ঢাকা 4:58 pm, Saturday, 28 June 2025

হাজীগঞ্জের মালিগাঁওয়ে সরকারি খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ

  • Reporter Name
  • Update Time : 04:53:28 pm, Sunday, 24 March 2024
  • 1 Time View

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ :

হাজীগঞ্জে সরকারি খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন এমরান হোসেন বেপারী নামের এক ব্যক্তি। উপজেলা গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের মালিগাঁও গ্রামের চার রাস্তার সম্মুখে মালিগাঁও ব্রীজের পূর্ব পাশে তিনি সরকারি রাস্তার শোল্ডার ও খাল দখল করে পাকা দোকান ঘরটি নির্মাণ করেন। তিনি ওই গ্রামের বেপারী বাড়ির বাসিন্দা।

জানা গেছে, সম্প্রতি সরকারি রাস্তার শোল্ডার ও খাল দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেন এমরান হোসেন। এমন অভিযোগ পেয়ে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা নির্মাণ কাজ বন্ধ করার নির্দেশনা দেন। কিন্তু তিনি নির্দেশনা অমান্য করে সরকারি ছুটি শুক্রবার ও শনিবারকে কাজে লাগিয়ে অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়ে কাজটি সম্পন্ন করেন।

স্থানীয়রা জানান, দিনে দিনে ব্রীজের পাশে সরকারি রাস্তার শোল্ডার ও খাল দখল করে দোকানঘর তুলছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। তারা অভিযোগ করে বলেন, সংশ্লিষ্টদের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করেই রাস্তার শোল্ডার ও খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন। তবে এ বিষয়ে কেউ আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে রাজী হয়নি।

এমন অভিযোগে গত শনিবার সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, পাকা দোকানটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শুধু ফিনিশিংয়ের কাজ বাকি আছে। এর পাশেই আরও একটি দোকান ঘরের নির্মানের জন্য ভীত স্থাপন করা হয়েছে এবং যে কোন সময় ওই দোকানঘরটিও নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে জানা গেছে। এসময় দেখা গেছে, একই খালের উপর আরও কয়েকটি পাকা ও কাঁচা দোকানঘর রয়েছে এবং সবগুলোই ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান।

এ দিকে নির্মিত ওই দোকানঘরটি পরিদর্শনকালীন সময়ে অভিযুক্ত এমরান হোসেন বেপারীকে দোকানঘরের স্থলে পাওয়া যায়নি। এসময় তার ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে পরিবারের লোকজন ফোন রিসিভ করে বলেন, তিনি (এমরান) বাড়িতে নেই। এছাড়াও পরবর্তী সময়ে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হয়, কিন্তু তিনি ফোন রিসিভি ও ব্যাক না করা তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা হালিমা আক্তার বলেন, বিষয়টি জানার পর আমি লোক পাঠিয়ে কাজ বন্ধ রেখেছি। কিন্তু তিনি (এমরান) সরকারি ছুটি (শুক্রবার ও শনিবার) কাজে লাগিয়ে পাকা দোকান ঘরটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছেন বলে জানতে পেরেছি। বিষয়টি আমি উর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে অবহিত করবো।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাপস শীলের সাথে সংবাদকর্মীদের কথা হলে তিনি বলেন, সরকারি খাল দখল করার কোনো সুযোগ নেই। সরেজমিন পরিদর্শন করে দোকানঘরটি উচ্ছেদ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

হাজীগঞ্জে ইসকনের আয়োজনে রথ যাত্রায় হাজার হাজার ভক্তবৃন্দের অংশগ্রহণ

হাজীগঞ্জের মালিগাঁওয়ে সরকারি খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ

Update Time : 04:53:28 pm, Sunday, 24 March 2024

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ :

হাজীগঞ্জে সরকারি খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন এমরান হোসেন বেপারী নামের এক ব্যক্তি। উপজেলা গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের মালিগাঁও গ্রামের চার রাস্তার সম্মুখে মালিগাঁও ব্রীজের পূর্ব পাশে তিনি সরকারি রাস্তার শোল্ডার ও খাল দখল করে পাকা দোকান ঘরটি নির্মাণ করেন। তিনি ওই গ্রামের বেপারী বাড়ির বাসিন্দা।

জানা গেছে, সম্প্রতি সরকারি রাস্তার শোল্ডার ও খাল দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেন এমরান হোসেন। এমন অভিযোগ পেয়ে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা নির্মাণ কাজ বন্ধ করার নির্দেশনা দেন। কিন্তু তিনি নির্দেশনা অমান্য করে সরকারি ছুটি শুক্রবার ও শনিবারকে কাজে লাগিয়ে অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়ে কাজটি সম্পন্ন করেন।

স্থানীয়রা জানান, দিনে দিনে ব্রীজের পাশে সরকারি রাস্তার শোল্ডার ও খাল দখল করে দোকানঘর তুলছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। তারা অভিযোগ করে বলেন, সংশ্লিষ্টদের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করেই রাস্তার শোল্ডার ও খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন। তবে এ বিষয়ে কেউ আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে রাজী হয়নি।

এমন অভিযোগে গত শনিবার সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, পাকা দোকানটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শুধু ফিনিশিংয়ের কাজ বাকি আছে। এর পাশেই আরও একটি দোকান ঘরের নির্মানের জন্য ভীত স্থাপন করা হয়েছে এবং যে কোন সময় ওই দোকানঘরটিও নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে জানা গেছে। এসময় দেখা গেছে, একই খালের উপর আরও কয়েকটি পাকা ও কাঁচা দোকানঘর রয়েছে এবং সবগুলোই ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান।

এ দিকে নির্মিত ওই দোকানঘরটি পরিদর্শনকালীন সময়ে অভিযুক্ত এমরান হোসেন বেপারীকে দোকানঘরের স্থলে পাওয়া যায়নি। এসময় তার ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে পরিবারের লোকজন ফোন রিসিভ করে বলেন, তিনি (এমরান) বাড়িতে নেই। এছাড়াও পরবর্তী সময়ে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হয়, কিন্তু তিনি ফোন রিসিভি ও ব্যাক না করা তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা হালিমা আক্তার বলেন, বিষয়টি জানার পর আমি লোক পাঠিয়ে কাজ বন্ধ রেখেছি। কিন্তু তিনি (এমরান) সরকারি ছুটি (শুক্রবার ও শনিবার) কাজে লাগিয়ে পাকা দোকান ঘরটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছেন বলে জানতে পেরেছি। বিষয়টি আমি উর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে অবহিত করবো।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাপস শীলের সাথে সংবাদকর্মীদের কথা হলে তিনি বলেন, সরকারি খাল দখল করার কোনো সুযোগ নেই। সরেজমিন পরিদর্শন করে দোকানঘরটি উচ্ছেদ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।