ঢাকা 5:25 pm, Sunday, 29 June 2025

হাজীগঞ্জে ২ হাজার মুরগির বাচ্চা ও ২৫ বস্তা খাবারসহ খামার পুড়ে ছাই

  • Reporter Name
  • Update Time : 07:46:28 pm, Monday, 4 March 2024
  • 6 Time View

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ :

হাজীগঞ্জে ভাই ভাই এগ্রো ফার্ম নামক একটি মুরগি খামারে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন খামারে মালিক মো. সাখাওয়াত হোসেন। রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের মাড়ামূগা গ্রামের মজুমদার বাড়ির সংলগ্ন ফার্মে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিটে আগুন সূত্রপাত।

খামারের শ্রমিক মো. আরাফাত হোসেন জানান, সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক রাত ১২টার দিকে খামারে মুরগির বাচ্ছাদের খাবার দিয়ে এবং সবকিছু দেখে শুনে তারা ঘুমাতে যান। এরপর রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে আগুন দেখতে পেয়ে তিনি ডাক-চিৎকার দেন এবং খামারের মালিক সাখাওয়াত হোসেনAdd Newকে ফোন করে জানান। পরে সাখাওয়াত হোসেন ফায়ার সার্ভিসে ফোন দেন।

এ দিকে আগুন দেখনে পেয়ে স্থানীয় ও এলাকাবাসী ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখা পুরো খামারের চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এরমধ্যে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়দের সহযোগীতায় প্রায় একঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষনে ২ হাজার মুরগির বাচ্চা, এক মাসের খাবার ও ৩’শ ফুট লম্বা ঘরটি পুড়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত ভাই ভাই এগ্রো ফার্মের সত্ত্বাধীকারী মো. সাখাওয়াত হোসেন কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন বালাখাল বাজারে পোল্ট্রি ফার্মের খাবার, ঔষধ ও মুরগির বাচ্ছার ডিলারশিপের ব্যবসা করেন এবং বলাখাল এলাকায় বসবাস করেন।

এ ব্যাপারে তিনি বলেন, আমি রাতে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে ফোন দিয়েছি। পরে খামারে এসে দেখি সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আমার প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। আমি ব্যাংক ঋন নিয়ে ব্যবসা করছি। কিন্তু আগুনে আমার সব শেষ হয়ে গেছে। এখন আমি কি করবো বুঝে উঠতে পারছি না। এসময় তিনি সরকারি সহযোগীতা কামনা করেন।

কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা স্বপন বলেন, আমি খোঁজ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। আগুনে একজন খামারি নিঃস্ব হয়ে গেছেন। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিষয়টি আমি ইউএনও মহোদয়কে জানিয়েছি। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত খামারির পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবো।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাপস শীল বলেন, আমি খবর পেয়েছি এবং ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার জন্য আমি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বলেছি। পরবর্তীতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

ছাত্রলীগ সভাপতি সুমনের নেতৃত্বে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ভিডিও করা হয়

হাজীগঞ্জে ২ হাজার মুরগির বাচ্চা ও ২৫ বস্তা খাবারসহ খামার পুড়ে ছাই

Update Time : 07:46:28 pm, Monday, 4 March 2024

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ :

হাজীগঞ্জে ভাই ভাই এগ্রো ফার্ম নামক একটি মুরগি খামারে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন খামারে মালিক মো. সাখাওয়াত হোসেন। রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের মাড়ামূগা গ্রামের মজুমদার বাড়ির সংলগ্ন ফার্মে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিটে আগুন সূত্রপাত।

খামারের শ্রমিক মো. আরাফাত হোসেন জানান, সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক রাত ১২টার দিকে খামারে মুরগির বাচ্ছাদের খাবার দিয়ে এবং সবকিছু দেখে শুনে তারা ঘুমাতে যান। এরপর রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে আগুন দেখতে পেয়ে তিনি ডাক-চিৎকার দেন এবং খামারের মালিক সাখাওয়াত হোসেনAdd Newকে ফোন করে জানান। পরে সাখাওয়াত হোসেন ফায়ার সার্ভিসে ফোন দেন।

এ দিকে আগুন দেখনে পেয়ে স্থানীয় ও এলাকাবাসী ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখা পুরো খামারের চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এরমধ্যে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়দের সহযোগীতায় প্রায় একঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষনে ২ হাজার মুরগির বাচ্চা, এক মাসের খাবার ও ৩’শ ফুট লম্বা ঘরটি পুড়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত ভাই ভাই এগ্রো ফার্মের সত্ত্বাধীকারী মো. সাখাওয়াত হোসেন কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন বালাখাল বাজারে পোল্ট্রি ফার্মের খাবার, ঔষধ ও মুরগির বাচ্ছার ডিলারশিপের ব্যবসা করেন এবং বলাখাল এলাকায় বসবাস করেন।

এ ব্যাপারে তিনি বলেন, আমি রাতে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে ফোন দিয়েছি। পরে খামারে এসে দেখি সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আমার প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। আমি ব্যাংক ঋন নিয়ে ব্যবসা করছি। কিন্তু আগুনে আমার সব শেষ হয়ে গেছে। এখন আমি কি করবো বুঝে উঠতে পারছি না। এসময় তিনি সরকারি সহযোগীতা কামনা করেন।

কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা স্বপন বলেন, আমি খোঁজ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। আগুনে একজন খামারি নিঃস্ব হয়ে গেছেন। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিষয়টি আমি ইউএনও মহোদয়কে জানিয়েছি। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত খামারির পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবো।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাপস শীল বলেন, আমি খবর পেয়েছি এবং ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার জন্য আমি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বলেছি। পরবর্তীতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে।