ঢাকা ০৩:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নারীর সমঅধিকার বাস্তবায়ন করেছে সরকার -শেখ হাসিনা

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:১৭:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪
  • ৫২ Time View

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মেয়েদের সুযোগ দিলে পারবে না— এটা আমি মানতে রাজি না। মেয়েদের অর্থনৈতিক মুক্তি সবচেয়ে বড়। অর্থাৎ নারীকে অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা দিলে তারা সব পারবে।

শুক্রবার (৮ মার্চ) সকাল ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও জয়িতা সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার ডাকে এ দেশের মানুষ অস্ত্র কাঁধে নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করেছে। পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী এ দেশে গণহত্যা চালিয়েছে। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানের শাসকরা আল বদর বাহিনী, রাজাকার বাহিনী গড়ে তোলে। আমাদের কিছু দেশীয় দালাল, তারা নারীদের ধরে নিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের ক্যাম্পে দিয়ে দিত। দিনের পর দিন তাদের ওপর পাশবিক অত্যাচার চত। দিনের পর দিন তাদের ওপর অকথ্য নির্যাতন হয়। সে নির্যাতিত মা-বোনদের আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই নির্যাতিত নারীদের বীরাঙ্গনা নাম দিয়ে তাদের সম্মাননা দিয়েছেন। আমরা তাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছি, তাদের অবদান ভোলার নয়।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। প্রশাসন থেকে শুরু করে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী কোথাও মেয়েদের সুযোগ ছিল না। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই সুযোগ করে দিয়েছি। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে নারীরা সবচেয়ে বেশি দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তারাই সুনাম বয়ে আনছেন বাংলাদেশের।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার বাবা রাজনীতি করতেন। তিনি বেশিরভাগ সময়ই জেলে থাকতেন। এ সময় তার কাজগুলো গোপানে আমার মা করতেন। কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থাও আমার মাকে ধরতে পারেনি। আমার মা নিজের পোশাক পরিবর্তন করে গোপনে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা করতেন। পরামর্শ দিতেন সে বিষয়টি ধরতে পারেনি। এতটাই দক্ষ-বিচক্ষণ ছিলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ওই সময়ের প্রতিটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন দেখেছি কিন্তু কোথাও আমার মায়ের বিষয়টি নেই। তবে আগরতলা মামলা যখন দেওয়া হয়, তখন তারা মাকে টার্গেট করে, বুঝতে পারে। গ্রেফতার করার একটা শঙ্কা তৈরি হয়।

তিনি বলেন, নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতাটাই সবচেয়ে বড়। নারী যদি ১০ টাকা উপার্জন করে তবে তা ঘরেই ফিরে আসে।

তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিকের বৃত্তির টাকা সরাসরি মায়ের নামে পাঠিয়ে দিই। মায়ের ফোনের টাকা পাঠিয়ে দিই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

চাঁদপুর-৫ আসনে জাকির হোসেন প্রধানীয়ার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

নারীর সমঅধিকার বাস্তবায়ন করেছে সরকার -শেখ হাসিনা

Update Time : ১১:১৭:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মেয়েদের সুযোগ দিলে পারবে না— এটা আমি মানতে রাজি না। মেয়েদের অর্থনৈতিক মুক্তি সবচেয়ে বড়। অর্থাৎ নারীকে অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা দিলে তারা সব পারবে।

শুক্রবার (৮ মার্চ) সকাল ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও জয়িতা সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার ডাকে এ দেশের মানুষ অস্ত্র কাঁধে নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করেছে। পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী এ দেশে গণহত্যা চালিয়েছে। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানের শাসকরা আল বদর বাহিনী, রাজাকার বাহিনী গড়ে তোলে। আমাদের কিছু দেশীয় দালাল, তারা নারীদের ধরে নিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের ক্যাম্পে দিয়ে দিত। দিনের পর দিন তাদের ওপর পাশবিক অত্যাচার চত। দিনের পর দিন তাদের ওপর অকথ্য নির্যাতন হয়। সে নির্যাতিত মা-বোনদের আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই নির্যাতিত নারীদের বীরাঙ্গনা নাম দিয়ে তাদের সম্মাননা দিয়েছেন। আমরা তাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছি, তাদের অবদান ভোলার নয়।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। প্রশাসন থেকে শুরু করে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী কোথাও মেয়েদের সুযোগ ছিল না। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই সুযোগ করে দিয়েছি। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে নারীরা সবচেয়ে বেশি দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তারাই সুনাম বয়ে আনছেন বাংলাদেশের।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার বাবা রাজনীতি করতেন। তিনি বেশিরভাগ সময়ই জেলে থাকতেন। এ সময় তার কাজগুলো গোপানে আমার মা করতেন। কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থাও আমার মাকে ধরতে পারেনি। আমার মা নিজের পোশাক পরিবর্তন করে গোপনে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা করতেন। পরামর্শ দিতেন সে বিষয়টি ধরতে পারেনি। এতটাই দক্ষ-বিচক্ষণ ছিলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ওই সময়ের প্রতিটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন দেখেছি কিন্তু কোথাও আমার মায়ের বিষয়টি নেই। তবে আগরতলা মামলা যখন দেওয়া হয়, তখন তারা মাকে টার্গেট করে, বুঝতে পারে। গ্রেফতার করার একটা শঙ্কা তৈরি হয়।

তিনি বলেন, নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতাটাই সবচেয়ে বড়। নারী যদি ১০ টাকা উপার্জন করে তবে তা ঘরেই ফিরে আসে।

তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিকের বৃত্তির টাকা সরাসরি মায়ের নামে পাঠিয়ে দিই। মায়ের ফোনের টাকা পাঠিয়ে দিই।