ঢাকা ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফরিদগঞ্জে আদালতকে আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিষেধাজ্ঞাকৃত সম্পত্তিতে ভবণ নির্মাণ

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:০১:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৩১ Time View

দীর্ঘদিন যাবত চলমান বিরোধের জেরে বাদী মিজানুর রহমানের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত (দঃ মোঃ নং-১৪৩৩/২৫ ইং এর মামলা নালিশী সম্পত্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিষেধাজ্ঞাকৃত সম্পত্তিতে প্রতিপক্ষ সাইফুল ইসলাম গংরা ভবণ নির্মাণের কাজ করছে। প্রকাশ্যে নিষেধাজ্ঞাকৃত সম্পত্তি দখলের মহোৎসব চললেও অদৃশ্য কারণে নির্বিকার সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। ঘটনাটি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের লড়াইরচর গ্রামে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও কর্ণপাত করছেন না অভিযুক্তরা। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় দখল উৎসবের বাস্তব চিত্র।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লড়াইর চর মৌজার বিএস চুড়ান্ত খতিয়ান ৫৯৭/৭২৮, যাহার দাগ নং ৬৯৮/৬৯৯ নালিশী ভূমি। এ ভূমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। ২০২৩ সালে সাবেক ইউপি সদস্য ও বিরামপুর বাজারের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান স্থানীয় বাসিন্দা মৃত আনা মিয়ার বড় ছেলে লেদু মিয়া’র কাছ থেকে ৫৯৭ নং খতিয়ানের ৬৯৯ দাগে ৪ শতক, ৭০০ দাগে ৪ শতক, ৭১২ দাগে ২ শতক, ৭১৩ দাগে হিস্যানুযায়ী সাড়ে ৩ শতকসহ মোট ৪টি দাগে ১৩.৫০ শতক ও ৭২৮ নং খতিয়ানের ৬৯৮ দাগে ৭ শতক এবং ৫৯৩ নং খতিয়ানের ৭০০ দাগে ৯.৫০ শতক মোট ৩০ শতক জমি ক্রয় পরবর্তিতে ভোগ দখলে আছেন।
পরবর্তীতে স্থানীয় একটি কু-চক্রিমহলের ইন্ধনে ২০২৪ সালে মৃত আনা মিয়ার আরেক ছেলে শাহাবুদ্দিন ওরফে সফি উল্লাহ’র কাছ থেকে মো. সাইফুল ইসলাম তালুকদার ৭২৮ খতিয়ানে ৬৯৮ দাগে ৩ শতক ৫৯৭ খতিয়ানে ৬৯৯,৭০০,৭১১,৭১৪সহ মোট ৪ দাগে ৭শতক ভূমি ক্রয় করিয়া ৬৯৯ দাগে জোড় পূর্বক ভোগ দখল করতে চায়। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।

সাইফুল ইসলাম গং দ্বারা জোড় পূর্বক সম্পত্তি দখলের পায়তারা হিসেবে ফলজ ও বনজ গাছ কেটে লুটপাট, সন্ত্রাসীদের উপস্থিতিতে ভবণ নির্মাণসহ নানান ভয়ভীতি পরিদর্শন করে আসছে ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান গংদের।

সর্বশেষ গত ৩০ নভেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান বিজ্ঞ আদালতের দ্বারস্থ হলে (দঃ মোঃ নং-১৪৩৩/২৫ ইং এর মামলা নালিশী সম্পত্তিতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৫ ধারা জারি করেন এবং বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। সাইফুল ইসলাম গংরা আদালতের নিষেধাজ্ঞা অবমাননা করে পুনরায় ভবণ নির্মাণের কাজ শুরু করলে ভুক্তভোগী মিজানুর রহমানের দাবির প্রেক্ষিতে ফরিদগঞ্জ থানার উপপুলিশ পরিদর্শক হেলাল উদ্দিন সম্প্রতি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাদির আবেদনের সত্যতা নিশ্চিত হয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞার নোটিশের কপি উভয়পক্ষকে প্রেরণ করেন। এতেও সাইফুল ইসলাম গংরা শান্ত না হওয়াতে থানা পুলিশের আমন্ত্রণে গত ৫ ডিসেম্বর ফরিদগঞ্জ থানার উপপুলিশ পরিদর্শক হেলাল উদ্দিনের উপস্থিতিতে একটি সালিশনামায় স্বাক্ষর করে। সেই সালিশনামায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কেউ জমিতে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবেন না।

