জানা গেছে, মিতা আক্তারের স্বামী মারা যাওয়ার পর তার দুই সন্তানকে নিয়ে নানি পেয়ারা বেগমের বাড়িতে বাসা ভাড়া থাকেন। শুক্রবার সকালে তিনি গৃহস্থালির কাজ করতে গিয়ে পুকুরে পানিতে ডুবে মারা যান। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি পাকা ঘাটলায় পা পিছলে পড়ে পুকুরের পানিতে তলিয়ে যান এবং সাঁতার না জানায় তিনি মারা যান।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকালে নিজ বাড়ির ছাদে আগুন পোহাচ্ছিলেন পেয়ারা বেগম। এসময় অসাবধানতাবশত তাঁর পরনের কাপড়ে আগুন ধরে তিনি অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। তাৎখনিক স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর পেয়ারা বেগমের শারিরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং সেখানে তিনি শুক্রবার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এদিকে একই দিনে নাতি-নাতিনের মৃত্যুর ঘটনায় নিহতের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন’সহ ওই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল জব্বার জানান, খবর পেয়ে ওই বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ দাফনের জন্য পরিবারের সদস্যরা আবেদন করেছেন বলে জানতে পেরেছি। আবেদনপত্র হাতে পেলে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Reporter Name 
















