চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে নিখোঁজের পাঁচদিন পর পরিত্যক্ত জমি থেকে আদিল মোহাম্মদ সোহান (৮) নামে শিশুর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ মে) দুপুরে পৌর এলাকার রুদ্রগাঁও গ্রামে ওই শিশুর বাড়ির পাশে একটি পরিত্যক্ত জমি থেকে মাটিচাপা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ। সোহান ওই গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
শিশুর পরিবারের লোকজন জানায়, গত সোমবার (১৫ মে) সোহান প্রতিদিনের ন্যায় মাগরিবের নামাজ পড়তে যায় বাড়ির সামনের মসজিদে। নামাজ শেষে সময় মতো বাড়িতে না আসায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি শুরু করে। এক পর্যায়ে প্রতিবেশি, স্বজন ও সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করে তাকে না পেয়ে শিশুটির বাবা আনোয়ার হোসেন ফরিদগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন।
এরপর শুক্রবার (১৯ মে) সকালে ওই বাড়ির বৃদ্ধা মহিলা রেনু বেগম (৭০) বাড়ির পাশের একটি গাবগাছ থেকে গাব সংগ্রহ করতে গেলে তিনি দূর্গন্ধ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মাছি দেখে চিৎকার করেন। প্রতিবেশী লোকজন এমন পরিস্থিতি দেখে পুলিশকে খবর দেয়। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ শিশুর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেন।
সোহানের বাবা আনোয়ার হোসেন কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, সোহান প্রতিদিনই বাড়ির সামনের মসজিদে নামাজ পড়তে যায়। নামাজ পড়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরে আসতো। সোমবার মাগরিবের নামাজের পর নিখোঁজ হয়, কিন্ত আজ সে ফিরলো লাশ হয়ে।
সোহানের মা ফাতেমা বেগম নিজ সন্তানের মরদেহ উদ্ধারের সংবাদ পেয়েই চিৎকার দিয়ে হাউমাউ করে কাঁদছে আর ছেলেকে হত্যার বিচার চাইছে।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মান্নান বলেন, শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কি কারণে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে শিশু আদিল মোহাম্মদ সোহান মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশ বিভাগের সকল টিম একত্রিত হয়ে কাজ করছেন। মরদেহ উদ্ধারকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি দেবনাথ, সিআইডি, ডিবি, পিআইবি ও থানা পুলিশ।