ঢাকা ১১:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রেমের টানে ৪ সন্তানের জননী আপন মামিকে নিয়ে পালালেন ভাগ্নে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:৩৫:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪
  • ৭৫ Time View

ছবি-ত্রিনদী

প্রেমের টানে ৪ সন্তানের জননী আপন মামিকে নিয়ে পালালেন ভাগ্নে। ঘটনাটি ঘটেছে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা শিলকান্দি ইউনিয়নে। ৪ সন্তানের জননী মামি তামান্না বেগমকে (২৪) নিয়ে পালিয়েছেন আপন ভাগ্নে পাভেল মিয়া (২৩)।
এ বিষয়ে ভৈরব থানা বৃহস্পতিবার( ২১ মার্চ) বৃহস্পতিবার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পালিয়ে যাওয়া তামান্নার স্বামী নবী হোসেন। তিনি রাজাকাটা গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে।

শুক্রবার (২২ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছেন ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সফিকুল ইসলাম।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নবী হোসেন পেশায় গ্যারেজ ব্যবসায়ী। তামান্না বেগমের সাথে ১০ বছরের সংসার নবী হোসেনের। তাদের সংসারে ৪টি ছেলে সন্তান রয়েছে। ১৪ মার্চ ভাগ্নে পাভেলের সঙ্গে পালিয়ে যায় তামান্না বেগম। এ ঘটনার তিনমাস আগেও পালিয়ে গিয়ে পাভেলের সঙ্গে একমাস সংসার করেছেন তামান্না। তখন এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ স্ত্রী তামান্নাকে বুঝিয়ে নবী হোসেনের সাথে মিলিয়ে দিয়েছিল। সংসারে ফিরে এসে একমাস না যেতেই আবার দ্বিতীয়বার একই ঘটনা ঘটিয়েছে দুজনে।

এ বিষয়ে নবী হোসেন বলেন, ১৪ মার্চ আমার স্ত্রী পালিয়ে যায়। তাদেরকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে এ ঘটনায় ভৈরব থানায় একটি অভিযোগ করি। আমাদের সংসার সুখেরই ছিল। আমি গ্যারেজ ব্যবসা করি। সংসারে কোনো অভাব নেই। আমি জানতাম না আমার স্ত্রী আমার আপন ভাগ্নের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েছে। হঠাৎ করে সে গত তিনমাস আগে আমার আপন ভাগ্নে পাভেলের সঙ্গে পালিয়ে যায়। অনেক চেষ্টা করে শ্বশুরবাড়ির সহযোগিতায় তাকে সংসারে ফিরিয়ে আনি। এখন একমাস যেতে না যেতেই আবারও গত ১৪ মার্চ একই ঘটনা ঘটিয়ে তারা পালিয়েছে। তার সঙ্গে আমার আড়াই মাসের সন্তানকে নিয়ে গেছে, বাকী তিন সন্তানকে বাড়িতে রেখে গেছে। এখন তিন সন্তান নিয়ে আমি বিপদে আছি।

এলাকার চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রিপন জানান, গত তিনমাস আগে মামি-ভাগ্নে পালিয়ে গেলে দুমাস পর দুজনকে ধরে এনে ঘটনা মীমাংসা করে দিয়েছিলাম। এখন আবার একই ঘটনা ঘটিয়েছে। অভিযোগটি জানিয়েছে স্বামী নবী হোসেন। এখন দুজনকে না পেলে আমাদের কিছুই করার নেই।

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম জানান, মামি-ভাগ্নের ঘটনার বিষয়ে থানায় জিডি হয়েছে। তার স্ত্রী সাবালিকা। এক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা অনেকটা থাকে না। কারণ পুলিশ আইনের বাইরে কিছুই করতে পারে না। স্থানীয়ভাবে চেয়ারম্যান, মেম্বাররা এসব ঘটনা মীমাংসা করতে পারে। এর আগেও মীমাংসা করেছে শুনেছি। তবে তালাক না দিয়ে যদি তার স্ত্রী তামান্না ভাগ্নের সঙ্গে বিয়ে হয় তবে আদালতে অভিযোগ দিতে পারবেন নবী হোসেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

