মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত স্রেফ ১২ ঘণ্টার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে দুই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে ইসরাইল। লেবানের বৈরুতে হিজবুল্লাহ কমান্ডার ফুয়াদ শুকর এবং ইরানের তেহরানে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে দেশটি। এর মধ্য দিয়ে গোটা মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠল।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস বুধবার ভোর জানিয়েছে, তেহরানে হানিয়ার বাসভবন লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে দেহরক্ষীসহ নিহত হয়েছেন হানিয়া।
বুধবার টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, ‘ভাই, নেতা, মুজাহিদ ও আন্দোলনের প্রধান ইসমাইল হানিয়া তেহরানে তাঁর সদর দপ্তরে একটি জায়নবাদী হামলায় নিহত হয়েছেন। এর আগে তিনি ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।’
অন্যদিকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী মঙ্গলবার দাবি করেছে, ড্রোন হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার ফুয়াদ শুকরকে হত্যা করেছে তারা।
মঙ্গলবার গভীর রাতে হিজবুল্লাহ কমান্ডারকে হত্যাচেষ্টার পর তার ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখনো পরিষ্কার নয়। ২০০৮ সালে দামেস্কে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার ইমাদ মুগনিয়াহ। এর পর থেকেই তাঁর জায়গায় দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ফুয়াদ। হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসারুল্লাহর ‘শীর্ষ উপদেষ্টা’বলা হয় তাকে।
গাজা উপত্যকায় যুদ্ধের মাঝে লেবাননের দক্ষিণ সীমান্তে হিজবুল্লাহর সঙ্গে উত্তেজনা বেড়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর। গত শনিবার গোলান মালভূমিতে হামলা চালিয়েছিল হিজবুল্লাহর এই হামলায় ১২ ইসরাইলি শিশুর মৃত্যু হয়। ইসরাইলের অভিযোগ, কমান্ডার ফুয়াদ এই হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিল।