চাঁদপুর আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কচুয়া উপজেলার গোহট উত্তর ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামে বিবাদপূর্ণ সম্পত্তিতে জবরদখল করে ঘর নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আদালতের ১৪৫ ও ১৮৮ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও নিষেধাজ্ঞা আমলে না নিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ওই গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক ছেলে মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে।
এতে অভয় পক্ষের মধ্যে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছে এলাকাবাসী। এদিকে ভুক্তভোগী বাদী কুদ্দুস মিয়া পুলিশের দারস্থ্য হয়েও পাচ্ছেন না কোন প্রতিকার। এবিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন অসহায় ভুক্তভোগী কুদ্দুস মিয়া।
মামলা সূত্রে জানাযায়, উপজেলার ১৪৯ নং নূরপুর মৌজার বিএস ৩১৮ নং খতিয়ানে বাদশা মিয়া গং মালিক দখলকার থাকেন। নালিশী হাল ১১২২ দাগের বাড়ি ভূমিতে বাদীপক্ষ ১৩.৩২ শতক ভূমিতে মালিক। আব্দুল মালেক নালিশী ভূমিতে মালিক থাকাকালীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে তার ওয়ারীশ ২ ছেলে মোস্তফা কামাল, মোশারফ হোসেন মালিক হন।
মোস্তফা কামাল থেকে ২০১২ সালে ৮ই আগস্ট ১১২২ দাগে ২ শতক ভূমি বাদীর ভাই মোহাম্মদ আবুল বাশারের কাছে বিক্রি করে দখল হস্তান্তর করেন। আবুল বাসার মৃত্যুবরণ করলে তার ওয়ারিশ দখল নিযুক্ত হন। বিবাদী নালিশী দাগে দীর্ঘদিন যাবত ২টি বিল্ডিং, ২ টিনের ঘর, একটি রান্নাঘর, টিউবওয়েল, টয়লেট ও গাছপালা ইত্যাদি বৃক্ষাদি রোপণ ও সৃজনে ভোগ দখলে রয়েছে।
গত ৭ নভেম্বর শুক্রবার সকালে ১০টায় বেআইনি ভাবে নালিশি ভূমি থেকে গাছের চারা, ডালপালা কাটতে শুরু করে। বাদী বাঁধা দিলে বিবাদী ভূমি দখল করে ঘর নির্মাণ করে চলাচলা পথ বন্ধ এবং বাদীকে মারধর করবে বলে প্রকাশ্য হুমকি ধামকি প্রদান করেন।
চলমান বছরের ৯ নভেম্বর নিরুপায় কুদ্দুস মিয়া বাদী হয়ে চাঁদপুর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কাজ বন্ধের নিষেধাজ্ঞা জারি করে ১৪৪ ধারার আদেশ চেয়ে আবেদন করেন। বিজ্ঞ আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে কোট ১৪৫ ধারা কার্যকর করতে তফসিলভুক্ত সম্পত্তিতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সংশ্লিষ্ট কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ প্রদান করেন। থানার এ.এস.আই মফিজুর ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ওই সম্পত্তিতে ১৪৫ ধারা জারি রেখে কোন প্রকার কাজ না করার নির্দেশ প্রদান করেন।
কিন্তু বিবাদী মোশারফ হোসেন ওই ভূমির অংশে আদালতের ১৪৫ ধারা ভঙ্গ করে প্রভাব ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ঘর নির্মাণ করছে। বাদী কুদ্দুস মিয়া বাধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষরা বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি, গালিগালাজ ও হত্যার হুমকি দেয়। পুনরায় ১৪৫ স্থিতিবস্থার আদেশ লংঘন করলে বিবাদীদের বিরুদ্ধে ২৩ শে নভেম্বর আদালতে ১৮৮ ধারা মামলা দায়ের করেন বাদী। তার পরেও বিবাদীরা আদালত অমান্য করে ঘর নির্মাণ করে শেষ করেন।
এ বিষয়ে কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি বোরহান উদ্দিন জানান, আদালতের আদেশ ক্রমে ওই জায়গায় ১৪৫ ধারা জারি করা হয়েছে। যদি কেই এই আদেশ অমান্য করে তাহলে, আদালতের আদেশ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বিবাদী মোশারফ হোসেনের বক্তব্য জানতে সরজমিনে গেলে, তাকে না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভাব হয়নি।
ছবি: কচুয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘর নির্মান করার অভিযোগ।
কচুয়া প্রতিনিধি ॥ 



















