ঢাকা ১১:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মতলবে চলতি মৌসুমে ২২ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

Oplus_131072

শীতের আগমনে বিস্তীর্ণ ফসলি জমিগুলোতে আলু চাষে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ব্যস্ত চাষিরা। বাম্পার ফলনের আশায় উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় আলু রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছে চাষিরা। কেউ জমিতে সার দিচ্ছে, কেউ লাঙল দিয়ে করছে চাষ, আবার জমির আগাছা পরিষ্কার করছে অনেকে। আবহাওয়া অনুকূলে হওয়ায় আলু রোপণে ঝুঁকছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২২শত হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে উপজেলার মতলব পৌরসভা, নারায়নপুর পৌরসভা, নায়েরগাঁও উত্তর ও নায়েরগাঁও দক্ষিণ ইউনিয়ন, খাদেরগাঁও ইউনিয়ন, উপাধি উত্তর ও উপাধি দক্ষিণ ইউনিয়নে শুরু হয়েছে বিভিন্ন জাতের আলুর বীজ বপন।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, শীতের শুরুতে আমরা মাঠে আলু রোপণ আরম্ভ করেছি। মতলব দক্ষিণ উপজেলা আলু চাষের সম্ভাবনা বেশি। শীতের শুরুতে বীজ বপন করলে দুই মাসের মধ্যে আলু বাজারজাত করা সম্ভব। ফলন ভালো হবে, দামও পাওয়া যাবে তুলনামূলক বেশি।

ডিঙ্গাভাঙ্গা এলাকার কৃষক মজিবুর রহমান বলেন, ধারদেনা করে প্রায় ১০ একর জমিতে আলু রোপণ করছি। আল্লাহ যদি চায় আবহাওয়া ভালো থাকলে লাভ করতে পারুম। যদি আলুতে পোকামাকড় ধরে আর বৃষ্টি বেশি হয় তাহলে সবশেষ হয়ে যাবে আমার। নায়েরগাঁও এলাকার কৃষক মো. আলম, জুয়েল ও ইউসুফ জানান, আমরা দিনরাত মাঠে কাজ করছি। কষ্ট হলেও আলু চাষে লাভ বেশি। একটু পরিশ্রম বেশি লাগব কিন্তু বাজারে বিক্রি করতে পারলে আমগো পোষাইয়া যাইব।

দগরপুর গ্রামের চাষি মোহাম্মদ আলী, বিল্লাল ও শাহ আলম বলেন, আমরা বছরে একবার আলু চাষ করি। এই লাভের টাকা দিয়া আমগো সংসার চলে। আমরা নিজেরা কাজ করি। লোক দিয়েও কাজ করাই। আশা করি, এ বছর আলুর ফলন ভালো হবে।

মতলব দক্ষিণ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা চৈতন্য পাল কালবেলাকে বলেন, উপজেলার প্রায় সব এলাকায় আলু রোপণ করা হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলন ভালো হবে। কৃষকরাও লাভবান হবে। আমরা কৃষকদের প্রশিক্ষণ, বীজ সংগ্রহে পরামর্শ, সার প্রয়োগ, কীটনাশক ব্যবস্থাপনা ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বিষয়ে মাঠপর্যায়ে নিয়মিত দিকনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছি। উৎপাদন বৃদ্ধি ও রোগবালাই দমনে কৃষকদের সঙ্গে আছি সব সময়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

কনকনে শীতে কম্বল নিয়ে অসহায়দের দ্বারে দ্বারে হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার

মতলবে চলতি মৌসুমে ২২ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

Update Time : ০৯:৪৪:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫

শীতের আগমনে বিস্তীর্ণ ফসলি জমিগুলোতে আলু চাষে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ব্যস্ত চাষিরা। বাম্পার ফলনের আশায় উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় আলু রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছে চাষিরা। কেউ জমিতে সার দিচ্ছে, কেউ লাঙল দিয়ে করছে চাষ, আবার জমির আগাছা পরিষ্কার করছে অনেকে। আবহাওয়া অনুকূলে হওয়ায় আলু রোপণে ঝুঁকছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২২শত হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে উপজেলার মতলব পৌরসভা, নারায়নপুর পৌরসভা, নায়েরগাঁও উত্তর ও নায়েরগাঁও দক্ষিণ ইউনিয়ন, খাদেরগাঁও ইউনিয়ন, উপাধি উত্তর ও উপাধি দক্ষিণ ইউনিয়নে শুরু হয়েছে বিভিন্ন জাতের আলুর বীজ বপন।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, শীতের শুরুতে আমরা মাঠে আলু রোপণ আরম্ভ করেছি। মতলব দক্ষিণ উপজেলা আলু চাষের সম্ভাবনা বেশি। শীতের শুরুতে বীজ বপন করলে দুই মাসের মধ্যে আলু বাজারজাত করা সম্ভব। ফলন ভালো হবে, দামও পাওয়া যাবে তুলনামূলক বেশি।

ডিঙ্গাভাঙ্গা এলাকার কৃষক মজিবুর রহমান বলেন, ধারদেনা করে প্রায় ১০ একর জমিতে আলু রোপণ করছি। আল্লাহ যদি চায় আবহাওয়া ভালো থাকলে লাভ করতে পারুম। যদি আলুতে পোকামাকড় ধরে আর বৃষ্টি বেশি হয় তাহলে সবশেষ হয়ে যাবে আমার। নায়েরগাঁও এলাকার কৃষক মো. আলম, জুয়েল ও ইউসুফ জানান, আমরা দিনরাত মাঠে কাজ করছি। কষ্ট হলেও আলু চাষে লাভ বেশি। একটু পরিশ্রম বেশি লাগব কিন্তু বাজারে বিক্রি করতে পারলে আমগো পোষাইয়া যাইব।

দগরপুর গ্রামের চাষি মোহাম্মদ আলী, বিল্লাল ও শাহ আলম বলেন, আমরা বছরে একবার আলু চাষ করি। এই লাভের টাকা দিয়া আমগো সংসার চলে। আমরা নিজেরা কাজ করি। লোক দিয়েও কাজ করাই। আশা করি, এ বছর আলুর ফলন ভালো হবে।

মতলব দক্ষিণ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা চৈতন্য পাল কালবেলাকে বলেন, উপজেলার প্রায় সব এলাকায় আলু রোপণ করা হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলন ভালো হবে। কৃষকরাও লাভবান হবে। আমরা কৃষকদের প্রশিক্ষণ, বীজ সংগ্রহে পরামর্শ, সার প্রয়োগ, কীটনাশক ব্যবস্থাপনা ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বিষয়ে মাঠপর্যায়ে নিয়মিত দিকনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছি। উৎপাদন বৃদ্ধি ও রোগবালাই দমনে কৃষকদের সঙ্গে আছি সব সময়।