চাঁদপুর প্রতিনিধি ॥ চাঁদপুর-চট্রগ্রাম রেলপথে চলাচলকারী মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সোমবার দিনগত রাতে ৫ঘন্টা বিলম্বে চাঁদপুরে এসে পৌছায়। যার ফলে এ রুটে চলাচলকারী শত শত যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়ে খাবারে কষ্ট পেয়ে রাত্রি যাপন করতে হয়েছে। সব চেয়ে বেশী দুর্ভোগে পড়েন নারী ও শিশু যাত্রীরা। তারা পানি ও খাদ্যাভাবে অতিকষ্টের মধ্যে ৫ ঘন্টা অতিবাহিত করতে হয়েছে।
যাত্রীদের অভিযোগ, রেলওয়ের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা তাদেরকে এ ৫ ঘন্টার মধ্যে কোন প্রকার খোঁজ-খবর নেয়া এবং খাবারের জন্য কোনভাবে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেননি। এ ছাড়া ট্রেনের টয়লেটে পরিমান মত পানি না থাকায় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যাত্রীরা টয়লেট ব্যবহার করতে না পারায় আরো বেশী কস্ট শিকার হয়েছেন।
অন্যদিকে ট্রেনটি বিভিন্নস্থানে অবস্থানকালে ট্রেনে পর্যাপ্ত আলো এবং আইনশৃংখলা বাহিনী না থাকায় যাত্রীরা তাদের মূল্যবান মালামাল নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ও আতংকের মধ্যে ছিলেন।
ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে ছাড়ার পরেই ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে পড়ে এবং এ পথের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় অনেক গাছ ভেঙে পড়ে রেলপথের লাইনের ওপর। প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় ট্রেন চলাচলে।
চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের দায়িত্বরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী এসএসএই (পথ) লিয়াকত আলী মজুমদার বলেন, ঘুর্ণিঝড়ের কারণে চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের বিভিন্ন স্থানে গাছ ও গাছের ডাল রেল লাইনের ওপরে ভেঙে পড়ে। তবে আমাদের লোকজন সতর্ক থাকার কারণে গাছ ও গাছের ডাল অপসারণ করে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করে। যে কারণে মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি পৌঁছাতে বিলম্ব হয়। তবে সবচাইতে বেশী গাছ ও ডাল ভেঙে পড়েছে হাজীগঞ্জের বাকিলা রেলক্রসিং এর পরে।
চাঁদপুর রেল স্টেশনের স্টেশন মাষ্টার শোয়েবুল ইসলাম জানান, সোমবার বিকেল ৫টায় চট্রগ্রাম থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেন রাত সাড়ে ৯টার মধ্যে পৌঁছানোর কথা থাকলেও ঘুর্ণিঝড়ে লাইনে গাছ ও ডাল ভেঙে পড়ায় আসতে বিলম্ব হয়। রাত ১টা ২৫ মিনিটে এসে চাঁদপুর স্টেশনে পৌঁছায় মেঘনা এক্সপ্রেস। তবে যাত্রীদের কোন ধরণের সমস্যা হয়নি। কারণ ঝড়ের সংবাদ পেয়ে বরিশালের কোন যাত্রী এই ট্রেনে আসেনি। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) যথারীতি ভোর ৫টায় ট্রেনটি চাঁদপুর থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।