কচুয়া উপজেলার পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামে প্রতিবছরের ন্যায় এবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ঐতিহ্যবাহী বিবাহিত বনাম অবিবাহিত ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে ওই গ্রামের ফসলি মাঠে বিবাহিত বনাম অবিবাহিত ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় গ্রামের বিবাহিত বনাম অবিবাহিতদের মধ্যে ১-০ গোলে বিবাহিতদলকে পরাজিত করে অবিবাহিত দল। খোলা মাঠে ফসলি জমিতে খেলা হলেও আয়োজনের কোনো কমতি ছিল না। শান্ত পরিবেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য অভিজ্ঞ রেফারি দ্বারা খেলাটি পরিচালনা করা হয় । খোলা মাঠের চারপাশে দর্শক ও ফুটবল খেলা প্রেমিক ভক্তদের উপচেপড়া ভীড় জমেছে। ছোট বড় সবাই এই খেলায় আনন্দ ও উপভোগ করতে দেখা গেছে। দর্শকের জন্য লটারির মাধ্যমে পুরস্কারের আয়োজন করেছেন আয়োজক কমিটিরা। ফতেপুর গ্রামে প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলাটি প্রায় ৩০ বছর ধরে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ওই গ্রামের যুবকরা ধারাবাহিকতা রেখে আসছে। চাকরিজীবী ও কর্মসংস্থানসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই দিনে নিজ গ্রামে এসে সবাই মিলনমেলা করেন। নিজেদের মধ্যে এলাকা,সমাজ, পারিবারিক ও আত্মীয় বন্ধন সৃষ্টি হয়। এই খেলাটি পরিচালনা করার জন্য প্রবাসী ও এলাকার সুশীল সমাজের লোকজন অর্থ দিয়ে থাকেন।
বিশেষ করে এই খেলাটির আয়োজনের মাধ্যমে বর্তমান যুবকরা মাদক ও বিভিন্ন অপকর্ম থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। এছাড়া বর্তমান সমাজকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে যুবকদের সামাজিক কাজে উৎসাহিত ও একটি মডেল গ্রাম হিসেবে রূপান্তরিত করার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন।
খেলার উদ্যোক্তা রাকিবুল আলম ছানি বলেন, ‘আমরা প্রতি বছরই খেলাটি আয়োজন করে আসছি। এই খেলার মাধ্যমে আমাদের গ্রামের বন্ধুবান্ধব ও বড় ভাইসহ সবাই একসাথে হতে পারি। এই দিনে গ্রামের লোকজনের মিলনমেলা হয়। সবাই একসাথে মিলে আনন্দ উপভোগ করি। এই খেলার জন্য বিশেষ করে উৎসাহিত করেন প্রবাসী ও আমাদের গ্রামের সুশীল সমাজের লোকজন। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
এই খেলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক শিপন বকাউল বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের সন্তানরা যেনো এই গ্রামের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতাটা যেন ধরে রাখে। আজকে যারা খেলেছে তারা কেউ পেশাদার খেলোয়াড় না। নিজেদের মধ্যে আনন্দ উপভোগ করার জন্য এই খেলাটির মূলত আয়োজন। এই খেলাটির মাধ্যমে এই গ্রামের ঐতিহ্য ফুটে উঠবে। প্রতিবছরে এই দিনে গ্রামের সকলে আমরা একসাথে মিলে আনন্দ করি।
এসময় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক ইয়াসিন হাসান, সমাজসেবক হাজী খোকন,ইকবাল মিয়াজী,মনির খান, দেলোয়ার প্রধান, মোফাজ্জল মিয়াজী, মফিজ ভূইয়া, মফিজ প্রধান, সাবেক ইউপি সদস্য আবুল হোসেন, মিজান মিয়াজী, শাহজাহান খান, মনির খান, রাসেল খান, নাজমুল খান সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, চাকরিজীবী ও বিভিন্ন কর্মসংস্থানে অবস্থানরত লোকজনরা উপস্থিত ছিলেন।
ইসমাইল হোসেন বিপ্লব, কচুয়া: 
























