চাঁদপুরে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত বই মেলা ও জুলাই স্মৃতি কর্ণার উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আউটার স্টেডিয়ামে বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে বই মেলা এবং ফিতা কেটে জুলাই স্মৃতি কর্ণার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।
বই মেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, আমি ব্যতিক্রম কিছু করতে চেয়েছি। গন্ডি থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছি। আমি সাহস নিয়ে বই মেলার আয়োজন করেছি। মানুষদের মধ্যে একটা চাহিদা আছে। এই ধরণের আয়োজনে সাধারণ মানুষ ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের চাহিদা ও আগ্রহ রয়েছে। সেই চাহিদা মিটাতেই এই আয়োজন করেছি। আশাকরি বইমেলা জমে উঠবে।
ডিসি বলেন, বই মেলা প্রাঙ্গনে আমরা এখানে একটা গোলঘর করেছি। যেখানে লেখকরা প্রতিদিন আড্ডা দিবেন। যেখানে প্রতিদিন সাহিত্য একাডেমিতে বসেন, এ কয়েকদিন এখানে বসবেন। বইমেলাতে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে আনতে হবে। এটার দায়িত্ব শুধু লেখকদের নয়, আমাদের সবার। সম্প্রতি লেখকরা পাঠকশূন্য হয়ে পড়েছে। এই আয়োজনে প্রকাশিত বইগুলোও সমৃদ্ধ হবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের নেতিবাচক বিষয়ে ডিসি বলেন, এই মাধ্যমকে আমি নগ্ন দেহ হিসেবে তুলনা করি। যেখান থেকে চোখ ফেরানো যায় না। যার জন্যে লেখকরা যে বই লেখে, সেখানে নজর যায় না। যদিও ভার্চুয়ালের দিকে মনোযোগ চলেগেছে, তবে বেশিদিন লাগবে না, সেই মনোযোগ থেকে সরে এসে লেখকদের বই পড়ার প্রতি মনোযোগ আসবে সবার।
জেলা প্রশাসক লেখকদের আহবান জানান জুলাই অভ্যুথানের বিষয়গুলো তাদের লেখনির মাধ্যমে আরো গভীরভাবে তুলে ধরেন। যাতে করে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই লেখনির মাধ্যমে এই ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকতের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব, জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা বিল্লাল হোসেন মিয়াজী, প্রেসক্লাব সভাপতি রহিম বাদশা।
লেখকদের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক ও লেখক কাদের পলাশ, শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য দেন রাহাত। আলোচনা শেষে অতিথিরা বই মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।
এছাড়াও মেলা এলাকায় ফিতা কেটে জুলাই স্মৃতি কর্ণার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসকসহ অতিথিরা।