“চাঁদপুরের কচুয়া মহাসড়কে বিভিন্ন পরিবহন, ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের চালকদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজির সময় ০৩ জন চাঁদাবাজকে হাতে নাতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
(রবিবার) ১৩ জুলাই চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানা এলাকায় স্পেশাল টহল ডিউটিকালীন সময়ে দিবাগত রাত্রি আনুমানিক ০৩:৩০ ঘটিকার সময় কচুয়া পৌরসভা এলাকায় অবস্থানকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কচুয়া পৌরসভাস্থ কচুয়া বিশ্বরোড ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন গৌরিপুর টু হাজীগঞ্জগামী পাকাসড়কের উপর কতিপয় চাঁদাবাজ বিভিন্ন পরিবহণ থেকে চাঁদাবাজি করছে। তাৎক্ষনিক বিষয়টি অবগত হয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছলে ৩ জন ব্যক্তিকে একটি কাভার্ড ভ্যান হতে চাঁদা গ্রহনকালে দেখতে পেয়ে টহল পিকআপ থামিয়ে র্যাব সদস্যরা কাছে যেতেই তারা র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে ০৩ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃতদের পালানোর কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা কোন সদুত্তর দিতে না পারায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত যে সকল কাভার্ড ভ্যান ও পরিবহন হতে চাঁদা আদায় করেছিল সেই চালকদের সামনে তাদেরকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে স্বীকার করে যে, তারা ঘটনাস্থলে বিভিন্ন পরিবহন হতে চাঁদা আদায় করতেছিল।
তখন ঘটনাস্থলে হতে ১। মেহেদী হাসন তারেক (২৪), পিতা- মৃত আলমগীর হোসেন, মাতা-ফজিলত বেগম, ২। মোঃ শাহজালাল (২৪), পিতা- মোশারফ হোসেন, মাতা-ফাতেমা বেগম, উভয় সাং- আকানিয়া, পোষ্ট-নিশ্চিন্তপুর, ৩। জাহিদ হাসান ফরহাদ রবিন (২৩), পিতা-মফিজ মিয়া, মাতা-ফরিদা ইয়াছমিন, সাং-পলাশপুর, পোষ্ট-কচুয়া, সর্ব থানা-কচুয়া, জেলা-চাঁদপুরদের গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের দখল হতে ০৩ টি চাঁদা আদায়ের রশিদ বই, আদায়কৃত চাঁদা ১২৪১০/- টাকা, ০৩ টি স্টিলের রড এবং ০১ টি টর্চ লাইট উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষনিকভাবে উপস্থিত সাক্ষী ও র্যাব সদস্যদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, তারা ঘটনাস্থলে বিভিন্ন পরিবহণ (বাস, কাভার্ড ভ্যান, ট্রাক) হতে চাঁদা আদায় করছিল।
আটককৃত আসামিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য তাদেরকে চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র, মাদক উদ্ধার, চাঞ্চল্যকর হত্যা এবং বিভিন্ন আলোচিত অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধীদের দ্রুততম সময়ে গ্রেফতারের মাধ্যমে র্যাব ইতোমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১ গত ০৫ আগষ্ট ২০২৪ তারিখ হতে অদ্যবধি দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিভিন্ন অভিযানে চাঞ্চল্যকর অপরাধী ১৪৯ জন, আরসা সদস্য-১৫ জন, হত্যা মামলায় ১৫৪ জন গ্রেফতার, ধর্ষণ মামলায় ৬৩ জন গ্রেফতার, অস্ত্র সংক্রান্ত মামলায় ১৯ জন গ্রেফতারসহ ৯২ টি অস্ত্র, ১২৯৩ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার এবং ৩৪৭ জন এর অধিক মাদক কারবারি গ্রেফতারসহ বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করে র্যাব-১১। পাশাপাশি ৬২ জন অপহরণকারী গ্রেফতারসহ ৬৩ জন ভিকটিম উদ্ধার এবং ছিনতাইকারী ও ডাকাত ৬৬ জন, জেল পলাতক ৩৮ জন, প্রতারণার আসামী-১৫ জন সহ অন্যান্য অপরাধী প্রায় ৩৬৩ জনকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে র্যাব-১১ জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।