কচুরিপানা ও অন্যান্য জলজ আগাছায় আচ্ছন্ন জলাময়ে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে স্তূপ করে প্রয়োজনীয় মাপের ভেলার মতো বেড তৈরি করে ভাসমান পদ্ধতিতে বছরব্যাপী বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ও মসলা উৎপাদন করার লক্ষ্যে চাঁদপুরে ৩০জন কৃষককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) সকাল থেকে দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করে বেসরকারি সংস্থা ‘আশা’। সংস্থার বাঘড়া বাজার কার্যালয়ে এই প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়।
প্রশিক্ষণ প্রদান করেন চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষন অফিসার সাইফুল হাসান আলামিন, চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ পরিচারক সিরাজুল ইসলাম এবং আশা চাঁদপুর (সদর) জেলার সিনিয়র ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার মো. শেখ ফরিদ।
আশা-চাঁদপুর জেলা ব্যবস্থাপক মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং কারিগরি সহায়তার সেবার পাশাপাশি সহজ শর্তে উদ্যেক্তাদের ঋণ প্রদান করা হবে। ভাসমান বেড তৈরির প্রধান উপকরণ কচুরিপানা। এছাড়া টোপাপানা, শেওলা, বিভিন্ন ধরনের জলজ আগাছা, দুলালিলতা, ধানের খড় বা ফসলের অবশিষ্টাংশ, আখের ছোবড়া, ব্যবহার করে ভাসমান বেড তৈরি করা যায় । পরিপক্ব গাঢ় সবুজ রঙের বড় ও লম্বা কচুরিপানা দিয়ে বেড তৈরি করলে বেডের স্থায়িত্ব বেশি হয়।