হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সেতুর উত্তর ও দক্ষিণ পাশের রাস্তার দুই পাশে ঝোপঝাড় পরিষ্কার করে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় কয়েকটি সামাজিক সংগঠন।
রোববার বিকেল ৩টায় হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়কের ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইবনে আল জায়েদ হোসেন ও হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহিউদ্দিন ফারুক।
পুরো কার্যক্রমের নেতৃত্ব দেন গণমাধ্যমকর্মী ও সমাজকর্মী সাইফুল ইসলাম সিফাত।
অভিযানে অংশ নেয় হাজীগঞ্জ উপজেলা যুব রেডক্রিসেন্ট দল, সুহিলপুর যুব ব্লাড ফাউন্ডেশন, লাল সবুজ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বাতিঘর মানবকল্যাণ সংস্থা, সিই কমার্স ফাউন্ডেশন, আমাদের হাজীগঞ্জ গ্রুপসহ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী ও শিক্ষার্থীরা।
বিকেল ৩টায় শুরু হওয়া অভিযান শেষ হয় সন্ধ্যা ৭টায়।
সড়কের দু’পাশে ঝোপঝাড় থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছিলো এবং অপরাধীদের জন্য তৈরি হয়েছিল নিরাপদ আশ্রয়স্থল। ছিনতাইকারীরা সহজে অপকর্ম সম্পন্ন করে পালিয়ে যেতে পারতো। স্থানীয়রা সড়ক ও জনপদ বিভাগকে একাধিকবার জানিয়েও প্রতিকার না পেয়ে শেষ পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো নিজেরাই মাঠে নামে।
কার্যক্রমের নেতৃত্বদানকারী সাইফুল ইসলাম সিফাত বলেন, “একটি সুস্থ ও সুন্দর শহর গড়তে আমাদের প্রত্যেকেরই দায়িত্ব আছে। প্রতিদিন যে কেউ যদি মাত্র এক ঘণ্টা সময় সমাজের কল্যাণে ব্যয় করে, তবে অল্প সময়েই পরিচ্ছন্ন ও সবুজ হাজীগঞ্জ গড়ে তোলা সম্ভব।”
তিনি আরও বলেন, “এই অভিযান শুধু রাস্তা পরিষ্কার নয়, এটি নাগরিক সচেতনতারও বার্তা দেয়। মানুষ যদি নিজের চারপাশটুকু পরিষ্কার রাখে, তাহলে প্রশাসন ও সমাজ মিলে আমরা একটি গ্রীন হাজীগঞ্জ গড়তে পারবো।”
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অভিযানে উপস্থিত ছিলেন এস. এম. মিরাজ মুন্সী, রোটা. নিশান রহমান, মেজবাহ আহমেদ, আসাদুজ্জামান নূর, শরিফ হোসেন, ইয়াসিন আরাফাত, নিরব আহমেদ, জাবেদ পাটোয়ারী, আল আমিন মজুমদার, সাকিব মুন্সী, রাকিব চৌধুরী, মারুফ পাটোয়ারী, বোরহান উদ্দিন, আরাফ, জাহিদুল ইসলাম, মাহাথির, ইউসুফ, ইমাম হাসান ও নূর আলম পাটোয়ারীসহ অনেকে।
অভিযানে সহযোগিতা করেন পিজ্জা ওয়ালী, হাজীগঞ্জ পৌরসভা ও ট্রাফিক বিভাগ।
স্থানীয়রা উদ্যোগটিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এমন নাগরিক সচেতনতা ও ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসই হাজীগঞ্জকে পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ নগরে পরিণত করবে।