ঢাকা ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মানসিক ভারসাম্যহানী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে অ্যাম্বুলেন্স চালক গ্রেপ্তার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:০৪:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৮১ Time View
মানসিক ভারসাম্যহানী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে অ্যাম্ব
 চাঁদপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে (২৪) অ্যাম্বুলেন্সে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে চালক মো. মুরাদ হোসেনকে (৩৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ওই নারীর ছোট বোনজামাতা সদর মডেল থানায় চালকসহ অজ্ঞাতনামা আরো দুই-তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া।
গ্রেপ্তার চালক মুরাদ চাঁদপুর শহরের প্রফেসর পাড়া ৯নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোস্তফা বেপারীর ছেলে। আনঞ্জুমান নামীয় অ্যাম্বুলেন্সটি তিনি ভাড়ায় নিয়ে পরিচালনা করতেন। ধর্ষণের শিকার ওই নারী জেলার শাহরাস্তি উপজেলার।
মডেল থানা পুলিশ জানায়, শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত সোয়া ১২টা থেকে সাড়ে ৩টার মধ্যে সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের নিজগাছতলা নামক স্থানে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই সময় ওই সড়কে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইবাদুল হক ও সঙ্গীয় ফোর্স টহলরত অবস্থায় ছিলেন। অ্যাম্বুলেন্সটি সড়কের পাশে থামানো অবস্থায় দেখে সন্দেহে হলে তল্লাশি চালিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করেন এবং অ্যাম্বুলেন্সসহ চালককে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
গ্রেপ্তার চালক ও অন্যান্য অ্যাম্বুলেন্স চালকদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, চালক মুরাদ হোসেন ঢাকা থেকে রোগী নিয়ে পাশের লক্ষ্মীপুর জেলায় যান। সেখান থেকে চাঁদপুরে আসার পথে লক্ষ্মীপুর বাসস্ট্যান্ডে ঘুরাঘুরি অবস্থায় কয়েকজনের সহযোগিতায় ওই নারীকে যাত্রীবেশে তার অ্যাম্বুলেন্সে তুলে নিয়ে আসে। এরপরেই অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে জোরপূর্বক ধষর্ণের ঘটনা ঘটে।
স্বজনরা জানান, ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন এবং স্বামী পরিত্যক্তা। তার বাবা মার সাথে বাড়িতে থাকেন। মাঝে মধ্যে মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে পরিবারের সদস্যদের অজান্তে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেত। মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী ৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে বাড়ির সকলের অজান্তে বের হয়ে যায়। এরপর বাড়িতে না আসায় পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে পায়নি। আজ শনিবার চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের মাধ্যমে সংবাদ পায় নিখোঁজ নারী থানা হেফাজতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চাঁদপুর সরকারি হাসপাতাল এলাকায় অবস্থানরত একাধিক অ্যাম্বুলেন্স চালক জানান, মুরাদের এ ঘটনাই শুধু নয়, হাসপাতালের কর্মচারি ও সহযোগী অ্যাম্বুলেন্স চালকদের সাথে প্রায় সময় অসৌজন্যমুলক আচরণ করেন। চাঁদপুর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা রোগীদের ঢাকা মেডিকেলে না নিয়ে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যান। এটা তার নতুন কাজ নয়, পুরনো অভ্যাস।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া বলেন, জানতে পেরেছি ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন। প্রায় সময় নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে যেত। লক্ষ্মীপুর বাসস্ট্যান্ডে ঘুরাঘুরি অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্স চালক তাকে তুলে নিয়ে আসে। এই ঘটনায় তার আত্মীয় থানায় মামলা করেছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

কচুয়ায় এসএসসি ২০০০ ব্যাচ ফ্রেন্ডস ক্লাবের বন্ধুত্বদের মিলন মেলা

মানসিক ভারসাম্যহানী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে অ্যাম্বুলেন্স চালক গ্রেপ্তার

Update Time : ০৫:০৪:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মানসিক ভারসাম্যহানী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে অ্যাম্ব
 চাঁদপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে (২৪) অ্যাম্বুলেন্সে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে চালক মো. মুরাদ হোসেনকে (৩৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ওই নারীর ছোট বোনজামাতা সদর মডেল থানায় চালকসহ অজ্ঞাতনামা আরো দুই-তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া।
গ্রেপ্তার চালক মুরাদ চাঁদপুর শহরের প্রফেসর পাড়া ৯নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোস্তফা বেপারীর ছেলে। আনঞ্জুমান নামীয় অ্যাম্বুলেন্সটি তিনি ভাড়ায় নিয়ে পরিচালনা করতেন। ধর্ষণের শিকার ওই নারী জেলার শাহরাস্তি উপজেলার।
মডেল থানা পুলিশ জানায়, শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত সোয়া ১২টা থেকে সাড়ে ৩টার মধ্যে সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের নিজগাছতলা নামক স্থানে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই সময় ওই সড়কে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইবাদুল হক ও সঙ্গীয় ফোর্স টহলরত অবস্থায় ছিলেন। অ্যাম্বুলেন্সটি সড়কের পাশে থামানো অবস্থায় দেখে সন্দেহে হলে তল্লাশি চালিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করেন এবং অ্যাম্বুলেন্সসহ চালককে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
গ্রেপ্তার চালক ও অন্যান্য অ্যাম্বুলেন্স চালকদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, চালক মুরাদ হোসেন ঢাকা থেকে রোগী নিয়ে পাশের লক্ষ্মীপুর জেলায় যান। সেখান থেকে চাঁদপুরে আসার পথে লক্ষ্মীপুর বাসস্ট্যান্ডে ঘুরাঘুরি অবস্থায় কয়েকজনের সহযোগিতায় ওই নারীকে যাত্রীবেশে তার অ্যাম্বুলেন্সে তুলে নিয়ে আসে। এরপরেই অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে জোরপূর্বক ধষর্ণের ঘটনা ঘটে।
স্বজনরা জানান, ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন এবং স্বামী পরিত্যক্তা। তার বাবা মার সাথে বাড়িতে থাকেন। মাঝে মধ্যে মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে পরিবারের সদস্যদের অজান্তে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেত। মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী ৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে বাড়ির সকলের অজান্তে বের হয়ে যায়। এরপর বাড়িতে না আসায় পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে পায়নি। আজ শনিবার চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের মাধ্যমে সংবাদ পায় নিখোঁজ নারী থানা হেফাজতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চাঁদপুর সরকারি হাসপাতাল এলাকায় অবস্থানরত একাধিক অ্যাম্বুলেন্স চালক জানান, মুরাদের এ ঘটনাই শুধু নয়, হাসপাতালের কর্মচারি ও সহযোগী অ্যাম্বুলেন্স চালকদের সাথে প্রায় সময় অসৌজন্যমুলক আচরণ করেন। চাঁদপুর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা রোগীদের ঢাকা মেডিকেলে না নিয়ে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যান। এটা তার নতুন কাজ নয়, পুরনো অভ্যাস।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া বলেন, জানতে পেরেছি ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন। প্রায় সময় নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে যেত। লক্ষ্মীপুর বাসস্ট্যান্ডে ঘুরাঘুরি অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্স চালক তাকে তুলে নিয়ে আসে। এই ঘটনায় তার আত্মীয় থানায় মামলা করেছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।