চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণ রামপুর গ্রামের সেকান্তর হোসেন মোল্লা ও সাইফুল ইসলাম গাজীর মধ্যে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা থাকায় উভয়পক্ষের অভিযোগ থানায়।
মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিন রামপুর গ্রামে সেকান্তর হোসেন মোল্লার মালিকানা বসত বাড়ির সীমানার খুটি পিলার উঠিয়ে সীমানা অতিক্রম করে জায়গা জোরদখলের জন্য বিভিন্ন ভাবে অপচেষ্টা করে আসছে বলে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে সাইফুল ইসলাম গাজী।
ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিন রামপুর গ্রামে সেকান্তর হোসেন মোল্লার সাথে প্রতিবেশী সাইফুল ইসলাম গাজীর সীমানা। সাইফুল ইসলাম গাজীকে বহুবার বাঁধা নিষেধ করলেও বাঁধা নিষেধের তোয়াক্কা না করে বেপরোয়া আচরন ও হুমকি ধামকি এমনকি লাঠি সোটা নিয়া মারধর করিতে উদ্যত হয় বলে সেকান্তর হোসেন মোল্লা অভিযোগ করেন।
স্থানীয় ভাবে বহুবার গন্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় জায়গা পরিমাপ করে সীমানায় খুটি পিলার দিলেও সাইফুল ইসলাম গাজী প্রথমত মেনে নেয় পরবর্তীতে দুই একদিন পর পুনরায় সীমানা খুটি পিলার উঠিয়ে ফেলে পরিমাপ না মানিয়া এই ধরনের আচার আচরন করে আসতে থাকার একপর্যায় সর্বশেষ গত ১ মার্চ সকল জায়গা সার্ভেয়ার দিয়ে পরিমাপ করে সীমানায় খুটি পিলার পুতিয়া দেয়।
সাইফুল ইসলাম গাজী স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের সিদ্ধান্ত ও পরিমাপ প্রথমে মেনে নিলেও, পরবর্তীতে সীমানার খুটি পিলার উঠিয়ে ফেলে দেয়। আমাদেরকেসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদেরকে নিয়া উচ্চস্বরে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করিয়া আমার জায়গা জোরদখলের চেস্টা করে।
উক্ত বিষয়ে প্রতিবাদ করলে সাইফুল ইসলাম গাজী’সহ তার পরিবারের লোকজন লাঠি সোটা নিয়া বৃদ্ধ সেকান্তর হোসেন মোল্লার সাথে মারমুখী আচরন করে। বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয়।
সাইফুল ইসলাম গাজীর কর্মকান্ডে যদি কোন বাঁধা প্রতিবাদ করিলে তাহাদের দ্বারা আমাদের মারাত্বক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষসহ গুরুত্বর শান্তিভঙ্গের সম্ভাবনা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন সেকানস্তর হোসেন মোল্লা।
সমাজসেবক শাখাওয়াত হোসেন গাজী বলেন, দুপক্ষের সীমানা নিয়ে যে বিরোধ চলছে অচিরেই সমাধান করে দেয়া হবে।
সাইফুল ইসলাম গাজী বলেন, জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ মিমাংসা চেয়ে আমি থানায় অভিযোগ করেছি।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রবিউল হক বলেন, উভয় পক্ষের অভিযোগ আমলে নিয়ে স্থানীয় শালিসদের মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা চলছে।