মা ইলিশের প্রজনন রক্ষায় ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় সব ধরণের মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মওজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ।
যে কারণে দেশের সবচাইতে বড় ইলিশের পাইকারি আড়ৎ বড় স্টেশন মাছঘাট এখন পুরোই ফাঁকা। তবে এই চিত্র ৩দিন পরে আর থাকবে না। পুরোন চেহারায় ফিরে আসবে মাছঘাট। ব্যস্ত হয়ে পড়বে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে চাঁদপুর মাছঘাটে গিয়ে দেখাগেছে খুবই নীরবতা। শ্রমিকদের দেখা নেই। মৎস্য ব্যবসায়ীরা বসে অবসর সময় কাটাচ্ছেন। মাছঘাটের সামনের অংশে দেখাগেলে কয়েকজন শ্রমিক বসে লুডু খেলছেন। আবার অনেক ব্যবসায়ী আড়তে ঘুমাচ্ছেন।
ব্যবসায়ী ফারুক জানান, যদিও বেচাবিক্রি নেই। তারপরেও তাগাদা থাকার কারণে নিয়মিত এসে আড়তে বসে থাকতে হয়।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, চাঁদপুরের সবচাইতে বড় বড় স্টেশন মাছঘাট বন্ধ থাকলেও মৌসুমী মৎস্য আড়ৎগুলো ঠিকই চলছে। দাদনদাররা তাদের অসাধু জেলেদের দিয়ে মা ইলিশ নিধন করে গোপনে বিক্রি চালিয়ে যাচ্ছেন।
জেলা টাস্কফোর্সের অভিযানে এ বছর শত শত জেলে গ্রেফতার হয়েছেন। অভিযান সফল করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি এগিয়ে আসেননি জনপ্রতিনিধিরা।
মেঘনা ও পদ্মা নদী সংযুক্ত খালগুলোর মুখ বন্ধ করা হয়নি। উপেক্ষা করা হয়েছে জেলা টাস্কফোর্সের সিদ্ধান্ত।