কিন্তু মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাইফুল ইসলাম গংরা লোকজন নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাইফুল ইসলাম বলেন, “আমি আমার নিজস্ব জমিতেই কাজ করছি।” তবে মুচলেকা ভঙ্গের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি।

এ সময় তার লোকজন সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং খবর পেয়ে ভুক্তভোগী মিজানুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য করে সাইফুল ইসলাম গংরা।

অপরদিকে মিজানুর রহমান বলেন,“আমি বৈধভাবে জমি কিনেছি। তারপর থেকেই সাইফুল ইসলাম ও শাহাবুদ্দিনগং বিভিন্নভাবে আমাকে হয়রানি করে আসছে। বিষয়টি আদালত ও থানায় বিচারাধীন থাকার পরও তারা প্রতারণামূলকভাবে লিখিত অঙ্গীকার ভঙ্গ করে এবং বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অবমাননা করে নালিশী ভূমিতে জোড়পূর্বক ভবণ নির্মাণ কাজ করছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আফলাতুন কায়সার বলেন,“দু’পক্ষই জমি কিনেছে, এতে সন্দেহ নেই। তবে জমির সিমানা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষের উচিত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকাবাসী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানে আসা।”

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার উপপুলিশ পরিদর্শক হেলাল উদ্দিন বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞার নোটিশ কপি উভয়পক্ষকে পোঁছে দেয়া হয়েছে। বিরোধ মেটানো ও শান্তি শৃঙ্খলার স্বার্থে গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে থানায় একটি সমাঝোতা বৈঠক হলে উভয়পক্ষের মানিত ব্যক্তিবর্গের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে একটি লিখিত সালিশনামা করা হয়েছে। সেখানে পক্ষদ্বয় ৭ দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধানের অঙ্গীকার করে। তবে শুনেছি সাইফুল ইসলাম গংরা উক্ত সম্পত্তিতে নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে বিধি মোতাবেত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

ফরিদগঞ্জে আদালতকে আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিষেধাজ্ঞাকৃত সম্পত্তিতে ভবণ নির্মাণ

ফরিদগঞ্জে আদালতকে আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিষেধাজ্ঞাকৃত সম্পত্তিতে ভবণ নির্মাণ

Update Time : ১২:০১:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

দীর্ঘদিন যাবত চলমান বিরোধের জেরে বাদী মিজানুর রহমানের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত (দঃ মোঃ নং-১৪৩৩/২৫ ইং এর মামলা নালিশী সম্পত্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিষেধাজ্ঞাকৃত সম্পত্তিতে প্রতিপক্ষ সাইফুল ইসলাম গংরা ভবণ নির্মাণের কাজ করছে। প্রকাশ্যে নিষেধাজ্ঞাকৃত সম্পত্তি দখলের মহোৎসব চললেও অদৃশ্য কারণে নির্বিকার সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। ঘটনাটি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের লড়াইরচর গ্রামে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও কর্ণপাত করছেন না অভিযুক্তরা। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় দখল উৎসবের বাস্তব চিত্র।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লড়াইর চর মৌজার বিএস চুড়ান্ত খতিয়ান ৫৯৭/৭২৮, যাহার দাগ নং ৬৯৮/৬৯৯ নালিশী ভূমি। এ ভূমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। ২০২৩ সালে সাবেক ইউপি সদস্য ও বিরামপুর বাজারের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান স্থানীয় বাসিন্দা মৃত আনা মিয়ার বড় ছেলে লেদু মিয়া’র কাছ থেকে ৫৯৭ নং খতিয়ানের ৬৯৯ দাগে ৪ শতক, ৭০০ দাগে ৪ শতক, ৭১২ দাগে ২ শতক, ৭১৩ দাগে হিস্যানুযায়ী সাড়ে ৩ শতকসহ মোট ৪টি দাগে ১৩.৫০ শতক ও ৭২৮ নং খতিয়ানের ৬৯৮ দাগে ৭ শতক এবং ৫৯৩ নং খতিয়ানের ৭০০ দাগে ৯.৫০ শতক মোট ৩০ শতক জমি ক্রয় পরবর্তিতে ভোগ দখলে আছেন।
পরবর্তীতে স্থানীয় একটি কু-চক্রিমহলের ইন্ধনে ২০২৪ সালে মৃত আনা মিয়ার আরেক ছেলে শাহাবুদ্দিন ওরফে সফি উল্লাহ’র কাছ থেকে মো. সাইফুল ইসলাম তালুকদার ৭২৮ খতিয়ানে ৬৯৮ দাগে ৩ শতক ৫৯৭ খতিয়ানে ৬৯৯,৭০০,৭১১,৭১৪সহ মোট ৪ দাগে ৭শতক ভূমি ক্রয় করিয়া ৬৯৯ দাগে জোড় পূর্বক ভোগ দখল করতে চায়। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।

