হাজীগঞ্জে প্রাইম ব্যাংকের একাউন্ট থেকে গ্রাহকের টাকা উধাও হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (৩০ জুন) ব্যাংকের গ্রাহক মাসুদা ও সুমি আক্তার নামের দুইজন গ্রাহক সংবাদকর্মীদের কাছে তাদের টাকা উধাওয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ভুক্তভোগী সুমি আক্তার জানান, গত বুধবার (২৫ জুন) চেক রিসিভ করার জন্য মোবাইলে একটি ম্যাসেজ আসে। এরপর তিনি বৃহস্পতিবার ৫ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। টাকা উত্তোলনের পর তার একাউন্টে ছিলো ১ লাখ ২৭ হাজার টাকা। গতকাল তিনি ফেসবুকে দেখতে পান, প্রাইম ব্যাংক হাজীগঞ্জ শাখার একজন গ্রাহকের একাউন্ট থেকে টাকা উধাও হয়ে গেছে।
তিনি আরো জানান, ম্যাসেজটি দেখতে পেয়ে আজ (সোমবার) ব্যাংকে এসে জানতে পারেন, তার একাউন্টেও টাকা নেই। তারপর ব্যাংক স্ট্যাটম্যান্টে দেখেন ৬টি ধাপে মোট ১ লাখ ২৭ হাজার টাকা বিকাশে ট্রান্সফার হয়েছে। তিনি বলেন, এই টাকা তিনি ট্রান্সফার করিনি এবং আমার মোবাইলেও কোন ধরনের ওটিপি (নম্বর) ম্যাসেজ আসেনি।
মাসুদা নামের অপর এক ভুক্তভোগী জানান, তার একাউন্ট থেকেও ১ লাখ ৩১ হাজার টাকা উধাও হয়ে গেছে। তিনিও কোন টাকা ট্রান্সফার করেন নি এবং তার মোবাইলেও কোন ধরনের ওটিপি (নম্বর) যায়নি।
সোমবার দুপুরে সরেজমিন ব্যাংক পরিদর্শনকালীন সময়ে সাখাওয়াত হোসেন নামের একজন গ্রাহক সংবাদকর্মীদের জানান, তার একাউন্টে ৫ লাখ টাকা আছে। এই টাকা উত্তোলন কিংবা ট্রান্সফারের জন্য গত ২৭-২৯ জুন পর্যন্ত তার মোবাইলে অন্তঃত ১৫টি ওটিপি এসেছে। তিনি ওটিপি নম্বর কারো সাথে শেয়ার না করে আজ (সোমবার) প্রাইম ব্যাংক থেকে অন্য একটি ব্যাংকের একাউন্টে তার ৫ লাখ ট্রান্সফার করেছেন।
এ বিষয়ে প্রাইম ব্যাংকের হাজীগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি তারা দেখছেন।
এদিকে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি, হেড অফিস থেকে লিখিত একটি বক্তব্য সংবাদকর্মীদের দেওয়া হয়েছে। ওই বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রাইম ব্যাংক সবসময় গ্রাহকবান্ধব নীতি অনুসরণ করে এবং দেশের প্রচলিত আইন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিয়ম মেনে চলার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইন প্রতারণার মাধ্যমে টাকা নেওয়ার ঘটনা ঘটছে, যা খুবই উদ্বেগজনক।
প্রাইম ব্যাংকের হাজীগঞ্জ শাখার একজন গ্রাহকের অভিযোগ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখছি। আমাদের সকল সম্মানিত গ্রাহকের প্রতি অনুরোধ-কোনো অবস্থাতেই কাউকে আপনার ওটিপি, পাসওয়ার্ড বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের গোপন তথ্য শেয়ার করবেন না।