বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন,এখন দলমত নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে নতুন বাংলাদেশ বির্নিমানে কাজ করতে হবে। শেখ হাসিনার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এই রাষ্ট্রের আলম সমাজসহ রাষ্ট্রের জনতারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফ্যাসিবাদীদেরকে উৎখাত করেছে। গত ১৫টি বছর আলেম সমাজের লোকজনকে কারাগারে রেখে অত্যাচার নির্যাতন ও বর্বরতা চালিয়েছে।
২০০৯ সাল থেকে পিলখানার হত্যাকান্ড শুরু করে ২০২৪ সাল পর্যন্ত অসংখ্য মায়ের বুক খালি করেছে হাসিনা। এই দেশের সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে ধর্ম পালন করবার অধিকারপ্রাপ্ত হিন্দু ও অন্য ধর্মীয় লোকজনদেরকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছি। ১৯৭১ সালে র্দীঘ ৯ মাস মহান মুক্তি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছিলো, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে পার্শ্ববর্তী একটি রাষ্ট্র বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ছিনিমিনি খেলার জন্য পরিকল্পনা করেছে। এই ২৪ এর বিপ্লব কাউকে ছিনতাই করতে দেওয়া হবে না। রাষ্ট্রব্যবস্থা এবং রাজনীতি থেকে ইসলামকে মাইনাস করার জন্য শেখ হাসিনার যে পরিকল্পনা নিয়েছে, সেই এখন মাইনাস হয়ে গিয়েছে।
জুলাই বিপ্লবকে সকল ধরে রাখতে সকল রাজনৈতিক দল বন্দোবস্ত গড়ে তুলতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সারা বাংলাদেশে ৩০০ আসনে নির্বাচনে অংশগ্রহন করার জন্য সকল পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে কচুয়া আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে মুফতি আনিসুর রহমান কাসেমীকে আপনাদের হাতে তুলে দিলাম, সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাকে বিজয় করে সংসদের পাঠাবেন। আগামী কচুয়ার সংসদের নেতা হবে মুফতি আনিসুর রহমান কাসেমী, ইনশাল্লাহ সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইসলামী রাষ্ট্রীয় শাসনের জন্য তার জন্য কাজ করবেন। বাংলাদেশে ইসলামের বিপক্ষে যারাই কথা বলে তারা এই দেশের স্বাধীনতার বিপক্ষের দুশমন।
তিনি আরো বলেন, প্রায় ১৬ বছর ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকার অবৈধভাবে দেশ শাসন করেছে। পরিশেষে ৫ আগস্টে ছাত্র জনতার গণঅভ্যূত্থানে মাধ্যমে দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে অবস্থান করছে। দেশের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষের কাছে শেখ হাসিনা ধিকৃত মানুষ। শেখ হাসিনা ভারতে বসে বিভিন্নভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও জনগনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না ইনশাল্লাহ। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কচুয়া উপজেলা শাখার আয়োজনে কচুয়া সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে বিশাল সমাবেশে তিনি উপরক্ত কথাগুলো বলেন।
উপজেলা আমির মুফতি নুরুল ইসলাম মাদানীর সভাপতিত্বে ও পৌর আমির মাওলানা নেয়ামত উল্লাহ’র সঞ্চলনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন, যুগ্ম-মহাসচিব আতাউল্লাহ আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা ও মাওলানা ফয়সাল আহম্মেদ, চাঁদপুর জেলার সভাপতি মাওলানা তারেক হাসান, কচুয়া আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মুফতি মাওলানা আনিছুর রহমান কাসেমী, যাত্রবাড়ী থানা শাখার সভাপতি মাওলানা এরশাদুল হক, দাউদকান্দি তিতাশ থানা শাখার সভাপতি আবু ইউসুফ প্রমুখ।