• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
হাজীগঞ্জের গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ পোস্ট মাস্টার হলেন হাজীগঞ্জের খোরশেদ আলম ধার্মিক ছেলে পেলে অভিনয় ছেড়ে বিয়ে করবেন মডেল প্রিয়াঙ্কা হাজীগঞ্জে নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে প্রতিমা বিসর্জনে শেষ হচ্ছে দুর্গোৎসব হাজীগঞ্জের মনিনাগে সম্পতিগত বিরোধের জেরধরে হামলা, ৮জন আহত ‘প্রতিটি ক্ষেত্রে শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে’ মতলব উত্তরে ১০ম গ্রেডের দাবিতে সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের উদ্যোগে সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর স্মরণে দোয়া ও মিলাদ শাহরাস্তিতে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে বন্যার্তদের মাঝে রবি শস্য বীজ ও নগদ অর্থ প্রদান শেখ হাসিনার জন্মদিন পালনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত ফরিদগঞ্জ ॥ বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তরা

৩ মাস ধরে শিক্ষার্থীকে পাশবিক নির্যাতন করছে ৩ শিক্ষক

ত্রিনদী অনলাইন
ত্রিনদী অনলাইন
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২
৩ মাস ধরে শিক্ষার্থীকে পাশবিক নির্যাতন করছে ৩ শিক্ষক
ছবি-সংগৃহিত।

১০ বছরের এক মাদ্রাসাছাত্রকে তিন মাস ধরে পাশবিক নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শিশুর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে উপজেলার রায়পুর ইউপি ও চরআবাবিল ইউপির মাঝখানে মিতালিবাজারে অবস্থিত আলমাদানী মডেল মাদ্রাসায়।

ঘটনার পর উত্তম-মধ্যম দেওয়ার পর ওই তিন শিক্ষক পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা এবং অভিযুক্ত তিন শিক্ষককে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন শিশুর অভিভাবক ও এলাকাবাসী।

রোববার রাতে শিশুটির শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে সোমবার রায়পুর সরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।

এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক নজরুল ইসলাম শিশুকে পরীক্ষা করে উন্নত চিকিৎসায় সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখান থেকেই ঘটনাটি সাংবাদিকরা জানতে পারেন।

পলাতক তিন যৌন নিপীড়নকারী শিক্ষক হলেন— কিশোরগন্জের বাসিন্দা মো. রাহাত হোসেন, সিলেট সুনামগন্জের বাসিন্দা আবু হুরায়রা ও ভোলা সদরের বাসিন্দা আমিরুন ইসলাম।

শিশুর মা জানান, তিন বছর আগে হেফজ বিভাগে ভর্তি করান তার শিশুকে। মাদ্রাসার আবাসিক ভবনেই অন্য শিশুদের সঙ্গে থাকত তার ছেলে।

এক সপ্তাহ আগে শিশুটি ছুটিতে বাড়িতে এলে আর মাদ্রাসায় যেতে চায় না। অনেক চাপ সৃষ্টির পর সে জানায় তিন শিক্ষক তাকে অনেক দিন ধরে পাশবিক নির্যাতন করে আসছে। সে রাতে ঘুমাতে পারে না, তার খুব কষ্ট হয়। তাকে মারধরও করা হয়।

আবাসিকের সব ছাত্র যখন ঘুমিয়ে পড়ে, তখনই ওই তিন লম্পট শিক্ষক তাদের কক্ষে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করত।

একপর্যায়ে শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে একদিন টয়লেটে প্রায় ২ ঘণ্টা দরজা বন্ধ করে বসে থাকতে হয়। এ ঘটনায় চরমোহনা গ্রামের বাসিন্দা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হাফেজ মুফতি ইসমাইল হোসেনকে (৩৫) জানালে তিনি অভিযুক্ত শিক্ষকদের কর্মকাণ্ড কমিটির সভাপতিসহ সদস্যদের জানান।

পরিচালনা কমিটির সামনেই প্রিন্সিপাল অভিযুক্ত তিন শিক্ষককে জুতাপেটা করে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেন। প্রিন্সিপাল ছাত্রটির বাড়িতে এসে শিক্ষকদের কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চেয়ে গেছেন।

এ ঘটনায় রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অঞ্জন দাশ বলেন, তিনি সাংবাদিকের মাধ্যমে জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে মাদ্রাসায় পুলিশ প্রেরণ করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হন। ব্যবস্থা নিতে ওসিকে নির্দেশনা দিয়েছেন।

রায়পুর থানার ওসি শিপন বড়ুয়া জানান, ইউএনওর কাছ থেকে ঘটনাটি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক সেখানে পুলিশ পাঠাই। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবির হোসেন এ ঘটনার সত্যতা খুঁজে পেয়েছেন। তবে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বা তার পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে আইনিভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুক

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০