ঢাকা ১০:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ পরীক্ষায় অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ ॥ পরীক্ষা স্থগিতের আবেদন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:৩৪:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩
  • ৫৬ Time View

ছবি-ত্রিনদী

কচুয়া প্রতিনিধি॥
কচুয়া উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগের নামে অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার ৫টি শূন্য পদে নিয়োগ পরীক্ষার কথা রয়েছে। ওই বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের অভিভাবক সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম রফিক ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ উল্লেখ্য করেন, বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সিরাজী ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘ ২৫ বছর সভাপতি পদ আঁকড়িয়ে ধরে রেখেছেন। ২০ জুলাই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ওই বিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর ৫টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। ওই ৫টি পদে স্বজনপ্রীতি ও অর্থের বিনিময়ে পূর্বে থেকেই নিয়োগের জন্য প্রার্থী ঠিক করে রেখেছেন।
অফিস সহকারি পদপ্রার্থী ফয়েজ আহমেদ, নৈশপহরী পদপ্রার্থী মাইন উদ্দিন ও আয়া পদপ্রার্থী ঝর্না আক্তার জানান, অফিস সহকারি পদের জন্য ৫ লক্ষ, নৈশপ্রহরী ও আয়া পদের জন্য ৪ লক্ষ টাকা দাবী করেন আমাদের কাছ থেকে সভাপতি ইসমাইল হোসেন সিরাজী লোকমারফত। টাকা দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে অন্য পছন্দের প্রার্থী ঠিক করে রেখেছেন। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর সভাপতি নিজের পছন্দের লোক দিয়ে নিয়োগ কমিটি গঠন করেন। বির্তকির্ত নিয়োগ কমিটি গঠন করার পর এলাকার সচেতন মহল, বিদ্যালয়ের শুভাকাঙ্খিরা নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত জন্য সভাপতি ইসমাইল হোসেন সিরাজীকে বার বার অনুরোধ করেন। সকলের মতামত উপেক্ষা করে স্বেচ্ছাচারিতায় ২৪ নভেম্বর নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করেন। এই নিয়ে পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্য সদস্য, অভিভাবক, এলাকাবাসী ও নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারীদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

একই ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের অভিভাবক সদস্য সাইফুল ইসলাম রফিকুল জেলা প্রশাসক বরাবর আরেকটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগেই মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) এলাকাবাসীর পক্ষে মো. নাছির উদ্দিন কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর নন্দনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়োগ বাণিজ্যে প্রতিষ্ঠানের সভাপতির বিরুদ্ধে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে নিয়োগ পরীক্ষার স্থগিতাদেশ চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

নিয়োগ পরীক্ষার আগেই ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ প্রসঙ্গে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সিরাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
নন্দনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারাধন চন্দ্র ভৌমিক বলেন, নিয়োগের বিষয়টি সভাপতির এখতিয়ার। আপনারা সভাপতির সাথে কথা বলেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হাাসান জানান, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা সিনিয়ন মৎস্য কর্মকর্তা মাসুদুল হাসানকে দায়িত্ব প্রদান করে হয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা মাসুদুল হাসান জানান, তদন্ত প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রানকৃষ্ণ দেবনাথ জানান অভিযোগটি পেয়েছি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আলী আশ্রাফ খানকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

মতলবে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতাল অবরুদ্ধ

সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ পরীক্ষায় অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ ॥ পরীক্ষা স্থগিতের আবেদন

Update Time : ০৫:৩৪:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩

কচুয়া প্রতিনিধি॥
কচুয়া উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগের নামে অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার ৫টি শূন্য পদে নিয়োগ পরীক্ষার কথা রয়েছে। ওই বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের অভিভাবক সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম রফিক ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ উল্লেখ্য করেন, বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সিরাজী ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘ ২৫ বছর সভাপতি পদ আঁকড়িয়ে ধরে রেখেছেন। ২০ জুলাই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ওই বিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর ৫টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। ওই ৫টি পদে স্বজনপ্রীতি ও অর্থের বিনিময়ে পূর্বে থেকেই নিয়োগের জন্য প্রার্থী ঠিক করে রেখেছেন।
অফিস সহকারি পদপ্রার্থী ফয়েজ আহমেদ, নৈশপহরী পদপ্রার্থী মাইন উদ্দিন ও আয়া পদপ্রার্থী ঝর্না আক্তার জানান, অফিস সহকারি পদের জন্য ৫ লক্ষ, নৈশপ্রহরী ও আয়া পদের জন্য ৪ লক্ষ টাকা দাবী করেন আমাদের কাছ থেকে সভাপতি ইসমাইল হোসেন সিরাজী লোকমারফত। টাকা দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে অন্য পছন্দের প্রার্থী ঠিক করে রেখেছেন। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর সভাপতি নিজের পছন্দের লোক দিয়ে নিয়োগ কমিটি গঠন করেন। বির্তকির্ত নিয়োগ কমিটি গঠন করার পর এলাকার সচেতন মহল, বিদ্যালয়ের শুভাকাঙ্খিরা নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত জন্য সভাপতি ইসমাইল হোসেন সিরাজীকে বার বার অনুরোধ করেন। সকলের মতামত উপেক্ষা করে স্বেচ্ছাচারিতায় ২৪ নভেম্বর নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করেন। এই নিয়ে পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্য সদস্য, অভিভাবক, এলাকাবাসী ও নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারীদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

একই ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের অভিভাবক সদস্য সাইফুল ইসলাম রফিকুল জেলা প্রশাসক বরাবর আরেকটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগেই মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) এলাকাবাসীর পক্ষে মো. নাছির উদ্দিন কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর নন্দনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়োগ বাণিজ্যে প্রতিষ্ঠানের সভাপতির বিরুদ্ধে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে নিয়োগ পরীক্ষার স্থগিতাদেশ চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

নিয়োগ পরীক্ষার আগেই ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ প্রসঙ্গে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সিরাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
নন্দনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারাধন চন্দ্র ভৌমিক বলেন, নিয়োগের বিষয়টি সভাপতির এখতিয়ার। আপনারা সভাপতির সাথে কথা বলেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হাাসান জানান, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা সিনিয়ন মৎস্য কর্মকর্তা মাসুদুল হাসানকে দায়িত্ব প্রদান করে হয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা মাসুদুল হাসান জানান, তদন্ত প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রানকৃষ্ণ দেবনাথ জানান অভিযোগটি পেয়েছি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আলী আশ্রাফ খানকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।