হাজীগঞ্জে উপজেলা পর্যায়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাপস শীলের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান, সাংবাদিক ও সুধীসমাজের উপস্থিতিতে উপজেলা পরিষদ মিলনাতয়নে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপজেলা পর্যায়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন এবং উপস্থিতির বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ইউএনও। একই সময়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত একটি ডকুমেন্ট উপস্থাপন করে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল।
তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে, ইমাম, পুরোহিত, শিক্ষক, সাংবাদিক, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) উদ্যোক্তাগণ ও সুধী সমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। তার আগে আপনারা সবাই ই-পেনশন ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত বিস্তারিত জেনে নিবেন।
সভায় মতামত উপস্থাপন করে বক্তব্য দেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম জাহাঙ্গীর আলম, আল-কাউসার স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, সাংবাদিক মো. হাবিবুর রহমান, সাইফুল ইসলাম সিফাত, মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্, মো. হুমায়ুন কবির, মজিবুর রহমান রনি প্রমুখ।
এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত জাহানসহ উপজেলা বিভিন্ন মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান, সুধী সমাজ, সাংবাদিক, বিভিন্ন ইউনিয়নের উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি এমনভাবে করা হচ্ছে যাতে দেশের ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সব নাগরিকই এ ব্যবস্থার আওতায় আসতে পারবেন এবং ৬০ বছর বয়স থেকে তারা আজীবন পেনশন পাবেন।
শুরুর দিকে চিন্তা না থাকলেও পরে ৫০ বছরের বেশি বয়সীদেরও পেনশন কর্মসূচির আওতায় রাখার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। তারা টানা ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার পরই পেনশন সুবিধা পাবেন। আপাতত চার শ্রেণির জনগোষ্ঠীর জন্য চার ধরনের পেনশন কর্মসূচি চালু করা হচ্ছে।
এগুলো হচ্ছে, প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রবাসী। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য ‘প্রগতি’, স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য ‘সুরক্ষা’, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ‘প্রবাসী’ এবং দেশের নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য ‘সমতা’ শীর্ষক কর্মসূচি চালু করা হবে।
‘প্রগতি’ ও ‘সুরক্ষা’ কর্মসূচির আওতায় মাসিক চাঁদার হার নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। ‘প্রবাসী’ কর্মসূচিতে মাসিক চাঁদার হার ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা। ‘সমতা’ কর্মসূচিতে মাসিক চাঁদা ৫০০ টাকা। এ কর্মসূচিতে সমপরিমাণ অর্থাৎ ৫০০ টাকা করে চাঁদা দেবে সরকার।