দুধ দিয়ে গোসলের পরের দিনই দলে ফিরলেন মতলবের সেই যুবদল নেতা

প্রেমের টানে ৪ সন্তানের জননী আপন মামিকে নিয়ে পালালেন ভাগ্নে

Update Time : ০২:৩৫:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪

প্রেমের টানে ৪ সন্তানের জননী আপন মামিকে নিয়ে পালালেন ভাগ্নে। ঘটনাটি ঘটেছে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা শিলকান্দি ইউনিয়নে। ৪ সন্তানের জননী মামি তামান্না বেগমকে (২৪) নিয়ে পালিয়েছেন আপন ভাগ্নে পাভেল মিয়া (২৩)।
এ বিষয়ে ভৈরব থানা বৃহস্পতিবার( ২১ মার্চ) বৃহস্পতিবার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পালিয়ে যাওয়া তামান্নার স্বামী নবী হোসেন। তিনি রাজাকাটা গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে।

শুক্রবার (২২ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছেন ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সফিকুল ইসলাম।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নবী হোসেন পেশায় গ্যারেজ ব্যবসায়ী। তামান্না বেগমের সাথে ১০ বছরের সংসার নবী হোসেনের। তাদের সংসারে ৪টি ছেলে সন্তান রয়েছে। ১৪ মার্চ ভাগ্নে পাভেলের সঙ্গে পালিয়ে যায় তামান্না বেগম। এ ঘটনার তিনমাস আগেও পালিয়ে গিয়ে পাভেলের সঙ্গে একমাস সংসার করেছেন তামান্না। তখন এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ স্ত্রী তামান্নাকে বুঝিয়ে নবী হোসেনের সাথে মিলিয়ে দিয়েছিল। সংসারে ফিরে এসে একমাস না যেতেই আবার দ্বিতীয়বার একই ঘটনা ঘটিয়েছে দুজনে।

এ বিষয়ে নবী হোসেন বলেন, ১৪ মার্চ আমার স্ত্রী পালিয়ে যায়। তাদেরকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে এ ঘটনায় ভৈরব থানায় একটি অভিযোগ করি। আমাদের সংসার সুখেরই ছিল। আমি গ্যারেজ ব্যবসা করি। সংসারে কোনো অভাব নেই। আমি জানতাম না আমার স্ত্রী আমার আপন ভাগ্নের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েছে। হঠাৎ করে সে গত তিনমাস আগে আমার আপন ভাগ্নে পাভেলের সঙ্গে পালিয়ে যায়। অনেক চেষ্টা করে শ্বশুরবাড়ির সহযোগিতায় তাকে সংসারে ফিরিয়ে আনি। এখন একমাস যেতে না যেতেই আবারও গত ১৪ মার্চ একই ঘটনা ঘটিয়ে তারা পালিয়েছে। তার সঙ্গে আমার আড়াই মাসের সন্তানকে নিয়ে গেছে, বাকী তিন সন্তানকে বাড়িতে রেখে গেছে। এখন তিন সন্তান নিয়ে আমি বিপদে আছি।

এলাকার চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রিপন জানান, গত তিনমাস আগে মামি-ভাগ্নে পালিয়ে গেলে দুমাস পর দুজনকে ধরে এনে ঘটনা মীমাংসা করে দিয়েছিলাম। এখন আবার একই ঘটনা ঘটিয়েছে। অভিযোগটি জানিয়েছে স্বামী নবী হোসেন। এখন দুজনকে না পেলে আমাদের কিছুই করার নেই।

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম জানান, মামি-ভাগ্নের ঘটনার বিষয়ে থানায় জিডি হয়েছে। তার স্ত্রী সাবালিকা। এক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা অনেকটা থাকে না। কারণ পুলিশ আইনের বাইরে কিছুই করতে পারে না। স্থানীয়ভাবে চেয়ারম্যান, মেম্বাররা এসব ঘটনা মীমাংসা করতে পারে। এর আগেও মীমাংসা করেছে শুনেছি। তবে তালাক না দিয়ে যদি তার স্ত্রী তামান্না ভাগ্নের সঙ্গে বিয়ে হয় তবে আদালতে অভিযোগ দিতে পারবেন নবী হোসেন।