গত ২৭ অক্টোবর সোমবার ভোর আনুমানিক পৌনে ৫টায় শাহরাস্তি উপজেলার মেহের দক্ষিনে ইউনিয়নের মালোরা ভূঁইয়া বাড়ির মোস্তফা মিয়া (৬০)কে হত্যার উদ্দেশ্যে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ফেলে রাখে। স্থানীয়রা তাকে আশঙ্কাজনকভাবে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
শাহরাস্তি হাসপাতাল থেকে রেফার করা হয় কুমিল্লায় কুমিল্লা থেকে ঢাকায়, বর্তমানে কুমিল্লায় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। মোস্তফা গিয়া স্বিকার উক্তিতে জানা গেছে, একই বাড়ির মিজানুর রহমান ও তার সহযোগীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ি ভাবে দাও দিয়ে কুপিয়ে জখম করে তিনি তার দাও ও কাপড় রেখে দিয়েছেন, এতে প্রমাণিত হয়েছে মিজান তাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। এ ব্যাপারে সারারাত্তি থানায় মোস্তফা আমি আর ছেলে মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে মিজান গং দের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে পুলিশ মিজান এর স্ত্রী ফুলবানু ও মিজান কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। শাহারাস্তি থানা মামলা রং ১৮তাং ২৭/১০/২৫, জি আর মামলা নং ১৬৭, ধারা১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৫০৬/৩৪ রুজু করা হয়েছ।
বাদী মোশারফ হোসেন জানান, আসামিরাজামীনে এসে তাদেরকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। মুসল্লীকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা ঘটনায় প্রধান আসামির দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী। ৯ নভেম্বর ২০২৫, রবিবার, শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদ চত্বরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তারা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, বিশেষ করে ফাঁসির দাবি জানান। এসময় বক্তব্য রাখেন, মামলার বাদি আহতের ছোট ভাই মোঃ রফিকুল ইসলাম, আহত এর বড় ছেলে মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, এলাকাবাসীর পক্ষে কাউসার ভূঁইয়া, রশিদা বেগম বক্তব্য রাখেন।
তারা বক্তব্য বলেন, তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অভিযুক্ত মিজানুর রহমানের ফাঁসির দাবি তোলেন। তাদের ভাষায়, সন্ত্রাসী মিজান ও তার সঙ্গীরা দেশি অস্ত্র দিয়ে মোস্তফা ভূঁইয়াকে কুপিয়েছে। তাই আমরা এলাকাবাসীরা খুনী মিজাননার ফাঁসি চাই।এছাড়া তারা আরও বলেন, ইতোমধ্যে দু’জন আসামী জামিনে এসে মুঠোফোনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন।
মোঃ হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া: 





