সাইফুল ইসলাম গং দ্বারা জোড় পূর্বক সম্পত্তি দখলের পায়তারা হিসেবে ফলজ ও বনজ গাছ কেটে লুটপাট, সন্ত্রাসীদের উপস্থিতিতে ভবণ নির্মাণসহ নানান ভয়ভীতি পরিদর্শন করে আসছে ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান গংদের।

সর্বশেষ গত ৩০ নভেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান বিজ্ঞ আদালতের দ্বারস্থ হলে (দঃ মোঃ নং-১৪৩৩/২৫ ইং এর মামলা নালিশী সম্পত্তিতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৫ ধারা জারি করেন এবং বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। সাইফুল ইসলাম গংরা আদালতের নিষেধাজ্ঞা অবমাননা করে পুনরায় ভবণ নির্মাণের কাজ শুরু করলে ভুক্তভোগী মিজানুর রহমানের দাবির প্রেক্ষিতে ফরিদগঞ্জ থানার উপপুলিশ পরিদর্শক হেলাল উদ্দিন সম্প্রতি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাদির আবেদনের সত্যতা নিশ্চিত হয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞার নোটিশের কপি উভয়পক্ষকে প্রেরণ করেন। এতেও সাইফুল ইসলাম গংরা শান্ত না হওয়াতে থানা পুলিশের আমন্ত্রণে গত ৫ ডিসেম্বর ফরিদগঞ্জ থানার উপপুলিশ পরিদর্শক হেলাল উদ্দিনের উপস্থিতিতে একটি সালিশনামায় স্বাক্ষর করে। সেই সালিশনামায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কেউ জমিতে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবেন না।

কিন্তু মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাইফুল ইসলাম গংরা লোকজন নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাইফুল ইসলাম বলেন, “আমি আমার নিজস্ব জমিতেই কাজ করছি।” তবে মুচলেকা ভঙ্গের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি।

এ সময় তার লোকজন সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং খবর পেয়ে ভুক্তভোগী মিজানুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য করে সাইফুল ইসলাম গংরা।

অপরদিকে মিজানুর রহমান বলেন,“আমি বৈধভাবে জমি কিনেছি। তারপর থেকেই সাইফুল ইসলাম ও শাহাবুদ্দিনগং বিভিন্নভাবে আমাকে হয়রানি করে আসছে। বিষয়টি আদালত ও থানায় বিচারাধীন থাকার পরও তারা প্রতারণামূলকভাবে লিখিত অঙ্গীকার ভঙ্গ করে এবং বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অবমাননা করে নালিশী ভূমিতে জোড়পূর্বক ভবণ নির্মাণ কাজ করছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আফলাতুন কায়সার বলেন,“দু’পক্ষই জমি কিনেছে, এতে সন্দেহ নেই। তবে জমির সিমানা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষের উচিত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকাবাসী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানে আসা।”

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার উপপুলিশ পরিদর্শক হেলাল উদ্দিন বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞার নোটিশ কপি উভয়পক্ষকে পোঁছে দেয়া হয়েছে। বিরোধ মেটানো ও শান্তি শৃঙ্খলার স্বার্থে গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে থানায় একটি সমাঝোতা বৈঠক হলে উভয়পক্ষের মানিত ব্যক্তিবর্গের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে একটি লিখিত সালিশনামা করা হয়েছে। সেখানে পক্ষদ্বয় ৭ দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধানের অঙ্গীকার করে। তবে শুনেছি সাইফুল ইসলাম গংরা উক্ত সম্পত্তিতে নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে বিধি মোতাবেত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।