চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পরকীয়ার জেরে প্রবাস ফেরত স্বামীকে জবাই করে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানান পুলিশ।
হাজীগঞ্জ বাজারস্থ ট্রাক রোট রেলি অফিস অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাজীগঞ্জ-ফরিদগঞ্জ সার্কেল অফিসের সামনে একটি বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনায় ঘটে। হত্যার শিকার এমরান হোসেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৩নং সুবিদপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের দালাল বাড়ীর আবুল বাসারের ছেলে। তারা ৩ ভাই ৪ বোন।
এ ঘটনায় পুলিশ তার স্ত্রী ফারজানা আকতারকে আটক করেছে। আটক ফারজানা ফরিদগঞ্জ উপজেলার ঝাঁকনী গ্রামের খান বাড়ীর মেয়ে। নিহত এমরান হোসেনের ৮ বছর বয়সি আফরান নামে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
ঘটনার পর পরই চিৎকার শুনে ওই বিল্ডিংয়ে ছুটে আসা শাহরাস্তি উপজেলার বলশিদ গ্রামের নাহার জানান, চিৎকার শুনে ওই বিল্ডিংয়ে গিয়ে দেখি ফ্লাটের দরজা খোলা। স্বামী এমরানের মাথা কোলে নিয়ে স্ত্রী চিৎকার করছে। এ সময় তার গলা সাদা কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিলো।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেশী জিসান আহমেদ জানান, চিৎকার শুনে দৌঁড়ে এসে দেখি পুরো ফ্লাট রক্তে ভরে আছে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।
নিহত এমরান হোসেনের বাবা আবুল বাসার হাসপতালে সংবাদকর্মীদের জানান, এমরানের স্ত্রী ফারাজানার বিরুদ্ধে হাজীগঞ্জ থানায় পরকীয়ার অভিযোগে বিচার হয়েছিল।
আমার ছেলে স্ত্রীকে না জানিয়ে গোপনে দেশে এসে হাতে নাতে স্ত্রীর পরকীয়া ধরে। এ ঘটনায় ফারজানা আমার সন্তানকে তালাক দেয়। পরে শিশু সন্তানের কথা চিন্তা করে পুনরায় সংসার শুরু করে
তিনি বলেন, পরকীয়ার জেরে আমার সন্তানকে স্ত্রীর হাতে জীবন দিতে হলো।
এমরানের মা হাসপাতালে বারে বারেই মূর্চা যাচ্ছিলেন তিনি ফারজানা ও তার পরকীয়া প্রেমিকের ফাঁসি দাবী করেন।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুর রশিদ জানান, নিহত এমরানের স্ত্রী ফারজানাকে আটক করা হয়েছে। তার কাছ থেকে কি ঘটে ছিল সে বিষয়ে তথ্য নেয়ার চেস্টা চলছে।