে নির্বাচনে ১২টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার মোট ৮৮টি কেন্দ্রে ৭২০টি বুথে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ইভিএম এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয় এবং নির্বাচনে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ হয়েছে। একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার সদস্যদের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরা টহলরত অবস্থায় ছিলেন।

এ দিকে দিনব্যাপী এই নির্বাচনে উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেও কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি ছিলো কম। দুই/চারটি কেন্দ্র ছাড়া কোথাও দীর্ঘ লাইন দেখা যায়নি। কিছুক্ষণ পরপর দু-একজন করে ভোটার এসেছেন কেন্দ্রে। এজন্য কোথাও ভোটারের লাইন লক্ষ করা যায়নি। ফলে নিরিবিলি পরিবেশে ভোট চলছে কেন্দ্রগুলোতে। অনেক কেন্দ্রে অলস সময় পার করছেন নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্তরা।

এ দিকে কেন্দ্রের ভিতরে ভোটারের উপস্থিতি কম থাকলেও বাহিরে দলীয় নেতাকর্মী ও প্রার্থীর সমর্থকদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এর আগে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থাসহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। যার ফলে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রে পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার বশির আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) পঙ্কজ কুমার দে, হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদসহ অন্যান্য প্রশাসনিক ও আইন-শৃঙ্খল বাহিনীর কর্মকর্তা।