• বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
চাঁদপুর সদর থানায় ঢুকে পুলিশ কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করলেন শিক্ষার্থীরা, ওসি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি চাঁদপুরে ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড, শহরে জলাবদ্ধতা পুলিশ সুপারেরর সাথে বৈশম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের মতবিনিময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সাথে সদর উপজেলা ইউএনও’র মতবিনিময় সভা চাঁদপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা কচুয়ায় রাস্তার পাশ থেকে অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার নোয়াখালীর সাবেক এমপি স্ত্রী ও সন্তানসহ আটক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চান কিনা রয়টার্সের প্রশ্নের জবাবে যা বললেন নাহিদ কচুয়ায় সড়কে যানজট নিরসনে স্কাউট সদস্য ও সাধারন শিক্ষার্থী বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের স্বরণে দশানী এলাকায় আলোচনা সভা ও দোয়া

হাজীগঞ্জে স্বর্ণকলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের পানিতে সাকার ফিশ, দেখতে ভীড়

ত্রিনদী অনলাইন
ত্রিনদী অনলাইন
আপডেটঃ : শনিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৪
ছবি-ত্রিনদী

প্রতিবছর বর্ষা এলেই বৃষ্টির পানি জমে হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন টোরাগড় স্বর্ণকলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আর জলাবদ্ধতার সেই হাঁটু পানি থেকে প্রায় আধা কেজি (৫০০ গ্রাম) ওজনের একটি সাকার ফিশ ধরেছেন স্থানীয় জহির হোসেন নামের এক যুবক। এতে এক প্রকার অবাক হয়ে যান স্থানীয়রা।

জহির জানান, শুক্রবার (৯ আগস্ট) রাতে তিনি হাঁটতে হাঁটতে বাড়ির সামনে স্কুল মাঠে যান। এসময় তিনি স্কুল মাঠে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে একাধিকার কিছু একটা নড়াচড়া করতে দেখেন। এসময় তিনি শোল মাছ ভেবে সাকার ফিশটি ধরেন এবং স্কুলের সামনে দোকানে নিয়ে আসার পর তিনি সাকার ফিশটি দেখে ভয় পেয়ে যান।

ভয় পাওয়ার কারণ জানিয়ে তিনি আরও জানান, এটি মাছ না অন্য কিছু তা, তিনি বুঝতে পারেন নাই। যেহেতু তিনি হাত দিয়ে মাছটি ধরেছেন তাই, ভয় পেয়েছেন। পরে স্থানীয় একজন সংবাদকর্মীর মাধ্যমে এটি ‘সাকার ফিশ’ বলে জানতে পারলে তার ভয় কেটে যায়। পরে সাকার ফিশটি মেরে মাটি চাপা দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

এদিকে প্রথমেই উদ্ভুত ও নাম না জানা মাছটি ধরা পড়ার খবর পেয়ে স্থানীয় ও এলাকার নারী ও শিশুসহ উৎসুক মানুষজন এটি দেখার জন্য ভিড় জমান। এসময় ওই সংবাদকর্মীর মাধ্যমে সাকার ফিশের ক্ষতিকরের বিষয়টি জানার পর অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, মাছটি স্কুল মাঠের পানিতে কিভাবে এলো ?

ধারণ করা হচ্ছে, স্কুলের পাশেই দুইটি বড় পুকুর রয়েছে এবং পুকুরে পোনা মাছ ছাড়ার সময়, ওই পোনা মাছের সাথে সাকার ফিশের পোনাটিও এসেছে। পরে এটি বড় হয়ে যায় এবং পানি নিস্কাশনের পাইপ দিয়ে স্কুল মাঠের জমে থাক হাঁটু পানিতে চলে আসে।

উল্লেখ্য, সাকার ফিশের পুরো নাম সাকার মাউথ ক্যাটফিশ। বৈজ্ঞানিক নাম হিপোসটোমাস প্লেকোসটোমাস। অ্যাকুরিয়ামে শোভাবর্ধনকারী হিসেবে রাখা হয় বিদেশি প্রজাতির এ মাছটিকে। মাছটি বুড়িগঙ্গা নদীতে ব্যাপক হারে দেখা যায় এবং বর্তমানে দেশের বিভিন্ন ডোবা-নালাসহ বিভিন্ন জলাশয়ে হরহামেশাই দেখা মিলছে মাছটির।

দ্রুত বংশ বিস্তারকারী মাছটি জলজ পোকামাকড় ও শ্যাওলার পাশাপাশি ছোট মাছ এবং মাছের পোনা খেয়ে থাকে। তাছাড়া সাকার ফিশের পাখনা খুব ধারালো। ধারালো পাখনার আঘাতে সহজেই অন্য মাছের দেহে ক্ষত তৈরি হয় এবং পরবর্তীতে পচন ধরে সেগুলো মারা যায়।

সাকার ফিশ রাক্ষুসে প্রজাতির না হলেও প্রচুর পরিমাণে খাবার ভক্ষণ করে। এতে দেশীয় প্রজাতির মাছের সঙ্গে খাদ্যের জোগান নিয়ে তীব্র প্রতিযোগিতা হয়। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারে না বিলুপ্তির সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছের। সরকারিভাবে এ মাছটি চাষ কিংবা অ্যাকুরিয়ামে পালন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুক

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বু বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০