ঢাকা ১০:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও তুরাগ ছাড়া অন্য কোনো জায়গা সেটি ভেবে দেখবে বিএনপি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:২৭:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৬১ Time View

ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও তুরাগ ছাড়া অন্য কোনো জায়গা যদি ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশস্থল হিসেবে প্রস্তাব করা হয় সেটি ভেবে দেখবে বিএনপি। দলের পক্ষে এ কথা জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

সোমবার বেলা ১টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

এতে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিভাগীয় গণসমাবেশের বিকল্প জায়গার বিষয়ে দলের মত তুলে ধরেন তিনি।
সম্মেলনে মির্জা আব্বাস বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সোহরাওয়ার্দী ও তুরাগ ছাড়া ঢাকা মহানগরীর মধ্যে অন্য নিরাপদ জায়গায় সমাবেশ করতে বললে তারা ভেবে দেখবে। পুলিশ যদি আমাদের কাছে ভেন্যুর নাম জানতে চায় আমরা বলতে রাজি আছি।

নয়াপল্টন বাদে বিএনপির কোনো পছন্দ আছে কিনা— এমন প্রশ্নে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমাদের পছন্দ থাকলেও সেটি যদি তারা আমাদের জিজ্ঞাসা করেন তখন বলব।’

পছন্দের জায়গার কোনো তালিকা আছে কিনা, জানতে চাইলে এ নেতা বলেন, ‘এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।’
সমাবেশ কেন্দ্র করে ঢাকা শহরে ভীতিকর অবস্থা তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন দলটির অন্যতম নীতি নির্ধারক। বলেন, কর্মীদের নিয়ে লিফলেট বিতরণ করতে গেলে বিএনপির ঢাকা মহানগরের নেতা ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের ওপর জগন্নাথ বিদ্যালয়ের সামনে গতকাল ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছেন।

ইশরাক হোসেন প্রাণে বাঁচলেও তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। অসংখ্য নেতাদের ওপর হামলা করা হয়েছে।
লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে হামলা হলে সেখানে যদি পাল্টা হামলা হয় তাহলে এর দায় সরকারকে নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মির্জা আব্বাস।

ক্ষোভ প্রকাশ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা বলেছি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করব। আমাদের কি লিফলেট বিতরণ নিষেধ! সমাবেশের জন্য প্রস্তুতিমূলক কাজে কি নিষেধাজ্ঞা আছে? সভা-সমাবেশ করা তো আমার সাংবিধানিক অধিকার।’
সরকারকে অভয় দিয়ে এ বিএনপি নেতা বলেন, ‘একটা সভায় সরকার পতন হবে না। সরকার কেন ভয় পায়, বুঝি না।’
নয়াপল্টনের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা সৃষ্টি না করার অনুরোধ জানিয়ে সরকারের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, হামলা-মামলা বন্ধ করুন। সমাবেশে যারা অংশ নেবেন, যারা আসবেন বলে ধারণা করেছেন, সেখানে হামলা হচ্ছে অভিযোগ করে আব্বাস বলেন, ঢাকা জেলার সভাপতি আশফাকের বাসায় হামলা হয়েছে।

তবে বিএনপির কর্মীরা ভীত নন় জানিয়ে বিএনপির এ ই নীতিনির্ধারক বলেন, সন্ত্রাস মোকাবিলা করেই সমাবেশ করবে বিএনপি।

‘৯টি সমাবেশে ছাড় দেওয়া হয়েছে, বিএনপিকে আর ছাড় দেওয়া হবে না’—আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বাংলাদেশ কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি। উনি কিছু দিন ধরে প্রলাপ করছেন। এই প্রলাপ কী আমরা মেনে নেব!’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

১০ম গ্রেডসহ ৫ দফা দাবী বাস্তবায়নে ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের স্মারকলিপি প্রদান

ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও তুরাগ ছাড়া অন্য কোনো জায়গা সেটি ভেবে দেখবে বিএনপি

Update Time : ০৭:২৭:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২

ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও তুরাগ ছাড়া অন্য কোনো জায়গা যদি ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশস্থল হিসেবে প্রস্তাব করা হয় সেটি ভেবে দেখবে বিএনপি। দলের পক্ষে এ কথা জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

সোমবার বেলা ১টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

এতে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিভাগীয় গণসমাবেশের বিকল্প জায়গার বিষয়ে দলের মত তুলে ধরেন তিনি।
সম্মেলনে মির্জা আব্বাস বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সোহরাওয়ার্দী ও তুরাগ ছাড়া ঢাকা মহানগরীর মধ্যে অন্য নিরাপদ জায়গায় সমাবেশ করতে বললে তারা ভেবে দেখবে। পুলিশ যদি আমাদের কাছে ভেন্যুর নাম জানতে চায় আমরা বলতে রাজি আছি।

নয়াপল্টন বাদে বিএনপির কোনো পছন্দ আছে কিনা— এমন প্রশ্নে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমাদের পছন্দ থাকলেও সেটি যদি তারা আমাদের জিজ্ঞাসা করেন তখন বলব।’

পছন্দের জায়গার কোনো তালিকা আছে কিনা, জানতে চাইলে এ নেতা বলেন, ‘এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।’
সমাবেশ কেন্দ্র করে ঢাকা শহরে ভীতিকর অবস্থা তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন দলটির অন্যতম নীতি নির্ধারক। বলেন, কর্মীদের নিয়ে লিফলেট বিতরণ করতে গেলে বিএনপির ঢাকা মহানগরের নেতা ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের ওপর জগন্নাথ বিদ্যালয়ের সামনে গতকাল ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছেন।

ইশরাক হোসেন প্রাণে বাঁচলেও তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। অসংখ্য নেতাদের ওপর হামলা করা হয়েছে।
লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে হামলা হলে সেখানে যদি পাল্টা হামলা হয় তাহলে এর দায় সরকারকে নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মির্জা আব্বাস।

ক্ষোভ প্রকাশ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা বলেছি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করব। আমাদের কি লিফলেট বিতরণ নিষেধ! সমাবেশের জন্য প্রস্তুতিমূলক কাজে কি নিষেধাজ্ঞা আছে? সভা-সমাবেশ করা তো আমার সাংবিধানিক অধিকার।’
সরকারকে অভয় দিয়ে এ বিএনপি নেতা বলেন, ‘একটা সভায় সরকার পতন হবে না। সরকার কেন ভয় পায়, বুঝি না।’
নয়াপল্টনের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা সৃষ্টি না করার অনুরোধ জানিয়ে সরকারের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, হামলা-মামলা বন্ধ করুন। সমাবেশে যারা অংশ নেবেন, যারা আসবেন বলে ধারণা করেছেন, সেখানে হামলা হচ্ছে অভিযোগ করে আব্বাস বলেন, ঢাকা জেলার সভাপতি আশফাকের বাসায় হামলা হয়েছে।

তবে বিএনপির কর্মীরা ভীত নন় জানিয়ে বিএনপির এ ই নীতিনির্ধারক বলেন, সন্ত্রাস মোকাবিলা করেই সমাবেশ করবে বিএনপি।

‘৯টি সমাবেশে ছাড় দেওয়া হয়েছে, বিএনপিকে আর ছাড় দেওয়া হবে না’—আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বাংলাদেশ কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি। উনি কিছু দিন ধরে প্রলাপ করছেন। এই প্রলাপ কী আমরা মেনে নেব!’