• রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
চাঁদপুরে ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড, শহরে জলাবদ্ধতা পুলিশ সুপারেরর সাথে বৈশম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের মতবিনিময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সাথে সদর উপজেলা ইউএনও’র মতবিনিময় সভা চাঁদপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা কচুয়ায় রাস্তার পাশ থেকে অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার নোয়াখালীর সাবেক এমপি স্ত্রী ও সন্তানসহ আটক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চান কিনা রয়টার্সের প্রশ্নের জবাবে যা বললেন নাহিদ কচুয়ায় সড়কে যানজট নিরসনে স্কাউট সদস্য ও সাধারন শিক্ষার্থী বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের স্বরণে দশানী এলাকায় আলোচনা সভা ও দোয়া দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ

৩ মাস ধরে শিক্ষার্থীকে পাশবিক নির্যাতন করছে ৩ শিক্ষক

ত্রিনদী অনলাইন
ত্রিনদী অনলাইন
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২
৩ মাস ধরে শিক্ষার্থীকে পাশবিক নির্যাতন করছে ৩ শিক্ষক
ছবি-সংগৃহিত।

১০ বছরের এক মাদ্রাসাছাত্রকে তিন মাস ধরে পাশবিক নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শিশুর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে উপজেলার রায়পুর ইউপি ও চরআবাবিল ইউপির মাঝখানে মিতালিবাজারে অবস্থিত আলমাদানী মডেল মাদ্রাসায়।

ঘটনার পর উত্তম-মধ্যম দেওয়ার পর ওই তিন শিক্ষক পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা এবং অভিযুক্ত তিন শিক্ষককে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন শিশুর অভিভাবক ও এলাকাবাসী।

রোববার রাতে শিশুটির শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে সোমবার রায়পুর সরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।

এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক নজরুল ইসলাম শিশুকে পরীক্ষা করে উন্নত চিকিৎসায় সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখান থেকেই ঘটনাটি সাংবাদিকরা জানতে পারেন।

পলাতক তিন যৌন নিপীড়নকারী শিক্ষক হলেন— কিশোরগন্জের বাসিন্দা মো. রাহাত হোসেন, সিলেট সুনামগন্জের বাসিন্দা আবু হুরায়রা ও ভোলা সদরের বাসিন্দা আমিরুন ইসলাম।

শিশুর মা জানান, তিন বছর আগে হেফজ বিভাগে ভর্তি করান তার শিশুকে। মাদ্রাসার আবাসিক ভবনেই অন্য শিশুদের সঙ্গে থাকত তার ছেলে।

এক সপ্তাহ আগে শিশুটি ছুটিতে বাড়িতে এলে আর মাদ্রাসায় যেতে চায় না। অনেক চাপ সৃষ্টির পর সে জানায় তিন শিক্ষক তাকে অনেক দিন ধরে পাশবিক নির্যাতন করে আসছে। সে রাতে ঘুমাতে পারে না, তার খুব কষ্ট হয়। তাকে মারধরও করা হয়।

আবাসিকের সব ছাত্র যখন ঘুমিয়ে পড়ে, তখনই ওই তিন লম্পট শিক্ষক তাদের কক্ষে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করত।

একপর্যায়ে শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে একদিন টয়লেটে প্রায় ২ ঘণ্টা দরজা বন্ধ করে বসে থাকতে হয়। এ ঘটনায় চরমোহনা গ্রামের বাসিন্দা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হাফেজ মুফতি ইসমাইল হোসেনকে (৩৫) জানালে তিনি অভিযুক্ত শিক্ষকদের কর্মকাণ্ড কমিটির সভাপতিসহ সদস্যদের জানান।

পরিচালনা কমিটির সামনেই প্রিন্সিপাল অভিযুক্ত তিন শিক্ষককে জুতাপেটা করে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেন। প্রিন্সিপাল ছাত্রটির বাড়িতে এসে শিক্ষকদের কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চেয়ে গেছেন।

এ ঘটনায় রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অঞ্জন দাশ বলেন, তিনি সাংবাদিকের মাধ্যমে জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে মাদ্রাসায় পুলিশ প্রেরণ করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হন। ব্যবস্থা নিতে ওসিকে নির্দেশনা দিয়েছেন।

রায়পুর থানার ওসি শিপন বড়ুয়া জানান, ইউএনওর কাছ থেকে ঘটনাটি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক সেখানে পুলিশ পাঠাই। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবির হোসেন এ ঘটনার সত্যতা খুঁজে পেয়েছেন। তবে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বা তার পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে আইনিভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুক

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বু বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০