প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাম্প্রতিক থাইল্যান্ড সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করছেন। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আছেন।
প্রতিবার বিদেশ সফর থেকে এলে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে আসেন প্রধানমন্ত্রী। এসব সংবাদ সম্মেলনে সফরের বিষয়ে বিবৃতি থাকলেও প্রশ্নোত্তর পর্বে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি গুরুত্ব পায়। সবশেষ গত ২৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানির মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা জানাতে সংবাদ সম্মেলনে করেন তিনি।
বরাবরের মতই রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর এই সংবাদ সম্মেলন সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে। থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে ২৯ এপ্রিল ব্যাংকক থেকে ঢাকায় ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। সফরকালে শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে (থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত বিষয় এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি সই হয়।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী ব্যাংককের জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন।