
কচুয়ায় প্রবাসী স্ত্রীর কাছ থেকে চাঁদা দাবি, মারধর ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা আশ্রাফপুর ইউনিয়নের আশ্রাফপুর গ্ৰামে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনা জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ওই গ্ৰামের কালাগাজী প্রধানিয়া বাড়ির প্রবাসী কামাল উদ্দিনের স্ত্রী ভুক্তভোগী মোছাঃ নাসিমা বেগম বাদী হয়ে ৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, ওই গ্রামের গাইন বাড়ির মৃত সফি উল্লাহ ছেলে নাসির উদ্দিন ও গিয়াস উদ্দিন এবং মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে খোকন ও শাহজাহানে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং কু-প্রস্তাব দেয় বাদী নাছিমা বেগমকে। চাঁদা না দেওয়ায় ও কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ১৭ অক্টোবর দিনের বেলা বাদীর বসত বাড়িতে অজ্ঞাত ৩-৪ জন ব্যাক্তি প্রবেশ করে গাছের ফলফলাদি পেরে নিয়ে যায়। এতে বাধা প্রদান করলে বিবাদীগণ বাদীর উপর চড়া হয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে লাঠিসোটা দিয়ে মারধর ও শরীরের কাপড় টানাহেঁচড়া করে শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করেন। ডাক চিৎকার শুনে বাদীর মেয়ে উদ্ধার করতে আসলে তাকে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। বাদী ও তার মেয়ের সাথে থাকা স্বর্নের কানের দুল, গলার চেইন খুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে এই ঘটনায় কচুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে বাদী নাছিমা বেগম। মামলা নং- ১৯, তারিখঃ ২০/১০/২০২৫ খ্রি.। কচুয়া থানায় মামলা করায় বিবাদীগণ বিভিন্ন সময় প্রকাশ্যে হত্যা ও গুম করবে বলে প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে আসছে। গত ৮ ডিসেম্বর সকালে বাদী কালিয়াপাড়া থেকে ডাক্তার দেখিয়ে আসার সময় বিবাদীগণ রাস্তা প্রতিরোধ করে ধর্ষন করার হুমকি দেয় বাদী প্রবাসী স্ত্রী নাছিমা বেগমকে।

বাদী প্রবাসী স্ত্রী নাছিমা বেগম জানান, বিবাদীগণ অত্যাচারে আমি সন্তানদেরকে নিরাপত্তাহীনতা রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে আমার বড় ধরনের ক্ষতি করবে বলে প্রতিনিয়ত তারা হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। এ বিষয়গুলো নিয়ে একাধিকবার আদালতে মামলা, কচুয়া থানায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে অভিযোগ দিলেও কোন সমাধান পাচ্ছিনা। আমি রাষ্ট্রের কাছে জীবনে নিরাপত্তা ও ন্যায় বিচার দাবি করছি।

বিবাদীগনদের বক্তব্য নেওয়ার জন্য মোবাইলে ফোন করলে মোবাইল বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কচুয়া প্রতিনিধি: 























