ঘন কুয়াশার কারণে বরিশাল-ঢাকা নৌ-রুটেসহ অভ্যন্তরীণ সব রুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিআইডব্লিউটিএ বরিশাল বন্দর কর্তৃপক্ষ এ ঘোষণা দেন। এদিকে হঠাৎ করে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করায় বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র মো. আসাদুজ্জামান জানান, ঘন কুয়াশার কারণে নদীপথে দৃষ্টিসীমা ৫০ মিটারের নিচে নেমে এসেছে। এ কারণে নৌ-পথে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই নৌ-যান চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ কারণে নদীবন্দরে নোঙর করা লঞ্চে অবস্থানরত যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. সোলায়মান বলেন, রোববার বরিশাল নদী বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে চারটি এবং ঢাকা নদী বন্দর থেকে চারটি লঞ্চ বরিশাল ছেড়ে আসার কথা ছিল।
তিনি বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে নদীপথে রাতের দৃষ্টিসীমা কমে যাচ্ছে। এ কারণে দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে। তাই নৌ অধ্যাদেশ অনুযায়ী ঘন কুয়াশার প্রেক্ষিতে যাত্রীদের যানমাল এবং নৌযানের নিরাপত্তার স্বার্থে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বরিশাল-ঢাকাসহ অভ্যন্তরীণ সব রুটে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে রোববার সকাল থেকে বরিশালের কোথাও সূর্যের দেখা মেলেনি। সড়ক এবং হাটবাজারে মানুষের উপস্থিতিও তুলনামূলক কম ছিল। ঘন কুয়াশার কারণে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজার্ভার মো. আনিসুর রহমান।
তিনি জানান, রোববার সকাল ৯টায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তবে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই।
তিনি বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক এবং বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে রোববার রাত ১১টার পর থেকে সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা পর্যন্ত কোনো কোনো স্থানে দৃষ্টিসীমা ১০০ থেকে ৫০ মিটার পর্যন্ত কমে আসতে পারে।
নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ 





















